এসিসি এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল |
খেলার ধরন | টেস্ট ক্রিকেট |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ১৯৯৮ |
শেষ টুর্নামেন্ট | ২০০২ |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতা |
দলের সংখ্যা | বাংলাদেশ[১] ভারত[২] শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | শ্রীলঙ্কা (১ম শিরোপা) |
সর্বাধিক সফল | পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা (প্রত্যেকেই ১ শিরোপা) |
সর্বাধিক রান | সনাথ জয়াসুরিয়া (১,০০০) |
সর্বাধিক উইকেট | মুত্তিয়া মুরালিধরন (১৮) |
এসিসি এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ এশিয়ার টেস্টখেলুড়ে দলগুলোর মধ্যকার পেশাদার টেস্ট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা - এ চারটি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে এ প্রতিযোগিতাটি ক্রিকেট বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয় না। এ পর্যন্ত মোট দুইবার ১৯৯৮-৯৯ ও ২০০১-০২ মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান ও দ্বিতীয় প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা জয়লাভ করে। শুরুতে এশিয়া কাপের সাথে মিল রেখে প্রতি দুই বছর অন্তর এ প্রতিযোগিতা নিয়মিতভাবে আয়োজনের কথা ছিল।[৩]
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার অংশগ্রহণে ১৯১২ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতার পর দুইয়ের অধিক দলের অংশগ্রহণে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ দ্বিতীয় উদাহরণ হিসেবে রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিকল্পনাধীন টেস্ট ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা প্রবর্তনের পূর্বে পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রতিযোগিতাটি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।[৪]
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সময়সূচী বাস্তবায়নে সময় না থাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এ প্রতিযোগিতা বাতিল করে। অংশগ্রহণকালী সদস্যদের সময়সূচীর সাংঘর্ষিকতার কারণে চার বছরের জন্য তৃতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা বিলম্বিত করা হয়।[৫] এছাড়াও আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে টেস্ট রেটিংয়ে ভারসাম্য রক্ষার্থে এর প্রভাব রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ও মার্চ, ১৯৯৯ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের আইসিসি কর্তৃক টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পায়নি।
রাউন্ড-রবিন খেলায় তিনটি খেলায় তিন দল অংশ নেয়। জয়ে ১২, টাইয়ে ৬ ও ড্র বা পরাজয়ে কোন পয়েন্ট রাখা হয়নি। তবে, দলের বোলিং ও ব্যাটিংশৈলীর উপর নির্ভর করে বোনাস পয়েন্ট প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়। রাউন্ড-রবিন খেলাগুলো আয়োজনের জন্য পর্যায়ক্রমে তিন দেশের মাঠ ব্যবহৃত হয়। তন্মধ্যে, চূড়ান্ত খেলাটি নিরপেক্ষ মাঠ হিসেবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তান দল শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ১৭৫ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথম এশিয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভ করে।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আগস্ট, ২০০১ থেকে মার্চ, ২০০২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে প্রতিযোগিতা করে। ২০০১-০২ মৌসুমে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুরে থাকার নীতি অবলম্বনের ফলে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে ভারত দল।
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা - উভয় দল বাংলাদেশে দুইটি রাউন্ড-রবিন খেলায় অংশ নেয়। জয়ে ১৬, টাইয়ে ৮ এবং ড্র কিংবা পরাজয়ে ০ পয়েন্ট বরাদ্দ করা হয়। এছাড়াও বোলিং ও ব্যাটিংশৈলীর উপর নির্ভর করে বোনাস পয়েন্ট প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুলতানে পাকিস্তান এবং কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা দল বাংলাদেশকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটের ব্যবধানে পাকিস্তানকে পরাজিত করে দ্বিতীয় এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভ করে।