ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোরাপ্পাকাম জোশ্যাম গোপালন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাদ্রাজ, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ৬ জুন ১৯০৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২১ ডিসেম্বর ২০০৩ চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত | (বয়স ৯৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ফাস্ট বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৮) | ৫ জানুয়ারি ১৯৩৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ আগস্ট ২০১৯ |
মোরাপ্পাকাম জোশ্যাম গোপালন (তামিল: எம். ஜே. கோபாலன்; জন্ম: ৬ জুন, ১৯০৯ - মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর, ২০০৩) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও হকি খেলোয়াড় ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মাদ্রাজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন এম. জে. গোপালন। ক্রিকেটের পাশাপাশি হকি খেলায়ও দক্ষতা ছিল তার। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট ও হকি- এ দ্বৈত ক্রীড়ায় অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন।
১৯২৬-২৭ মৌসুম থেকে ১৯৫১-৫২ মৌসুম পর্যন্ত এম. জে. গোপালনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। চেন্নাইয়ের চিঙ্গলপুট জেলার মোরাপ্পাকাম গ্রামে গোপালনের জন্ম। কিশোর অবস্থাতেই তার পরিবার ত্রিপলিকানে চলে যান। মাদ্রাজ ক্রিকেটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সিপি জনস্টনের কাছে তার ক্রিকেট প্রতিভা উন্মোচিত হয়। উদীয়মান খেলোয়াড়দের ধরে রাখার স্বার্থে জনস্টন অন্যদের ন্যায় তাকেও বার্মা শেলে চাকরি দেন। কিছুদিন পরই গোপালন ত্রিপলিকান ক্রিকেট ক্লাবের সাথে যুক্ত হন। স্থানীয় পর্যায়ে অসাধারণ খেলা উপহার দেয়ায় তার সুনাম ছড়িতে পড়ে।
ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে তিনি বলকে উভয়দিকেই ঘোরাতে পারতেন। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গোপালনের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তবে, তার জন্যে সুখকর বার্তা বয়ে আনেনি। প্রথমে দিনের মধ্যাহ্নবিরতি পর্যন্ত কোন উইকেট না পাওয়ায় দর্শকেরা তাকে ঘিরে ধরেছিল। তাসত্ত্বেও, উভয় ইনিংসেই পাঁচ-উইকেট দখল করেছিলেন গোপালন। ঐ সময়ে ভারতে সফররত আর্থার জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বিপক্ষেও সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন তিনি।
১৯৩০ সালে মাদ্রাজের পক্ষে দুই খেলায় অংশ নিয়ে উল্লেখযোগ্য সফলতা পান। জ্যাক হবসের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে বিজিয়ানাগ্রাম একাদশের বিপক্ষে খেলেন। প্রথম খেলার উভয় ইনিংসে জ্যাক হবসকে আউট করেন তিনি। দ্বিতীয় খেলায় লেগ কাটার প্রয়োগে লেগের দিকের বলটি অফের দিকের বেইল ফেলে দেয়। ১৯৩৩ সালে চিপকের এম. এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো হ্যাট্রিক লাভের গৌরব অর্জন করেন। নিজস্ব অষ্টম ওভারের প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলের উইকেটগুলো পান। প্রত্যেকক্ষেত্রেই মধ্য স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি।[১]
১৯৩৪ সালে রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসর বসে। মাদ্রাজ ও মহীশুরের মধ্যে প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতার প্রথম বোলিং করার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
দশ নম্বর অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নামতেন। এ সময়েই তার ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটতে থাকে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন।[২] ১৯৪৯ সালে দক্ষিণ অঞ্চলের সদস্যরূপে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে ৬৪ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।[৩]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এম. জে. গোপালন। ৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ তারিখে কলকাতায় সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। প্রতিপক্ষীয় ইংল্যান্ডের হপার লেভেট এবং ভারতের মুশতাক আলী, দিলাবর হোসেন, সি.এস. নায়ডু’র সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার।[৪] এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
ক্রিকেটের পাশাপাশি হকি খেলায়ও সিদ্ধহস্তের পরিচয় দিয়েছেন। রবার্ট সামারহেইজ তার হকি প্রতিভা তুলে ধরেন। ১৯৩৫ সালে ভারতীয় হকি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। সেখানেও তিনি স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। পরেরবছরে ইংল্যান্ড গমনার্থে ভারতে দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। তবে, মোহাম্মদ নিসার ও অমর সিংয়ের উপস্থিতিতে খেলাতে খুব কমই ভূমিকা রাখতে পেরেছিলেন। ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে হকি দলের প্রারম্ভিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বাছাই খেলায় অংশ নেননি। এ প্রতিযোগিতায় ধ্যান চাঁদের অধিনায়কত্বে ভারতীয় হকি দল স্বর্ণপদক জয় করেছিল।
মাত্র তিনজন ভারতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী দ্বৈত খেলোয়াড়দের অন্যতম তিনি। বাদ-বাকীরা হচ্ছেন - কোটা রামস্বামী ও যুজবেন্দ্র চাহাল।
ক্রিকেট ও হকিতে এম. জে. গোপালনের অংশগ্রহণ উদযাপনে ১৯৫২ সালে রজতজয়ন্তী তহবিল গঠন করা হয়। এম. জে. গোপালন ট্রফির জন্যে মাদ্রাজ ও সিলনের মধ্যকার বার্ষিক আকারে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির পূর্ব-পর্যন্ত খুব কমই বাঁধাবিপত্তির মুখোমুখি হয় এ প্রতিযোগিতাটি। ২০০০ সালে তামিলনাড়ু ও কলম্বো জেলা ক্রিকেট সংস্থার মধ্যে পুনরায় এ ট্রফির আত্মপ্রকাশ ঘটে। তবে, দুই বছর বাদে পুনরায় এটি মুখ থুবড়ে পড়ে। ১৯৫০-এর দশকে বেশ কয়েকবছর জাতীয় দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালীন তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেছিলেন। তার ভাষ্য মোতাবেক জানা যায় যে, ১৯০৬ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে, ভুলবশতঃ বিদ্যালয়ের রেকর্ডে তার জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল।[৫] ২১ ডিসেম্বর, ২০০৩ তারিখে ৯৪ বছর বয়সে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে এম. জে. গোপালনের দেহাবসান ঘটে। তার সম্মানার্থে এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের একটি প্রবেশপথ নামকরণ করা হয়েছে।
পূর্বসূরী লিন্ডসে উইয়ার |
বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ৩১ অক্টোবর, ২০০৩ – ২১ ডিসেম্বর, ২০০৩ |
উত্তরসূরী ডন ক্লেভার্লি |