এল গুগুন্স | |
---|---|
দেশ | নিকারাগুয়া |
সূত্র | ১১৯ |
ইউনেস্কো অঞ্চল | লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল |
অন্তর্ভূক্তির ইতিহাস | |
অন্তর্ভূক্তি | ২০০৫ |
তালিকা | প্রতিনিধিত্বমূলক |
এল গুগুন্স (স্পেনীয়: El Güegüense) বিদ্রুপাত্মকধর্মী নাটক। এছাড়াও এটি মাচো রাতোন নামে পরিচিত। এটি প্রাক-কলম্বীয় নিকারাগুয়ার প্রথম সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডরূপে এর সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এটি লাতিন আমেরিকার অন্যতম রীতিবিরুদ্ধ ঔপনিবেশিকযুগের কাজ হিসেবে বিবেচিত ও নিকারাগুয়ার পরিচিতিমূলক প্রচলিত সেরা শৈল্পিক নিদর্শনস্বরূপ যাতে সঙ্গীত, নৃত্যকলা ও থিয়েটারের সংমিশ্রণ ঘটেছে।[১] এর সম্মানার্থে রাজধানী ম্যানাগুয়ার কেন্দ্রস্থলে গোলাকার চত্ত্বরে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।[২] সাংবার্ষিকভিত্তিতে ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কারাজো ডিপার্টমেন্টের দিরিম্বা পৌর এলাকার স্যান সেবাস্তিয়ানের সম্মানে আয়োজিত গণভোজন চলাকালে এল গুগুন্স প্রদর্শন করা হয়।
ষোড়শ শতাব্দীতে জনৈক লেখক এ মঞ্চ নাটকটি রচনা করেছিলেন। এরফলে পশ্চিম গোলার্ধ্বের দেশগুলোয় সর্বাপেক্ষা প্রাচীন আদিবাসী মঞ্চ/নৃত্যধর্মী কাজের স্বীকৃতি পেয়েছে।[৩] পরবর্তীতে লোকমুখে শতাব্দীর পর শতাব্দী এটি টিকে থাকে। অবশেষে এর লিখিতরূপে প্রকাশ পায়। ১৯৪২ সালে প্রথমবারের মতো গ্রন্থাকারে গুগুন্স প্রকাশিত হয়।[৪] প্রথম লিখিত সংস্করণে এ নাটকের ৩১৪ চরণ ছিল। নহুয়াতল ও স্পেনীয় - উভয় ভাষায় প্রথম লেখা হয়েছিল।
নাটকের নামটি এর প্রধান চরিত্র ‘এল গুগুন্সে’র নামানুসারে হয়েছে। নহুয়াতল শব্দ ‘হুহু’ শব্দ থেকে এ শব্দটি আহুত হয় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘বয়ষ্ক ব্যক্তি’ বা ‘জ্ঞানী ব্যক্তি’।[৪]
নাটকে সর্বমোট ১৪টি চরিত্র রয়েছে। তন্মধ্যে, তিনটি আদিবাসী মেস্তিজো জনগোষ্ঠীর।
স্পেনীয় সরকারের প্রতিনিধি:
মহিলা:
এটি স্পেনীয় ভাষায় রচনা করা হয়েছে। সাথে কিছু নিকারাও (পিপিল) শব্দের সংমিশ্রণ ঘটেছে। এরফলে কখনো এটি মিশ্রিত বা ক্রিয়ল ভাষা হিসেবে দাবী করা হয়। তবে এর স্বপক্ষে কোন প্রামাণ্য দলিল নেই।[৫]
এল গুগুন্স নিকারাগুয়ার পল্লীসাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। সেলক্ষ্যে, ইউনেস্কো এটিকে মৌখিক ও স্পর্শবিহীন মানবধর্মী ঐতিহ্যরূপে ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে মধ্য আমেরিকার একমাত্র দেশ এবং লাতিন আমেরিকার ছয় দেশের অন্যতম দেশ হিসেবে নিকারাগুয়া ইউনেস্কো কর্তৃক দুইটি সেরা শৈল্পিক নিদর্শনের দাবীদার হয়।[৬]
এল গুগুন্সে আর্থিক বিষয়াদির ন্যায় তুচ্ছ অথচ মূল কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা কিংবা সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহিতার বিষয়কে প্রতীকী অর্থে সংবাদপত্রসমূহের সম্পাদকীয় কলামে প্রায়শঃই উদ্ধৃতি দেয়া হয়ে থাকে।[৭] এছাড়াও, নির্বাচনে প্রকৃত ভোটের বিষয় নিয়েও এর প্রয়োগ করা হয়। ১৯৯০ সালে এফএসএলএন দলের অপ্রত্যাশিত পরাজয়ে এ গুগুন্স শব্দের ব্যবহার হয়েছে।[৮] এল গুগুন্সকে নিকারাগুয়ার ঐতিহ্যবাহী শিল্প হিসেবে সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা থাকা স্বত্ত্বেও নাটকটির পটভূমিতে অভিজাতসম্প্রদায়ের জীবনধারাকে নেতিবাচক অর্থে নেয়া হয়েছে যাতে প্রায়শঃই রাজনৈতিক বক্তব্যের লম্বা হাতরূপে আখ্যায়িত করা হয়। এর বিপরীতক্রমে জাতীয় উন্নয়নের বর্তমান ধারায় কঠোর পরিশ্রম, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি ও পণ্যদ্রব্য রপ্তানী ব্যাপকভাবে অর্থবহ করে তুলেছে।[৯]
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)