এলজিবিটি বিরোধী ভাষা হল থিম, পুনঃপুন উচ্চারিত কোনো বাক্য (ক্যাচফ্রেইজ) এবং স্লোগান যা সমকামী অথবা বিষমকামী নয় এমন যৌন অভিমুখিতা দেখা যাওয়া মানুষকে নীচু করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এগুলো শুধুমাত্র অবমাননাকর এবং অপমানজনক বাক্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না; কোথাও কোথাও ধর্মীয়, সামাজিক নৈতিকতা অথবা তথাকথিত চিকিৎসা শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে এধরনের ভাষার ব্যবহার সমকামী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার প্রতি হুমকির ভিত্তি গড়ে দেয়। এধরনের ভাষার ব্যবহার ঘৃণাত্মক বক্তব্যের একটি রুপ;[১][২] যা নেদারল্যান্ড[৩] নরওয়ে,[৪] এবং সুইডেনে নিষিদ্ধ।[৫] এলজিবিটি বিরোধী প্রপাগাণ্ডা প্রায়সমই দেখা যায় নৈতিক আতঙ্ক (মোরাল প্যানিক) বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে গঠিত। পূর্ব ইউরোপে এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলি পূর্বের ইহুদী বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র তত্ত্বের গর্ভ থেকে উৎসরিত; যেখানে মনে করা হত এলজিবিটি আন্দোলন বিদেশী নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্যের একটি হাতিয়ার।[৬][৭][৮]
সমকাম-বিরোধী কর্মীদের মতে সমকামিতা প্রথাগত পারিবারিক মুল্যবোধের বিরুদ্ধাচরণ করে অথবা এই প্রবৃত্তি ট্রয়ের ঘোড়ার মত যা পরিবারকে ধ্বংস করবে[৯] এবং একসময় মানব সভ্যতাকেই হুমকির মধ্যে ফেলে দিবে।
সমকামিতার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার বিতর্ক হাজার বছরের পূর্ব থেকে প্রচলিত। এমনকি ষষ্ঠ শতকে বাইজেন্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান এর পূর্বেও ভূমিকম্পের জন্য সমকামীদের যথেচ্ছ কৃতকর্মকে দায়ী করা হত।[১০]প্রারম্ভিক আধুনিক যুগের খ্রিষ্টান সাহিত্যে ভূমিকম্প, বন্যা, দুর্ভিক্ষ, প্লেগ, সারাসেন্স (আরব মুসলিম) দ্বারা আক্রমণ এবং ফসলি জমিতে ইদুরের প্রাদুর্ভাবের জন্য সমকামীদের হরহামেশা দায়ী করা হত।[১১] এমনকি ১৯৭৬ সালে এসেও ক্যালিফোর্নিয়ায় খরার জন্য অনিতা ব্রায়ান্ত সমকামীদের দায়ী করেন।[১০] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ওয়েস্টবোরো ব্যাপটিস্ট চার্চ সহ দক্ষিণপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলি দাবি করে চলেছে যে সমকামীরা নানাবিধ দুর্যোগের জন্য দায়ী।[১২]আইজ্যাক, ক্যাটরিনা এবং স্যান্ডির মত ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সমকামীদের দায়ী করা হয়েছে।[১৩] ২০২০ সালে ইজরায়েলি রাব্বি মেইর মাজুজ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীকে সমকামী ক্রিয়াকলাপ বা গৌরব পদযাত্রার জন্য ঐশ্বরিক প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[১৪]
যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পরে টেলিভিশনে ধর্ম প্রচারক জেরী ফলওয়েল "গর্ভপাতসমর্থনকারী, নারীবাদী, প্যাগান, সমকামী এবং যারা বিকল্প ধারায় জীবন যাপন করতে চায় ও সেকুলার দলগুলোর জন্য" ইসলামী জঙ্গিসংগঠনগুলো হামলা চালিয়েছে বলে দাবী করে। এছাড়াও তিনি দাবী করেন এসমস্ত প্রবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ায় ঈশ্বর যুক্তরাষ্ট্রকে আর রক্ষা করছেন না।[১৫] তিনি অবশ্য তার এ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।[১৬][১৭]
