এমব্রেস অফ দ্য ভ্যাম্পায়ার | |
---|---|
পরিচালক | অ্যানি গোরসাউড |
প্রযোজক | অ্যালান ম্রুভকা মেরিলিন ভেন্স ল্যাড ভেন্স ম্যাট ফেরো |
রচয়িতা | রিক বিটজেলবার্গার নিকোল কোডি |
শ্রেষ্ঠাংশে | অ্যালিসা মিলানো মার্টিন কেম্প হ্যারল্ড প্রুট রেবেকা ফেরাটি গ্লোরি গোল্ড সিনা রায়ান সাবরিনা অ্যালেন আবদেল নাসরি জেনিফার টিলি |
পরিবেশক | নিউ লাইন সিনেমা |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯২ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ৫০০,০০০ ডলার[১] |
এমব্রেস অফ দ্য ভ্যাম্পায়ার (ইংরেজি: Embrace of the Vampire) হল ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন ভ্যাম্পায়ার চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন অ্যানি গোরসাউড। এই ছবিতে অ্যামিসা মিলানো শার্লট নামে একটি কুমারী মেয়ের চরিত্রে এবং মার্টিন কেম্প তাকে তাড়া করে ফেরা এক ভ্যাম্পায়ারের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে অ্যাঙ্কর বে হোম এন্টারটেইমেন্ট কর্তৃক এই ছবির একটি ডাইরেক্ট-টু-ভিডিও পুনঃনির্মাণ মুক্তি লাভ করে। সেই ছবিতে শ্যারোন হাইনেনডিল শার্লট ওয়েলসের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তবে পুনর্নির্মিত ছবিটি সার্বিকভাবে সমালোচকদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় অর্জন করেছিল।
শার্লট এক সচ্চরিত্রা কুমারী মেয়ে। সে যৌনতা নিয়ে খুবই খারাপ কিছু স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তার স্বপ্নগুলিই একমাত্র জায়গা যেখানে তার স্বপ্নের প্রেমিক অন্ধকার জগতের এক সুদর্শন ভ্যাম্পায়ার। যদিও সেটি তার বাস্তব জীবনের প্রেমিকের ক্ষেত্রে একটি উভয় সঙ্কট, কারণ সে স্বপ্নের ভ্যাম্পায়ার পুরুষের মতো ততটা আকর্ষণীয় নয়। শার্লট নিজের যে জীবনটিকে জানে সেটিতে থাকা অথবা ভ্যাম্পায়ারের জগতের অংশীদার হওয়ার মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে বলা হয়। এই ধরনের বিপরীতধর্মী সত্ত্বাকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সংঘাতও বেধে যায়। কারণ, শার্লট দেখতে পায়, তাকে শুধু তার প্রেমিক ও রহস্যময় নৈশ আগন্তুকের মধ্যে থেকে একজনকেই বেছে নিতে হবে না, বরং বেছে নিতে হবে আলো ও অন্ধকার এবং ভালো ও মন্দের মধ্যে একটিকে। শেষে মাইলোকে সংক্ষিপ্ত চুম্বনের এবং ক্যাম্পাসের বেশ্যা এলিজার (ভ্যাম্পায়ার এর মাথা দেওয়ালে ঠুকে হত্যা করে এবং দেওয়ালে লেগে থাকা তার রক্ত পান করে) দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর শার্লট শেষবারের মতো স্বপ্নটি দেখে। এবারে ভ্যাম্পায়ারটি শার্লটকে তার সঙ্গে আসতে বলে এবং জানায় যে, এখানে (পৃথিবীতে) শার্লটের জন্য কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কয়েকটি স্বপ্নদৃশ্যের পর শেষ পর্যন্ত ভ্যাম্পারের সঙ্গে টাওয়ারে এসে উপস্থিত হয়। শার্লটের প্রেমিক ক্রিসও সেখানে ছিল। কিন্তু ভ্যাম্পায়ারটি ক্রিসকে ঠেলে বের করে দেয়। তারপর সে যখন শার্লটের ঘাড়ে কামড় বসাতে যাবে, এমন সময় শার্টল ক্রিসের নাম উচ্চারণ করে বসে। প্রথমে ভ্যাম্পায়ারটি তাকে ক্রিসের সম্পর্কে ভাবতে বারণ করে এবং নিজেদের প্রণয়ী যুগল হিসাবে ভাবতে বলে। তারপর শার্লট আবার ক্রিসের নাম উচ্চারণ করলে ভ্যাম্পায়ার বলে, শার্লট তার জীবনকে চিরন্তন জীবনে নিয়ে যেতে পারবে না। এই বলে ভ্যাম্পায়ার অদৃশ্য হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে শার্লট ও ক্রিস পরস্পরকে চুম্বন করে। সূর্যকিরণে শায়িত অবস্থায় ভ্যাম্পায়ারটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
২০০৫ সালে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে এমব্রেস অফ দ্য ভ্যাম্পায়ার ছবির পরিচালিকা অ্যানি গোরসাউড বলেন যে, ছবিটি "৫ লক্ষ ডলারে তেরো দিনে নির্মিত হয়েছিল"। তিনি অনুমান করেন যে, ভিডিও বিক্রির ফলে ছবি থেকে আয় হয়েছে "সম্ভবত দেড় কোটি ডলার"।[১]