এলো পলিফাইলা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
গোষ্ঠী: | মনোকট্স (Monocots) |
বর্গ: | Asparagales |
পরিবার: | Asphodelaceae |
উপপরিবার: | Asphodeloideae |
গণ: | Aloe Pillans |
প্রজাতি: | A. polyphylla |
দ্বিপদী নাম | |
Aloe polyphylla Pillans |
এলো পলিফাইলা (অন্য নাম: স্পাইরাল এলো, ক্রুনাল্যান, লেখালা খারেৎসা) হলো এলো গোত্রের একটি প্রজাতি। এটি লেসোথোর ড্রাকেন্সবার্গ পর্বতের স্থানীয় উদ্ভিদ। অদ্ভুতভাবে প্রতিসাম্যতার কারণে আর পাঁচটি সর্পিল স্তরে বৃদ্ধির কারণে এটি বিখ্যাত।
এলো পলিফাইলা (aloe polyphylla) ইংরেজিতে 'স্পাইরাল এলো' নামে পরিচিত। আফ্রিকান ভাষায় ক্রুনাল্যান আর সেসোথো ভাষায় লেখালা খারেৎসা। সেসোথো হচ্ছে লেসোথোর ভাষা। প্রজাতির নামাংশের পলিফাইলা শব্দটি গ্রীক ভাষার; অর্থ-বহুপত্র। শ্রেণিবিন্যাসের দিক থেকে, এটি রোডাক্যান্থি (Rhodacanthae) সিরিজের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। এলো প্রজাতির Aloe glauca, Aloe lineata আর Aloe pratensis এর সাথে এর মিল আছে।
এলো পলিফাইলা একটি কাণ্ডহীন এলো এবং এর পাতাগুলো বেশ পার্থক্যসূচক সর্পিলাকার ধারণ করে বাড়ে। আলাদা আলাদা পাতার একটি ক্রমপরিবর্তিত দশা থাকে যেটা একে সর্পিলাকারে পেঁচানো একটি বিন্যাস দেয়। এ গাছগুলো শোষক বলে মনে হয় না বা শাখা-প্রশাখাও ছাড়ে না। কিন্তু বীজের অঙ্কুর ঘটার পর তারা ছোট, ঘন ঝাড় তৈরী করে। মোটা, প্রশস্ত, দাঁতালো, ধূসর-সবুজাভ পাতায় থাকে ধারালো, গাঢ় পাতারডগা। এলো ফুল ফোটা শুরু হয় গ্রীষ্মের শুরুতে, লাল থেকে গোলাপী রঙের পরিপুষ্ট ফুল ফোটে শাখাময় পুষ্পবিন্যাসে।
সর্পিল এলো জন্মায় উঁচুতে- পাহাড়ি, ঘাসময় ঢালে। এখানে এটি পাথুরে চিড়, ফাটলের সাথে জড়িয়ে থাকে যেখানে নিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভাল। গ্রীষ্মের সময় তাপমাত্র ঠান্ডা থাকে মোটামুটি এবং শীতে প্রায়ই তুষারে ঢেকে যায় এলোর উদ্ভিদ্গুলো। লেসোথোর ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয় আর সেই আদ্রতা পর্বতের চূড়াময় ভরে থাকে।
এ উদ্ভিদটির শোভাবর্ধনকারী হিসেবে উচ্চ সুখ্যাতি আছে। এটাই মূল কারণ একে দাম দেয়ার। এটাকে চাষ করা খুবই কঠিন এবং এর প্রাকৃতিক আবাস থেকে সরালে দ্রুত মারা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই উদ্ভিদ কেনা বা সংগ্রহ করা দুটোই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।[১]