২০১২ খৃষ্টাব্দে চিলির রাজনীতিবিদ ইগনাসিও উরুশিয়া দাবী করেন সমকামীরা যদি চিলির সামরিক বাহিনীতে চাকরি করে তাহলে পেরু এবং বলিভিয়া তার দেশকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে দিবে।[১৮]
সমকামীদের জন্য স্রষ্টা ঐশ্বরিক শাস্তি হিসেবে এইচআইভি/এইডস রোগের সৃষ্টি করেছে-এরকম ভ্রান্ত ধারণা প্রথমদিকে ছড়িয়ে পরে।[১০][১৯][২০] ১৯৮০ সালে এইডস নামক মহামারীর প্রথমদিকে মুলধারার পত্রিকা গুলো এইডসকে "গে প্লেগ" হিসেবে উল্লেখ করে।[২১][২২][২৩] বেশ কিছু বছর ধরে এই রোগটিকে সমকামিতার সাথে সম্পর্কিত রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হত।[২৪]
সমকামী উভকামী এবং রূপান্তরকামীদের নিয়ে সরকারের নীতিতে পরিবর্তনকে সমকামী বিরোধীরা "সমকামী এজেণ্ডা" নামক পদবাচ্যে অভিহিত করে। অরাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের সমকামীদের সমর্থনকে এসব বিরোধী গ্রুপগুলো সমকামীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম হিসেবে দেখে। তাদের মতে সমকামীরা অনেক বিষমকামীকে সমকামী হিসেবে জীবন যাপন করতে প্ররোচিত করে এবং এভাবে ধীরে ধীরে সামাজিক, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সমকামীরা স্বীকৃতি পেয়ে যাবে।[২৫]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, "সমকামী এজেন্ডা" শব্দবন্ধটি জনপ্রিয় হয় ক্যালিফোর্নিয়ার ইভাঞ্জেলিক্যাল ধর্মীয় দল স্প্রিংস অফ লাইফ মিনিস্ট্রিজ দ্বারা নির্মিত একটি ভিডিও সিরিজের মাধ্যমে যা বহু খ্রিস্টান ডানপন্থী সংস্থা দ্বারা বিতরণ করা হয়েছিল, সিরিজের প্রথম ভিডিওটির নাম ছিল দ্য গে এজেন্ডা এবং এটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়।[২৬]:৮১-৮১
লিঙ্কনে অবস্থিত ইন্সটিটিউট ফর দ্য সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশন অফ সেক্সুয়ালিটি-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল ক্যামেরন সেই ভিডিওতে দাবী করেন ৭৫ শতাংশ সমকামী পুরুষ নিয়মিত মলকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে এবং ৭০-৭৮ শতাংশের যৌনবাহিত রোগ হয়েছে। [২৭] "গে এজেন্ডা" নামক ভিডিওটির পরে আরও তিনটি ভিডিও প্রকাশিত হয়; দ্য গে এজেন্ডা ইন পাবলিক এডুকেশন (১৯৯৩), দ্য গে এজেন্ডা: মার্চ অন ওয়াশিংটন (১৯৯৩) এবং একটি ফিচার ফলো-আপ স্টোনওয়াল: ২৫ ইয়ার্স অফ ডিসেপশন (১৯৯৪)। ভিডিওগুলিতে এলজিবিটি অধিকারের বিরোধীদের সাক্ষাৎকার ছিল, এবং সিরিজটি ডানপন্থী খ্রিস্টান সংস্থাগুলির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।[২৮]
সমকামীদের পক্ষের সংগঠন জিএলএএডি "সমকামী/গে এজেন্ডা" কে সমকামী বিদ্বেষীদের তৈরী করা আলঙ্কারিক পদবাচ্য হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, "এসব চরমপন্থীরা এরকম পদবাচ্য ব্যবহার করে এলজিবিটি জনগণের অধিকার চাওয়ার বিষয়কে অশুভ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।"[২৯] "সমকামী এজেন্ডা" এইধরনের পদবাচ্য যেসব ক্যাম্পেইনে ব্যবহার করা হবে, সেসব ক্যাম্পেইনকে সমালোচক এবং গবেষক সমকামী বিদ্বেষী প্রোপাগাণ্ডা হিসেবে বর্ণনা করেছে।[৩০][৩১][কে?]
