ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম |
ব্যাঙ্গালোর, মহীশূর রাজ্য | ১৫ জুন ১৯৪০||
মৃত্যু |
২৬ এপ্রিল ২০২২ ব্যাঙ্গালোর, কর্ণাটক, ভারত | (বয়স ৮১)||
সিনিয়র কর্মজীবন | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
মহীশূর | |||
জাতীয় দল | |||
১৯৬৭ | ভারত |
এলভেরা ব্রিটো (১৫ই জুন ১৯৪১ – ২৬শে এপ্রিল ২০২২) ছিলেন একজন ভারতীয় ফিল্ড হকি খেলোয়াড়। তিনি ছিলেন ভারতীয় মহিলা হকি দল এবং মহীশূর রাজ্য দলের অধিনায়ক। তিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে টানা আটবার মহীশূর দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং এই সময়ের মধ্যে টানা আটবারই শিরোপা জিতেছিল মহীশূর দল।[১] ব্রিটো ১৯৬৬ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান অর্জুন পুরস্কার পান।[১]
ব্রিটো কর্ণাটক রাজ্য মহিলা হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা দলের নির্বাচক হিসাবেও কাজ করেছেন।
ব্রিটো ১৯৪০ সালের ১৫ই জুন ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরের একটি শহরতলি কুক টাউনে একটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২][৩] তিনি চার বোনের মধ্যে বড় ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই জাতীয় মহিলা হকি দলের সদস্য হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ছোট বেলায়, ব্রিটো ক্রিকেট, সাঁতার এবং ফুটবল সহ একাধিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৩] তিনি বেঙ্গালুরুর সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার গার্লস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।[৪]
ব্রিটো ১৩ বছর বয়সে হকি খেলা শুরু করেন এবং পরে গিয়ে মহীশূর রাজ্য মহিলা হকি দলের অধিনায়ক হন।[২] ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে অধিনায়ক হিসাবে, তিনি টানা আট বছর দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় শিরোপা জিতেছিলেন।[৫] তাঁর বোন, মায়ে এবং রীতার সাথে, ব্রিটো বোনদের ভারতীয় জাতীয় এবং মহীশূর রাজ্য দলে 'দুর্দান্ত ত্রয়ী' হিসাবে বিবেচনা করা হত।[৫] তিনি অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[৬]
তিনি ১৯৬৬ সালে ভারতের অর্জুন পুরস্কার অর্জনকারী দ্বিতীয় মহিলা হকি খেলোয়াড় ছিলেন।[৫][ক][৬][৮] এর আগে, ১৯৬১ সালে উদ্বোধনী বছরে, অ্যান লুমসডেন এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
১৯৭০-এর দশকে ব্রিটো খেলা থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি প্রশাসক হিসাবে খেলার সাথে যুক্ত ছিলেন, তিনি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্ণাটক রাজ্য মহিলা হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] ব্রিটোর মা লাতেটিয়া ছিলেন সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[৪] ব্রিটো বারো বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় হকি দলের নির্বাচক এবং ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।[২] ১৯৬০-এর দশকে ভারতীয় মহিলা হকি খেলোয়াড়দের কষ্টের কথা উল্লেখ করে, ব্রিটোর বোন রায়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ব্রিটোরা তৃতীয়-শ্রেণীর ট্রেনে ভ্রমণ করতেন, তাঁদের খাবার নিজেদেরই রান্না করতে হত এবং এমনকি টুর্নামেন্টের আগে তাঁদের নিজস্ব ইউনিফর্ম সেলাই করে নিতে হত।[৩] একজন প্রশাসক হিসাবে, ব্রিটোর লক্ষ্য ছিল আন্ত-স্কুল প্রতিযোগিতায় হকির প্রতি আগ্রহের পুনরুজ্জীবন, খেলোয়াড়েরা আসারও আগে তাঁর মোপেড নিয়ে তিনি চলে আসতেন।[৪]
ব্রিটো ২০২২ সালের ২৬শে এপ্রিল ব্যাঙ্গালোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।[৪] তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।[৫] তিনি চিরজীবন অবিবাহিত ছিলেন।[২]
{{cite news}}
: CS1 maint: others (link)