এরনা সুলবার্গ | |
---|---|
![]() | |
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত | |
দায়িত্ব গ্রহণ অক্টোবর, ২০১৩ | |
সার্বভৌম শাসক | পঞ্চম হারল্ড |
যার উত্তরসূরী | ইয়েন স্টলটেনবার্গ |
কনজারভেটিভ পার্টি নেতা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৯ মে, ২০০৪ | |
পূর্বসূরী | জেন পিটারসেন |
স্থানীয় সরকার ও আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯ অক্টোবর, ২০০১ – ১৭ অক্টোবর, ২০০৫ | |
প্রধানমন্ত্রী | জেল ম্যাগনে বন্দেভিক |
পূর্বসূরী | সিলভিয়া ব্রুস্তাদ |
উত্তরসূরী | অ্যাজলাগ হাগা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বার্গেন, নরওয়ে | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১
রাজনৈতিক দল | কনজারভেটিভ পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সিন্দ্রে ফিন্স |
সন্তান | ২ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় |
আর্না সলবার্গ (নরওয়েজীয়: Erna Solberg; জন্ম: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১) বার্গেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নরওয়ের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিশিষ্ট নারী রাজনীতিবিদ। ২০০৪ সাল থেকে নরওয়ের কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের সংসদ নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থী জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। এরফলে ১৪ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে তিনি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইয়েন স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হন।
নরওয়ের পশ্চিমাংশের বার্গেনে এরনা সুলবার্গ জন্মগ্রহণ করেন ও কালফারেত এলাকায় বড় হন। বাবা অ্যাসবর্ন সুলবার্গ বার্গেন স্পোরভেইয়ে পরামর্শক ছিলেন। মা ইঙ্গা ওয়েঞ্চি তরগারসেন একজন কর্মজীবি নারী। সুলবার্গের দুই বোন রয়েছে।
বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি সক্রিয় ও গল্পপ্রিয় ছিলেন।[১] ১৯৭৯ সালে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইউনিয়নের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হন। একই সালে জ্যামাইকায় অর্থসাহায্যের জন্য জাতীয় পর্যায়ের দাতব্য সংস্থা অপারেশন ড্যাগসভার্কেরও নেতৃত্বে ছিলেন সুলবার্গ। ১৯৮৬ সালে বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। চূড়ান্ত বর্ষে থাকাকালীন কনজারভেটিভ পার্টির ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিতা সুলবার্গ সিন্দ্রে ফিন্সের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।[২]
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বার্গেন সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধি সদস্য হন। তারপর ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল মেয়াদকালে নির্বাহী পরিষদের প্রতিনিধি সদস্য হয়েছিলেন সুলবার্গ।
১৯৮৯ সালে হর্দাল্যান্ড এলাকা থেকে প্রথমবারের মতো নরওয়ের সংসদ স্টর্টিংয়ের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আরও পাঁচবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় কনজারভেটিভ ওম্যান’স অ্যাসোসিয়েশনের দলনেত্রী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।
২০০১ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেল ম্যাগনে বন্দেভিকের দ্বিতীয় মন্ত্রীপরিষদে স্থানীয় সরকার ও আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন সুলবার্গ। মন্ত্রণালয়ের নীতি-নির্ধারণে তার শক্ত ভূমিকার জন্য সংবাদ মাধ্যমে জার্ন-আর্না (লৌহমানবী এরনা) নামে পরিচিতি পান।[৩] ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল মেয়াদে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির উপ-নেতা মনোনীত হন। দলের নেতৃত্ব পান ২০০৪ সালে।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভাব্য সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর তিনি হলেন গ্রো হার্লেম ব্রুন্দতল্যান্ডের পর নরওয়ের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সিলভিয়া ব্রুস্তাদ |
স্থানীয় সরকার ও আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী ২০০১-২০০৫ |
উত্তরসূরী অ্যাজলগ হাগা |
পূর্বসূরী ইয়েন স্টলটেনবার্গ |
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত ২০১৩-বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
পূর্বসূরী জেন পিটারসেন |
কনজারভেটিভ পার্টি নেতা ২০০৪-বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |
টেমপ্লেট:Stortinget 2001-2005 টেমপ্লেট:Stortinget 2005-2009 টেমপ্লেট:BondevikII টেমপ্লেট:Stortinget 2009-2013