১৯৮৭ খৃষ্টাব্দে মাইকেল সুইফট সমকামিতা নিয়ে প্রচারিত পত্রিকায় "গে বিপ্লব" শিরোনামে একটি ব্যাঙ্গাত্মক নিবন্ধ লিখেন। সেখানে তিনি এমন একটি পটভূমিকে তুলে ধরেন যেখানে একজন সমকামী পুরুষ মার্কিন সমাজকে শাসন করছেন এবং বিষমকাম সম্পর্কিত সবকিছুকে করছে দমন। এই নিবন্ধের শুরুর বাক্য ছিল "এই প্রবন্ধটি খুবই অদ্ভুত, পাগলামি, মর্মান্তিক, নিষ্ঠুর কল্পনা, অভ্যন্তরীণ ক্রোধের অগ্ন্যুৎপাত, যেখানে বলা হয়েছে কীভাবে নিপীড়িতরা অত্যাচারী হওয়ার মরিয়া স্বপ্ন দেখেন।[৩২]
প্লেটো, এরিস্টটল এবং থমাস একুইনাসের সময় থেকেই সমকামিতাকে অপ্রাকৃতিক হিসেবে বর্ণনা করা হত। যদিও অপ্রাকৃতিক কী তার একক কোনো সংজ্ঞা নেই। যারা প্রকৃতিতে সমকামিতা দেখা যায় না; এই যুক্তিতে সমকামিতাকে অপ্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচনা করে, তাদের এই যুক্তি খারিজ হয়ে যায় প্রাণিতে সমকামিতা দেখা যাওয়ার মাধ্যমে। অন্য অনেকের মতে স্রষ্টার ইছায় অথবা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে যেভাবেই যৌন অঙ্গ গুলোর সৃষ্টি হোক না কেন, তা হয়েছে মুলত প্রজননের জন্য। প্রজনন ব্যতিরেকে অন্য যেকোনো উদ্দেশ্যে সঙ্গম অপ্রাকৃতিক আচরণ। আবার কারোমতে সমকামিতা আর কিছুই নয় বরং ইচ্ছাকৃত পাপের ফল। যাইহোক, যদি যৌন অভিমুখিতার কারণ জৈবিক (গবেষণা চলমান) হয়, তাহলে এই ধরনের যুক্তির কোনো কার্যকারিতা থাকে না।[৩৩]
যারা সমকামিতাকে অপ্রাকৃতিক বলে অভিহিত করেছেন, যেমন ট্র্যাডিশনাল ভ্যালুস কোয়ালিশন প্রধান ও খ্রিস্টান ডানপন্থী কর্মী লুই শেলডন বলেছেন, যদি সমকামিতা নামক প্রবৃত্তি জন্মগত বলে প্রমাণিত হয়, তবুও এটি রোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।[৩৩] মনোরোগ সংস্থাগুলো সমকামকে স্বাভাবিক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমকামিতার মত প্রবৃত্তি মানসিক ব্যাধির মানদণ্ড পূরণ না করায় ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার (ডিএসএম) থেকে ১৯৭৩ সালে এই প্রবৃত্তিকে মানসিক ব্যাধির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।[৩৪][৩৫][৩৬] ক্যাথলিক চার্চ এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা দেয় "সমকাম প্রবৃত্তি" একধরনের বৈকল্য।[৩৭] ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্দোনেশিয়াতে টুইটারে #তোলাক এলজিবিটি (#এড়িয়ে চল এলজিবিটি) নামক হ্যাশট্যাগ এর ব্যাপক ব্যাবহার দেখা যায় যেখানে দাবী করা হয় এলজিবিটি একটি রোগ।[৩৮] ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে আর্চবিশপ মেরেক জেদ্রাসজেইস্কি দাবি করেন "রংধনু প্লেগ" পোল্যান্ডকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।[৩৯] ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে পোল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী এই বিবৃতিকে সমর্থন করেছিলেন, তিনিও একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন "এলজিবিটি ভাইরাস" পোলিশ স্কুলে তীব্রভাবে ছড়িয়ে পরছে যা এমনকি কোভিড ১৯ এর চেয়েও তীব্র সংক্রামক। [৪০]
"Adam and Steve" শিরোনামকে এখানে পুনর্নির্দেশ করা হয়েছে। the 2005 film জন্য Adam & Steve দেখুন।
