ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এবাদত হোসেন চৌধুরী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বড়লেখা উপজেলা, মৌলভীবাজার, বাংলাদেশ[১] | ৭ জানুয়ারি ১৯৯৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ফাস্ট বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৫) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জানুয়ারি ২০২২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭-বর্তমান | মধ্যাঞ্চল ক্রিকেট দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮-বর্তমান | মোহামেডান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮ | রংপুর রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০২০ | মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ জানুয়ারি ২০২২ |
এবাদত হোসেন (জন্ম ৭ জানুয়ারি ১৯৯৪) একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার।[২] ২০১৬-১৭ জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে।[৩] ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন সক্রিয় সৈনিক।[৪]
এবাদতের শৈশব কেটেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখায়। তার বাবার নাম নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও মাতার নাম সামিয়া বেগম চৌধুরী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে এবাদত দ্বিতীয়।[১] এবাদত হোসেন চৌধুরী ২০১২ সালে বিমান বাহিনীতে সৈনিক হিসাবে যোগ দেন। সেখানেই চাকরির পাশাপাশি বিমান বাহিনীর নিয়মিত ভলিবল খেলতে শুরু করেন।[৪] ভলিবল দিয়ে ক্রীড়া জীবন শুরু করলেও, পরবর্তীতে তিনি ক্রিকেট খেলার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালে সিটি ক্লাবের হয়ে ঢাকায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান। ২০১৬ সালে রবি পেসার হান্ট জেতেন এই ডান হাতি ফাস্ট বোলার। চূড়ান্ত পর্বে তার সর্বোচ্চ গতির বলটি ছিল ১৩৯.৯ কিমি/ঘণ্টা। সেখান থেকেই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফর্মেন্স ক্যাম্পে ডাক পান।[৫] ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরের আগে অস্ট্রেলিয়া প্রশিক্ষণের জন্য ‘শিক্ষানবিশ' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।[৬]
২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬-১৭ জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় এবাদতের।
২০১৮ সালের ৮ মে, ২০১৬-১৭ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় এবাদতের।[৭] তার টুয়েন্টি২০-তে অভিষেক হয় ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বরে ২০১৭-১৮ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুর রাইডার্স-এর হয়ে।[৮]
২০১৭-১৮ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে তিনি মধ্যাঞ্চল দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন। এতে ৩ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ১৩ উইকেট লাভ করেন।[৯]
২০১৮ সালের অক্টোবরে ২০১৮-১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তিনি সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলেন।[১০]
২০২০ সালের নভেম্বরে, ২০২০-২১ বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত খেলোয়াড় নিলামে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী তাকে কিনে নেয়।[১১]
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের টেস্ট দলে যুক্ত হন।[১২] ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে এবাদত হোসেনের এবং তার প্রথম টেস্ট উইকেট হিসেবে তিনি নিল ওয়াগনারের উইকেট লাভ করেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে, এবাদত বে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট শিকার করেন। ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশকেে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের নিজস্ব মাঠে প্রথম জয় পেতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন এবং ম্যাচসেরা হন। বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবেও ম্যাচসেরা হন তিনি।[১৩]