ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এরিক আলফ্রেড বার্চেল রোয়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২০ জুলাই ১৯০৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩০ এপ্রিল ১৯৯৩ জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ভাই: অ্যাথল রোয়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪১) | ১৫ জুন ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ আগস্ট ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ অক্টোবর ২০১৭ |
এরিক আলফ্রেড বার্চেল রোয়ান (ইংরেজি: Eric Rowan; জন্ম: ২০ জুলাই, ১৯০৯ - মৃত্যু: ৩০ এপ্রিল, ১৯৯৩) জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৫১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল, ইস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। মূখ্যতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন এরিক রোয়ান। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।
২০ বছর বয়সে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলতে শুরু করেন রোয়ান। এরপর তাকে টেস্ট খেলার জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে তার টেস্ট অভিষেক হয়। এ সফরে টেস্টে খুব কমই সফলতা পেয়েছেন। সর্বোচ্চ ৬২ রান তুলেছিলেন তিনি। তবে প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। ছয় সেঞ্চুরি সহযোগে ১৯৪৮ রান তুলেন।
১৯৩৯-৪০ মৌসুমে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব সর্বোচ্চ রান তুলেন। নাটালের বিপক্ষে ৪২৬ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে অপরাজিত ৩০৬* রান তুলেন তিনি।[২]
এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলায় অংশ নেন। প্রথম টেস্টে ৬৬ ও ৪৯ রান তুলেন। তবে পরবর্তী দুই টেস্টে ক্ল্যারি গ্রিমেটকে সঠিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হন। ফলশ্রুতিতে দল থেকে বাদ পড়েন এরিক রোয়ান।
১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। চার খেলায় ২৮৪ রান তুলে দলে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। এ পর্যায়ে সর্বোচ্চ রান করেন অপরাজিত ৮৯ রান। কিন্তু দল নির্বাচকমণ্ডলীর সাথে তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে পরবর্তী দশ বছর পর টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ১৯৪৭ সালের ইংল্যান্ড সফরে দলের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
দলে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে নিজদেশে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে মাঠে নামেন এরিক রোয়ান। জোহেন্সবার্গের দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন ঘোষণা করা হয় যে পরের খেলায় তাকে বাদ দেয়া হবে। অপরাজিত ১৫৬* রানের ইনিংস খেলে এর সমুচিত জবাব দেন। এ ইনিংসের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ঐ সময় তারা প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রানে পিছিয়ে ছিল। সিরিজের চতুর্থ টেস্টেও খেলা রক্ষাকারী ইনিংস উপহার দেন তিনি।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে ডারবানে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৩ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন। এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল। ১৯৩৫ সালের পর এটিই তার পাঁচ টেস্টের পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণ ছিল। এবার তিনি ডাডলি নোর্সের নেতৃত্বে সহঃ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
ইংল্যান্ড সফরেই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস খেলেন। হেডিংলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৬ রান তুলেন। গড়ের দিক দিয়ে টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের উভয় পর্যায়েই শীর্ষস্থানে ছিলেন।
এ কৃতিত্ব অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ পরের বছর উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। তবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিলেন না তিনি।
ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে এরিক রোয়ান ও উইকেট-রক্ষক জন ওয়েট ধীরগতিতে রান সংগ্রহের প্রেক্ষিতে ঘেরাও হন। শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা উইকেটে অবস্থান করতে বাধ্য হন। পরে প্যাভিলিয়নে প্রত্যাবর্তনের পর রোয়ান তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
৪০ বছরের নিচে অবস্থান করেও রোয়ান বেশ ভালো অবস্থানে ছিলেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল থেকে বাদ পড়েন যা বেশ বিস্ময়কর ছিল।
এর জবাবসূচক দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। এরপর তিনি আর টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেননি ও এর অব্যবহিত পরই অবসর গ্রহণ করেন।
তার ছোট ভাই অ্যাথল রোয়ান অফ স্পিন বোলার ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে অ্যাথলের।
১৯৩৯ সালে ভিন্নতর ব্যক্তিগত রানের টেস্ট ইনিংস খেলে টেস্ট রেকর্ড গড়েন এরিক রোয়ান। এ সময় তিনি কোন বাউন্ডারি বা ছক্কা না হাঁকানোর পাশাপাশি চার রান নেয়ার উদ্দেশ্যে দৌড়াননি। ১৯৭৮ সালে জিওফ্রে বয়কট অপরাজিত ৭৭ রান তুলে এ রেকর্ডটুকু ভেঙ্গে ফেলে নিজের করে নেন। তবে তিনি দৌড়ে চার রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৩][৪]
বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৪২ বছর ৬ দিন।[৫]
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ২০ বছরের অধিককাল একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উভয় অংশেই তার খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
কখনোবা গ্লাভসবিহীন অবস্থায়, আবার কখনো নিম্নাঙ্গের রক্ষাকবচ আচ্ছাদন বাদেই মাঠে নামতেন তিনি। এছাড়াও কর্তৃপক্ষের ধার ধারতেন না তিনি। ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল থেকে উপেক্ষিত হন তিনি।