"স্রষ্টা তৈরী করেছেন আদম এবং ইভকে, আদম এবং স্টিভকে নয়" বাইবেলের যুক্তিকে ব্যবহার করে এই প্রবাদটি সমকামী বিরোধীরা ব্যবহার করে বুঝাতে চায় সমকামিতা পাপের কাজ এবং অপ্রাকৃতিক।[৪১][৪২]খ্রিষ্টানিটি টুডে নামক পত্রিকায় ১৯৭০ সালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বর্ণিত গ্রাফিতিতে বলা হয়, "যদি স্রষ্টা সমকামিতা স্বীকৃতি দিতেন তাহলে তিনি আদম এবং ফ্রেডিকে সৃষ্টি করতেন।"[৪৩] জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী নেলসন চামিসা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "আমাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের বিধানকে সম্মান করতে হবে; পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে আদম এবং ইভ অর্থাৎ নারী এবং পুরুষ থেকে, আদম এবং স্টিভ থেকে নয়।"[৪৪]
এলজিবিটি বিরোধী কথাবার্তায় এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষদের মানুষ না ভাবার একটি প্রবণতা প্রায়সই দেখা যায়, যেখানে এলজিবিটি মানুষকে পশুর সাথে অথবা সমকামি সম্পর্ককে পশুকামিতার সমতুল্য করে দেখা হয়।[৪৫][৪৬]
এলজিবিটি বিরোধী কথাবার্তার মধ্যে এলজিবিটি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান এবং পরামর্শও রয়েছে যে তাদের হত্যা করা উচিত[৪৭] যেমন সাইপ্রাসে,[৪৮] ইরানে,[৪৯],রাশিয়ায়,[৫০] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,[৫১][৫২] মালাউইতে,[৫৩] বা উগান্ডাতে[৫৪] এরকম আহ্বান দেখা গিয়েছে।
সার্বিয়ায় রাজনৈতিক দল ওব্রাজ সদস্যরা "ডেথ টু ফ্যাগটস" স্লোগান দেয় এবং বেসবল ব্যাটের একটি ছবির পাশে "আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি" (সার্বীয়: чекамо вас) লেখা পোস্টার পোস্ট করে। ২০১২ সালে, উগ্রপন্থার কারণে সার্বিয়ার সাংবিধানিক আদালত এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে।[৫৫][৫৬]
↑Alvarado, Cheney; Churchill, Lindsey (২০১৯)। "Radical Gay Agenda"। Pierceson, Jason। LGBTQ Americans in the U.S. Political System: An Encyclopedia of Activists, Voters, Candidates, and Officeholders, Volume 2। Santa Barbara, Calif.: ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 351–353। আইএসবিএন978-1-4408-5277-0।
↑Herman, Didi (১৯৯৮)। The Anti-Gay Agenda: Orthodox Vision and the Christian Right। University of Chicago Press। আইএসবিএন9780226327693।
↑ কখHopkins, Patrick D. (২০১২)। "Naturalizing homosexuality: biology, sexual orientation, and the nature/culture distinction"। Queer Philosophy। Brill | Rodopi। পৃষ্ঠা 1–9। আইএসবিএন978-94-012-0835-2। ডিওআই:10.1163/9789401208352_002।
↑Cleath, Robert L. (ডিসেম্বর ৪, ১৯৭০)। "'Gays' Go Radical"। Christianity Today। Carol Stream, Illinois: Christianity Today International: 40–41। আইএসএসএন0009-5753। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২০।
↑Baider, Fabienne (২০১৮)। ""Go to hell fucking faggots, may you die!" framing the LGBT subject in online comments"। Lodz Papers in Pragmatics। 14 (1): 69–92। এসটুসিআইডি158928585। ডিওআই:10.1515/lpp-2018-0004।