এমিল জ্যানিংস | |
---|---|
Emil Jannings | |
![]() এমিল জ্যানিংস | |
জন্ম | থিওডর ফ্রিডরিখ এমিল জানেনৎস ২৩ জুলাই ১৮৮৪ রোরশাখ, সেন্ট গেলেন, সুইজারল্যান্ড |
মৃত্যু | ২ জানুয়ারি ১৯৫০ স্ট্রবল, অস্ট্রিয়া | (বয়স ৬৫)
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯১৪–১৯৪৫ |
এমিল জ্যানিংস নামে পরিচিত থিওডর ফ্রিডরিখ এমিল জানেনৎস (Theodor Friedrich Emil Janenz, ২৩ জুলাই ১৮৮৪ - ২ জানুয়ারি ১৯৫০)[১] ছিলেন একজন জার্মান অভিনেতা। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে হলিউডে তার কাজের জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী প্রথম অভিনেতা। এখন পর্যন্ত তিনিই এই বিভাগে পুরস্কার বিজয়ী একমাত্র জার্মান অভিনেতা।
জ্যানিংস পরিচালক এফ. ডব্লিউ. মুর্নাউ ও ইয়োজেফ ফন স্টার্নবের্গের সাথে কাজ করে পরিচিতি অর্জন করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ ও দ্য লাস্ট কমান্ড (১৯২৮) এবং মারলেনে ডিট্রিশের বিপরীতে দ্য ব্লু অ্যাঞ্জেল (১৯৩০)। তিনি পরবর্তীতে নাৎসি প্রচারণাধর্মী কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং থার্ড রিখ ছবিতে ব্যর্থ হওয়ার পর অভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন সমাপ্তির দিকে চলে যায়।
জ্যানিংস ১৮৮৪ সালের ২৩শে জুলাই সুইজারল্যান্ডের রোরশাখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এমিল জানেনৎজ ছিলেন মার্কিন ব্যবসায়ী এবং তার মাতা মার্গারেট (প্রদত্ত নাম: শোয়াব)। তারা দুজনেই জার্মান ছিলেন।[২][৩] জ্যানিংসের জার্মান নাগরিকত্ব ছিল। তিনি যখন খুব ছোট তখন তার পরিবার জার্মান সাম্রাজ্যের লেইপৎসিগে চলে যায় এবং পরে তার পিতার মৃত্যুর পরপর তারা গর্লিৎজে চলে যায়।
জ্যানিংস তার সহশিল্পী লুবিশ্চ ও নেগ্রির পদাঙ্ক অনুসরণ করেন হলিউডে আসেন এবং প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হলিউডে অভিনয় শুরু করেন। তিনি ভিক্টর ফ্লেমিং পরিচালিত দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ চলচ্চিত্র দিয়ে তার হলিউড অভিনয় জীবন শুরু করেন। ছবিটি বর্তমানে হারানো চলচ্চিত্রের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। পরের বছর তিনি ইয়োজেফ ফন স্টার্নবের্গের দ্য লাস্ট কমান্ড (১৯২৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই দুটি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৪] তিনি এই বিভাগে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী। পরবর্তীতে তিনি স্টার্নবের্গের সাথে স্ট্রিট অব সিন (১৯২৮) চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
১৯৩০ সালে তিনি মারলেনে ডিট্রিশের বিপরীতে দ্য ব্লু অ্যাঞ্জেল ছবিতে কাজ করেন, যা ইংরেজি ও জার্মান দুই সংস্করণেই নির্মাণ করা হয়। তিনি পরবর্তীতে নাৎসি প্রচারণাধর্মী কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং থার্ড রিখ ছবিতে ব্যর্থ হওয়ার পর অভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন সমাপ্তির দিকে চলে যায়।