এমিল আবদারহাল্ডেন | |
---|---|
Emil Abderhalden | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৫ আগস্ট ১৯৫০ | (বয়স ৭৩)
নাগরিকত্ব | সুইস |
শিক্ষা | বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়l (ডক্টরেট, ১৯০২) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | শারীরবিদ্যা জৈব রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় হ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় |
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | হারমান এমিল ফিশার[১] |
এমিল আবদারহাল্ডেন (৯ মার্চ ১৮৭৭ – ৫ আগস্ট ১৯৫০) একজন সুইস জৈব রসায়নবিদ এবং শারীরবিদ ছিলেন। তার প্রধান গবেষনাগুলো, যদিও তা ১৯১০ এর দশকে বিতর্কিত ছিল, অবশেষে ১৯৯০ এর দশকের শেষ পর্যন্ত এগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়নি। তার বিভ্রান্তিকর গবেষনাগুলো জালিয়াতির উপর ভিত্তি করে ছিল অথবা কেবল বৈজ্ঞানিক কঠোরতার অভাবের কারণে গবেষনাগুলো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। আবদারহাল্ডেনের ডাইং পিস্টল যা রসায়নে ব্যবহৃত হয়,যা তার প্রথম একজন ছাত্র, আবদারহাল্ডেন দ্বারা সম্পাদিত পাঠ্যপুস্তকে বর্ণনা করেছিলেন।[২]
এমিল আবদারহাল্ডেন সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেনের ক্যান্টনের ওবেরুজউইলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এরপর তিনি বাজেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য বাজেলে চলে যান।
বাজেলে থাকার সময় তিনি রোয়িং ক্লাবে যোগদান করেন এবং সেখানে এফসি বাজেলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ফ্যাসবল ক্লাব ক্লাব বাসেলের প্রতিষ্ঠার সভায় এগারোজন পুরুষ ১৮৯৩ সালের ১৫ নভেম্বর উপস্থিত ছিলেন।[৩] আবদারহাল্ডেন ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ তারিখে স্ট্যাডিয়ন স্কটজেনমেটে হোম খেলায় ক্লাবের হয়ে তার প্রথম খেলা খেলেছিলেন। যেখানে বাজেল, এফসি জিমনেসিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছেল।[৪] আবদারহাল্ডেন ১৮৯৫ সালের জানুয়ারিতে এ ক্লাব ত্যাগ করেন।[৫]
আবদারহাল্ডেন বাজেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন অধ্যয়ন করেন এবং ১৯০২ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি এমিল ফিশারের গবেষণাগারে অধ্যয়ন করেন এবং বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন। ১৯১১ সালে তিনি হ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান এবং মেডিকেল স্কুলে ফিজিওলজি পড়ান।[৬] ১৯৩১ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত, তিনি জার্মান একাডেমি অফ ন্যাচারাল সায়েন্টিস্টস লিওপোলডিনার সভাপতি ছিলেন। ১৯৩৬ সালে তিনি পন্টিফিকাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর সদস্য নিযুক্ত হন।[৭]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, তিনি একটি শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুইজারল্যান্ডে অপুষ্টির শিকার শিশুদের অপসারণের আয়োজন করেন। পরবর্তীকালে, তিনি শারীরবৃত্তীয় রসায়নে তার গবেষণা পুনরায় শুরু করেন এবং বিপাক এবং খাদ্য রসায়ন নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবদারহাল্ডেন সুইজারল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পদ পান। তিনি ৭৩ বছর বয়সে সেখানে মারা যান। '১৫২৬২ আবদারহাল্ডেন' এ নামটি তার সম্মানে নামকরণ করা হয়েছিল।[৮]
ফিরকিন, বি জি এবং হুইটওয়ার্থ, জে এ (১৯৮৭): ডিকশনারি অব মেডিক্যাল এপোনিমস্। পার্থেনন পাবলিশিং। আইএসবিএন ১-৮৫০৭০-৩৩৩-৭