| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ Salisbury, Rhodesia | (as Air Rhodesia Corporation)||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ২ এপ্রিল ১৯৮০ | ||||||
হাব | |||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | Rainbow Club | ||||||
বিমানবহরের আকার | ৮ | ||||||
গন্তব্য | ৫ | ||||||
প্রধান কোম্পানি | Air Zimbabwe Private Limited | ||||||
প্রধান কার্যালয় | হারারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হারারে, জিম্বাবুয়ে | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি |
| ||||||
ওয়েবসাইট | www |
এয়ার জিম্বাবুয়ে (প্রা) লিমিটেড জিম্বাবুয়ের একটি বিমান সংস্থা [১]। হারারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই বিমানসংস্থার সদর দফতর অবস্থিত[২]। এই এয়ার লাইন্স হারারে থেকে জিম্বাবুয়ের সহিত দক্ষিণ আফ্রিকা, এশিয়া এবং লন্ডন গ্যাটউইকের মধ্যে সংযোগ প্রদান করে থাকে[২][৩][৪]
এয়ার জিম্বাবুয়ে তার নামকরনের পূর্বে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এয়ার রোডেশিয়া নামে দেশের ভেতর অভ্যন্তরীন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতো, পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার জিম্বাবুয়ে নামে এটার কার্যক্রম শুরু করা হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে এয়ার রোডেশিয়া এর বেশ কিছু সম্পদ অর্জন করে এয়ার জিম্বাবুয়ে যার ভেতর রয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান এয়ারওয়েজ করপোরেশন (সিএএসি) এর সদস্য পদ। আরো অর্জন করে বোয়িং ডিসি-৩ এবং দ্রুতগামী বিমান ভিস কাউট। ১৯৭৮ সালে অল্প সময়ের জন্য এয়ার জিম্বাবুয়ে রোডেশিয়া হিসেবে কার্যক্রম চালায়। ১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ে রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার পর নবজন্ম হয়ে এয়ার জিম্বাবুয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বেই এটি হারারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দুবরান এবং জো বান সবাগ শহরের সাথে। লন্ডন-গ্যাট উহকোর সাথে ফ্লাইট চালু হয় ১৯৮০ সালের ২রা এপ্রিল। ১৯৮১ সালে দক্ষিণ এয়ার ওয়েজ থেকে একটি বোয়িং ৭০৭ লিজ নেয়। ৩ টি বোয়িং ৭০৭-৩২০ ক্রয় করেছিল লুফথান্স থেকে। একই সাথে ফ্রাংকফ্রুট সাথে ফ্লাইট চালু করা হয়। ১৯৮০ অর্থবছরে কোম্পানি ৩৩০,০০০ জিম্বাবুয়ে মুদ্রা (২২০,০০০ পাউন্ড) মুনাফা করে। ১৯৮০ সালে কোম্পানিটি জিম্বাবুয়ের একটি বিমান লিভাই অর্জন করে। ১৯৮২ সালে কোয়ান্টাস এর সহায়তায় কোয়ানটাস বোয়িং ৭৪৭ এসপি নিয়ে পার্থ এবং সিডনিতে ফ্লাইট চালু করে। একই সালের মে মাসে সরকার এয়ার জিম্বাবুয়ে অধিগ্রহণ করে ও আফ্রেট এয়ারের সাথে একীভূত হয়ে যায়। আফ্রেট এয়ার জিম্বাবুয়ে আইএটিএর (আইএটিএ) সদস্য পদ অর্জন করে। একই সাথে কোম্পানি তার আঞ্চলিক রুট সম্প্রসারণ করে গাবোরন, লিংগাইয়ে, লুথাকা ও নাইরোবি পর্যন্ত। ১৯৮২ সালে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে রোডেশিয়া তাদের রং পরিবর্তন করে জাতীয় রঙ্গে রঙ্গীন হবে।আভ্যন্তরীন রাস্তার বাইরে এটি হারারের সাথে বাফালু রেংগেট বুলাওয়ে, খয়েরু, হয়ানগ ন্যাশনাল পার্ক, মাসভিনগো এবং ভিক্টরিয়া ফলস এবং আঞ্চলিক ফ্লাইট ব্লান্টায়ার, দুরবান, গাবরান, জোহান সবারগ, লুফাকা এবং নাইরোবি পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুট এথেন্স, ফ্রাংকফ্রুট এবং লন্ডন ফ্লাইট পরিচালনা করতে থাকে। কোয়ান্টাস বোয়িং ৭৪৭ এম্পি দিয়ে হারারে-পার্থ-সিডনি রুট পরিচালিত হতো।মায়েরেস্ক থেকে লিজ নিয়ে বোয়িং ৭৩৭-২০০ ফেরত দেয়া হয় এবং ১৯৮৭ সালে জিএই ১৪৬-২০০ ক্রয় করা হয়।
এ্যায়ার জিম্বাবুয়ে আনেক বছর ধরেই একটি লোকসান বহনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিগণিত হতো অনিয়মিত সেবা প্রদানের কারণে। যদিও বিমানসংস্থাটি ছিল সরকারী, তথাপি পরিপূর্ণ বাৎসরিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি অনেক দিন বরং সর্বশেষ যেবার অডিটেড এ্যানুয়াল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল সেটা ছিল ১৯৯৮ সাল। তথাপি বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে ৪৪.৮ মিলিয়ন ডলার লোকশান করেছিল।