ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্গশ্যাম বেঙ্কটরমণ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৪ এপ্রিল, ১৯৬৬ সেকান্দারবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৮৫) | ২৮ এপ্রিল ১৯৮৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র ওডিআই (ক্যাপ ৭০) | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ আগস্ট ২০২০ |
মার্গশ্যাম বেঙ্কটরমণ (তেলুগু: ఎం. వెంకటరమణ; জন্ম: ২৪ এপ্রিল, ১৯৬৬) অন্ধ্রপ্রদেশের সেকান্দারবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কোচ ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে তামিলনাড়ু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন এম. বেঙ্কটরমণ।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত এম. বেঙ্কটরমণের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় তার অভিষেক ঘটে। সবমিলিয়ে ৩৫ উইকেট পান। তন্মধ্যে, রেলওয়েজের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় ৭/৯৪ পান। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে আরও ৩০ উইকেটের সন্ধান পান তিনি। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান।
তামিলনাড়ু দলকে শিরোপা বিজয়ে সহায়তা করেন। এছাড়াও, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের দিলীপ ট্রফির শিরোপা বিজয়ে দক্ষিণ অঞ্চলকে সহায়তা করেছিলেন। এছাড়াও কয়েক বছর ইংরেজ লীগে ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সবমিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২৪৭ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, তামিলনাড়ুর পক্ষে ২১২ উইকেট লাভ করেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন এম. বেঙ্কটরমণ। ২৮ এপ্রিল, ১৯৮৯ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে বড়োদরায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর খেলা উপস্থাপনার স্বীকৃতিস্বরূপ সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে ভারতের একদিনের দলে রাখা হয়। বরোদরায় নিজস্ব একমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। খেলায় তিনি দুই উইকেট লাভ করেছিলেন।
১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে দলের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে নিজস্ব একমাত্র টেস্টে খেলেন। প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য অবস্থায় তাকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ডেসমন্ড হেইন্সের একমাত্র উইকেট পেয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পূর্বে এ উইকেটটি পেয়েছিলেন। এরপর, ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ড গমন করেছিলেন।
২০০০ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করে কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। চেন্নাইভিত্তিক বিসিসিআই একাডেমির স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন এবং তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগের দল ডিনডিগাল ড্রাগন্সের কোচ হন। বেঙ্গালুরুভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির কোচিং বিভাগে কাজ করেন। সেখানে তিনি প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ভারতীয় স্পিন বোলারদেরকে প্রশিক্ষণ দেন।