| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১০ এপ্রিল ১৯৩৭ (ট্রান্স-কানাডা লাইন্স হিসেবে)[১] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ১ জানুয়ারি ১৯৬৫ (as এয়ার কানাডা হিসেবে) | ||||||
হাব |
| ||||||
ফোকাস শহর |
| ||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম |
| ||||||
জোট | Star Alliance | ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি |
| ||||||
বিমানবহরের আকার | ১৭২ | ||||||
গন্তব্য | ৩৫০ (incl. subsidiaries) | ||||||
প্রধান কার্যালয় | Montreal, Quebec, Canada | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি |
| ||||||
আয় | CAN$21.6 billion (2016)[৪] | ||||||
পরিচালন আয় | CAN$3.796 billion (2016) | ||||||
নিট আয় | CAN$998 million (2016) | ||||||
=মোট সম্পদ | CAN$36.127 billion (2016) | ||||||
মোট ইক্যুইটি | CAN$72 million (2016) | ||||||
কর্মচারী | 42,000 (2017) | ||||||
ওয়েবসাইট | aircanada |
এয়ার কানাডা হল কানাডার জাতীয় এবং বৃহত্তম বিমানসংস্থা৷ ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিমানসংস্থাটি পৃথিবীর ১৮২ টি গন্তব্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করে থাকে৷ সংস্থাটি পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম যাত্রীবাহী বিমানসংস্থা এবং স্টার এলায়েন্স এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য৷[৫]
পূর্ববর্তীতে ট্রান্স কানাডা এয়রলাইন্স(টিসিএ), যা কানাডিয়ান ন্যাশনাল রেলওয়ের(সিএনআর)একটি সাবসিডিয়ারি হিসাবে ১৯৩৭ সালের ১১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা লাভ করে [৬] এবং পরবর্তীতে এয়ার কানাডা হিসাবে রূপ লাভ করে৷ মন্ত্রী সি ডি হাউয়ি এর অধীনে গঠিত নতুন ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট সরকারের অধীনে বা সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি এয়ারলাইন প্রতিষ্টার ইচ্ছা প্রকাশ করে, যা আটলান্টিক এর উপকূলীয় অঞ্চলের শহরগুলোর সাথে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত শহরগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে৷ এ উদ্দেশ্যে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে কানাডিয়ান এয়ারওয়েজের নিকট হতে দুটি লকহীড মডেল ইলেকট্রাস ১০ এবং একটি বোয়িং বিমান ক্রয় করা হয় এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং আমেরিকান এয়ারলাইন্স হতে দক্ষ কর্মী আনা হয়৷ ১৯৩৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর হতে একটি ইলেকট্রা বিমানের মাধ্যমে প্রথম যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনা করা শুরু হয়৷ এরপর ১৯৩৮ সালের জুলাই মাসে ট্রান্স কানাডা এয়ারলাইন্স(টিসিএ)তাদের প্রথম ফ্লাইট অ্যাটেনন্ডেন্ট ভাড়া করে৷ মন্ট্রিল থেকে ভ্যানকুভার রূটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয় ১৯৩৯ সালের ১ এপ্রিল৷ এ সময় এয়ারলাইনটি ব্যবহার করছিলো ১২ টি লকহীড মডেল ১৪ সুপার ইলেকট্রাস এবং ৬ টি লকহীড মডেল ১৮ লোডস্টার বিমান৷[৭] ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এয়ারলাইনটির কর্মী সংখ্যা বৃ্দ্ধি পেয়ে প্রায় ৫০০ তে উন্নীত হয়৷
ফেডারেল আইন অনুসারে (এয়ার কানাডা অ্যাক্ট) এয়ার কানাডা তার প্রধান কার্যালয় মন্ট্রিলে রাখার জন্য বাধ্যবাধকতা অনুসরন করে৷[৮] সংস্থাটির প্রধান কর্পোরেট কার্যালয়ের নাম এয়ার কানাডা সেন্টার, যা একটি ৭ তলা বিশিষ্ট ভবন এবং এটি সেইন্ট লরেন্ট এর মন্ট্রিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ডে অবস্থিত৷[৯] ১৯৭৫ সালে এয়ার কানাডার প্রধান কার্যালয় মন্ট্রিলের অপর একটি এলাকায় অবস্থিত ছিলো৷ পরবর্তীতে খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে ১৯৯০ সালে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় মন্ট্রিলের বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয়৷[১০]
এয়ার কানাডার বর্তমান সাবসিডিয়ারিগুলোর মধ্যে রয়েছে- এয়ার কানাডা কার্গো, এয়ার কানাডা ভ্যাকেইশনস, এয়ার কানাডা এক্সপ্রেস, এয়ার কানাডা জেটস ইত্যাদি৷ এয়ার কানাডার পূর্বের সাবসিডিয়ারিগুলো হলো- এয়ার কানাডা জাজ, জিপ, এয়ার কানাডা ট্যাংগো, অ্যারোপ্লেন ইত্যাদি৷
এয়ার কানাডার বিমানসমূহ ২১ টি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যস্থল এবং ৮১ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে এর বিমানসমূহ পরিচালনা করে থাকে৷ বিমান সংস্থাটি ছয়টি মহাদেশের ৪৭ টি দেশের ১৮২ টিরও অধিক গন্তব্যস্থলে এর বিমানসমূহ পরিচালনা করে থাকে৷[১১][১২] এ সকল গন্তব্যস্থলের মধ্যে রয়েছে এশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ ইত্যাদি মহাদেশের বিভিন্ন দেশ যেমন- ব্রিটেন, কিংডম অব নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, আমেরিকা ইত্যাদি৷
নিচের এয়ারলাইনগুলোর সাথে এয়ার কানাডার কোডশেয়ার চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে:[১৩]
২০১৭ সালের আগস্ট মাস অনুসারে এয়ার কানাডা নিন্মের বিমানগুলো পরিচালনা করে থাকে৷[১৪] সংস্থাটির অধিকাংশ যাত্রীবাহী বিমানে সকল শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ভিডিও ডিসপ্লের সুবিধা ও অধিকাংশ বিমানে ওয়াই ফাই সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে৷[১৫][১৬]
এয়ারবাস এ৩১৯-১০০, এয়ারবাস এ৩২০-২০০, এয়ারবাস এ৩২১-২০০, এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯, বোয়িং ৭৬৭-৩০০ইআর, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, বোয়িং ৭৮৭-৮, বোয়িং ৭৮৭-৯, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯, বম্বারডিয়ার সিএস৩০০, এমব্রায়ার ১৯০৷
এয়ার কানাডার পূর্বের ব্যবহৃত বিমানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭।