এলেন বার্স্টিন | |
---|---|
Ellen Burstyn | |
জন্ম | এডনা রে গিলুলি ডিসেম্বর ৭, ১৯৩২ |
জাতীয়তা | মার্কিন |
অন্যান্য নাম | এলেন ম্যাকরে |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৫৫–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | উইলিয়াম আলেকজান্ডার (বি. ১৯৫০; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭) পল রবার্টস (বি. ১৯৫৮; বিচ্ছেদ. ১৯৬১) নিল নেফিউ (বি. ১৯৬৪; বিচ্ছেদ. ১৯৭২) |
সন্তান | ১ |
অ্যাক্টরস ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশনের ১০ম সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮২ – ১৯৮৫ | |
পূর্বসূরী | থিওডর বাইকেল |
উত্তরসূরী | কলিন ডিউহার্স্ট |
এলেন বার্স্টিন (ইংরেজি: Ellen Burstyn; জন্ম এডনা রে গিলুলি, ৭ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯৫০-এর দশকের শেষভাগে মঞ্চে কাজের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয় এবং পরের দশকে তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। তিনি দ্য লাস্ট পিকচার শো (১৯৭১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এরপর তিনি চলচ্চিত্রে এবং মঞ্চে পার্শ্ব চরিত্র থেকে মুখ্য চরিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি উইলিয়াম ফ্রিডকিনের ধ্রুপদী ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র দি এক্জরজিস্ট (১৯৭৩)-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি মার্টিন স্কোরসেজির অ্যালিস ডাজন্ট লিভ হিয়ার অ্যানিমোর (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৭৫ সালে তিনি ব্রডওয়ের সেম টাইম, নেক্সট ইয়ার নাটকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করে টনি পুরস্কার অর্জন করেন এবং ১৯৭৮ সালে এই নাটকের চলচ্চিত্ররূপে অভিনয় করে সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং তার চতুর্থ একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি রিজারেকশন (১৯৮০) ও রিকুয়েম ফর আ ড্রিম (২০০০) চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। বার্স্টিন পাঁচটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুটি পুরস্কার অর্জন করেন। ফলে তিনি অস্কার, এমি ও টনি পুরস্কার বিজয়ী তথা অভিনয়ের ত্রি-মুকুট বিজয়ীদের একজন। ২০১৩ সালে আমেরিকান থিয়েটার হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১]
এলেন বার্স্টিন ১৯৩২ সালের ৭ই ডিসেম্বর মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম ছিল এডনা রে গিলুলি। তার পিতা জন অস্টিন গিলুলি ও মাতা করেইন ম্যারি (জন্মনাম হ্যামেল)।[২] তার পূর্বপুরুষগণ আইরিশ, ফরাসি, পেন্সিলভেনিয়া ওলন্দাজ ও কিছু পরিমাণ কানাডীয় ভারতীয় ছিল।[৩][৪] বার্স্টিনের এক বড় ভাই ও এক ছোট ভাই রয়েছে, তারা হলেন জ্যাক ও স্টিভ। তিনি যখন খুব ছোট তখন তার পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[২][৫] তিনি ও তার ভাইগণ তার মা ও তার সৎ বাবার সাথে বসবাস করতেন।[২]
বার্স্টিনের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের শেষভাগে মঞ্চে কাজের মধ্য দিয়ে। ১৯৫৭ সালে তার ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিষেক ঘটে এবং ১৯৬৭ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে লি স্ট্রাসবার্গের অ্যাক্টরস স্টুডিওতে যোগ দেন। পরের দশকে তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।
১৯৭১ সালে বার্স্টিন নাট্যধর্মী দ্য লাস্ট পিকচার শো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, তবে পুরস্কারটি অর্জন করেন তার এই চলচ্চিত্রের সহশিল্পী ক্লোরিস লিচম্যান। ১৯৭২ সালে তিনি দ্য কিং অব মারভিন গার্ডেনস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি উইলিয়াম ফ্রিডকিনের ধ্রুপদী ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র দি এক্জরজিস্ট (১৯৭৩)-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রের চিত্রধারণকালে তিনি পশ্চাৎভাগে আঘাত পান, যার ফলে তার মেরুদণ্ডে স্থায়ী আঘাত রয়ে যায়। ১৯৭৪ সালে হ্যারি অ্যান্ড টন্টো চলচ্চিত্রে তাকে স্বল্পকালীন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যায়। এই বছর তিনি মার্টিন স্কোরসেজির অ্যালিস ডাজন্ট লিভ হিয়ার অ্যানিমোর (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে সেম টাইম, নেক্সট ইয়ার অভিনয় করে সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং তার চতুর্থ একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি রিজারেকশন (১৯৮০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার পঞ্চম একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৬]
পূর্বসূরী পল নিউম্যান |
অ্যাক্টরস স্টুডিওর সভাপতি ১৯৯৪–বর্তমান সাথে: আল পাচিনো ও হার্ভি কাইটেল |
উত্তরসূরী পদায়ন হয়নি |
পূর্বসূরী লি স্ট্রাসবার্গ (১৯৮২) কার্লিন গ্লিন (২০০৭) লি গ্র্যান্ট (২০০৭) |
অ্যাক্টরস স্টুডিওর সৃজনশীল পরিচালক ১৯৮২–১৯৮৮ ২০০৭–বর্তমান সাথে: আল পাচিনো (১৯৮২) |
উত্তরসূরী ফ্র্যাঙ্ক করসারো (১৯৮৮) পদায়ন হয়নি |