এলিমিনেশন চেম্বার | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
![]() | ||||||
বিবরণ | ||||||
সংস্থা | ডাব্লিউডাব্লিউই | |||||
ব্র্যান্ড | র স্ম্যাকডাউন | |||||
তারিখ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | |||||
মাঠ | স্কটট্রেড সেন্টার | |||||
শহর | সেন্ট লুইস, মিসৌরি | |||||
দর্শক সংখ্যা | ১৭,০০০[১] | |||||
প্রতি-দর্শনে-পরিশোধ-এর কালানুক্রমিক | ||||||
| ||||||
এলিমিনেশন চেম্বার-এর কালানুক্রমিক | ||||||
|
এলিমিনেশন চেম্বার একটি পেশাদার কুস্তি প্রতি-দর্শনে-পরিশোধ (পিপিভি) এবং সরাসরি ধারাবাহিক সম্প্রচার অনুষ্ঠান ছিল, যা ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডাব্লিউডাব্লিউই) তাদের ব্র্যান্ড র এবং স্ম্যাকডাউনের জন্য প্রযোজনা করেছে।[২] এটি এলিমিনেশন চেম্বার কালানুক্রমিকের অধীনে প্রচারিত প্রথম অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানটি ২০১০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসের স্কটট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে; যা ২০০৭ সালের পর এই মাঠে ডাব্লিউডাব্লিউই-এর প্রথম অনুষ্ঠান ছিল।
প্রাক-প্রদর্শনে একটিসহ মূল অনুষ্ঠান মিলিয়ে সর্বমোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সর্বশেষ ম্যাচে ক্রিস জেরিকো ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আয়োজিত এলিমিনেশন চেম্বার ম্যাচে দি আন্ডারটেকার, জন মরিসন, রে মিস্টেরিও, সিএম পাংক ও আর ট্রুথকে পরাজিত করেছে। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ম্যাচে, জন সিনা ডাব্লিউডাব্লিউই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আয়োজিত এলিমিনেশন চেম্বার ম্যাচে ট্রিপল এইচ, শেইমাস, কফি কিংস্টন, টেড ডিবিয়াসি ও রেন্ডি অরটনকে এবং ডাব্লিউডাব্লিউই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে দ্য মিজ মন্টেল ভন্টাভিয়াস পোর্টারকে পিনফলের মাধ্যমে পরাজিত করেছে।
এই অনুষ্ঠানে পূর্ব নির্ধারিত কাহিনীর ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেখানে কুস্তিগিরগণ পূর্ব নির্ধারিত কাহিনী অনুযায়ী অনুষ্ঠানগুলোতে নায়ক, খলনায়ক অথবা পার্থক্যহীন চরিত্র ধারণ করেছেন যা এক বা একাধিক ম্যাচে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই ম্যাচগুলোর ফলাফল র এবং স্ম্যাকডাউন ব্র্যান্ডে নিযুক্ত ডাব্লিউডাব্লিউইয়ের লেখকদের দ্বারা পূর্বনির্ধারিত ছিল,[৩][৪] যার ধারাবাহিক কাহিনী ডাব্লিউডাব্লিউইয়ের সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান র এবং স্ম্যাকডাউনে প্রদর্শন করা হয়েছে।[৫]
এলিমিনেশন চেম্বার হলো ডাব্লিউডাব্লিউই দ্বারা আয়োজিত একটি বার্ষিক সরাসরি অনুষ্ঠান, যা সাধারণত প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালের শেষের দিকে, ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডাব্লিউডাব্লিউই) তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে একটি জরিপ পরিচালনা করে; যেখানে ভক্তরা ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতি-দর্শনে-পরিশোধের (পিপিভি) জন্য একটি নামটি নির্ধারণ করার সুযোগ পায়। পছন্দগুলোর মধ্যে ছিল: এলিমিনেশন চেম্বার, হেভি মেটাল, ব্যাটেল চেম্বার, চেম্বার অব কনফ্লিক্ট এবং নো ওয়ে আউট (যা পূর্ববর্তী এলিমিনেশন চেম্বার-ভিত্তিক অনুষ্ঠানের নাম ছিল)।[৬] উক্ত জরিপে এলিমিনেশন চেম্বার নামটি জয়লাভ করেছিল, তবে অনুষ্ঠানটি বর্তমানেও জার্মানিতে "নো ওয়ে আউট" হিসেবে প্রচারিত হয়, কেননা এটি আশঙ্কা করা হয়েছিল যে "এলিমিনেশন চেম্বার" নামটি মানুষকে ইহুদি গণহত্যার সময় ব্যবহৃত গ্যাস চেম্বারগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে।[৭][৮] শুধুমাত্র ২০১১ সালের জন্য, জার্মান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এটির নামকরণ "নো এস্কেপ" করা হয়েছিল।[৯]
এই অনুষ্ঠানের ধারণাটি হচ্ছে প্রতিটি অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হবে এলিমিনেশন চেম্বারে মধ্যকার আয়োজিত ম্যাচ। এলিমিনেশন চেম্বার ম্যাচটি মূলত ২০০২ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং পূর্ববর্তী নো ওয়ে আউট অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রতি-দর্শনে-পরিশোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই চেম্বারটি হচ্ছে ইস্পাতের এক বৃত্তাকার খাঁচা, যা আংটিটিকে ঘিরে চেইন এবং গার্ডার নিয়ে গঠিত। চেম্বারের মধ্যে চারটি পড সংযুক্ত রয়েছে, প্রতিটি রিং পোস্টের পিছনে একটি, যা রিংটির বাইরের চারপাশে একটি ইস্পাত প্ল্যাটফর্মে রয়েছে। সাধারণত ছয়জন কুস্তিগির এই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে; দুইজন কুস্তিগির ম্যাচ শুরু করে এবং বাকিরা চারটি পডের মধ্যে আবদ্ধ থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এলোমেলোভাবে ম্যাচে প্রবেশ করে। কুস্তিগিরদের কেবল পিনফল অথবা সাবমিশনের মাধ্যমে নির্মূল করা যেতে পারে এবং সর্বশেষ কুস্তিগির বিজয়ী হন।
২০১০ সালের এই অনুষ্ঠানটি এলিমিনেশন চেম্বার কালানুক্রমিকের প্রথম অনুষ্ঠান ছিল, যা ২১শে জানুয়ারি তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসের স্কটট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যগতভাবে প্রতি-দর্শনে-পরিশোধে সম্প্রচার করার পাশাপাশি, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধারাবাহিক সম্প্রচার পরিষেবায় সম্প্রচার করা হয়েছে।