এস. আর. রঙ্গনাথন | |
---|---|
জন্ম | শিয়ালী রামামৃতা রঙ্গনাথন ১২ আগস্ট ১৮৯২ শৃগালি, তামিলনাড়ু |
মৃত্যু | ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ (৮০ বছর) ব্যাঙ্গালোর, ভারত |
পেশা | লেখক, শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ, লাইব্রেরীয়ান |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
ধরন | গ্রন্থাগার বিজ্ঞান, তথ্যায়ন এবং তথ্যবিজ্ঞান |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | প্রোলিগোমিনা টু লাইব্রেরি ক্লাসিফিকেশন দ্য ফাইভ লজ অব লাইব্রেরি সায়েন্স কোলন ক্লাসিফিকেশন রামানুজনন: দ্য ম্যান অ্যান্ড দ্য ম্যাথমেটিশিয়ান ক্লাসিফাইড ক্যাটালগ কোড: উইদ এডিশনাল রুলস ফর ডিকশনারী ক্যাটালগ কোড গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা ইন্ডিয়ান লাইব্রেরি ম্যানিফেস্টো লাইব্রেরি ম্যানুয়েল ফর লাইব্রেরি অথরিটিজ, লাইব্রেরীয়ানস অ্যান্ড লাইব্রেরি ওয়ার্কার্স শ্রেণীকরণ ও যোগাযোগ হেডিংস অ্যান্ড ক্যাননস; কম্পারেটিভ স্টাডি অব ফাইভ ক্যাটালগ কোডস |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | পদ্মশ্রী পদক (১৯৫৭) |
শিয়ালি রামামৃতা রঙ্গনাথন (তামিল: சீர்காழி இராமாமிருதம் இரங்கநாதன்; জন্ম: ১২ আগস্ট,[১] ১৮৯২ - মৃত্যু: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২) ভারতীয় গণিতজ্ঞ ও বিশিষ্ট গ্রন্থাগারিক ছিলেন।[২][৩] গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের পঞ্চ আইন তৈরীতে তিনি সুবিশাল ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, তিনি কোলন ক্লাসিফিকেশন পদ্ধতি তৈরীতে প্রধান ভূমিকা রাখেন। ভারতে তাকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞান, তথ্যায়ন এবং তথ্যবিজ্ঞানের জনকরূপে আখ্যায়িত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি তার মৌলিক চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটিয়ে বহিঃর্বিশ্বে পরিচিত হয়ে আছেন। প্রতি বছরই তার জন্মবার্ষিকীকে ঘিরে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপিত হয়।
);রামাব্রদম নামে ১২[১] আগস্ট, ১৮৯২ তারিখে ব্রিটিশ শাসিত ভারতের তানোরে জন্মগ্রহণ করেন রঙ্গনাথন।[৪] দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ছোট্ট শহর শৃগালি (বর্তমানে: সিরকাজি) তার জন্মস্থান।
গণিতজ্ঞ হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। বি.এ এবং এম.এ শ্রেণীতে গণিত বিষয়ে নিজ প্রদেশের মাদ্রাজ ক্রিস্টিয়ান কলেজ থেকে ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি শিক্ষকতা করার যোগ্যতা অর্জন করেন। তার সমগ্র জীবনের উদ্দেশ্য ছিল গণিতে শিক্ষাদান করা। গণিত ফ্যাকাল্টিতে মাঙ্গালোর, কয়েমবাতোর এবং মাদ্রাজের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সদস্য হন যা পাঁচ বছরের মধ্যে লাভ করেন। গণিতের অধ্যাপকরূপে তিনি গণিত সম্পর্কীয় বিশেষতঃ গণিতের ইতিহাস নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশ করেন। শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি পেশাদার জীবন থেকে বেরিয়ে আসেন।
১৯২৩ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্তক সংগ্রহশালার দূর্বল ব্যবস্থাপনা দূরীকরণে গ্রন্থাগারিকের পদ সৃষ্টি করে। এ পদে ৯০০ পদপ্রার্থী অংশ নেয়। কিন্তু গ্রন্থাগার বিষয়ে কারোরই আনুষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষণ ছিল না। রঙ্গনাথনের লেখনী নিয়োগ কমিটিকে সন্তুষ্ট করে ও তারা ধারণা করেছিল যে, গ্রন্থাগার বিষয়ে রঙ্গনাথনের গবেষণা কর্ম রয়েছে। তার গ্রন্থাগারিকত্বের জ্ঞান অর্জন ঘটে মূলতঃ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে সংগৃহীত নিবন্ধ পড়ে, যা সাক্ষাৎকারের পূর্বদিন তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। তাকে বিস্মিত করে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয় ও জানুয়ারি, ১৯২৪ সালে গ্রন্থাগারিকের পদে যোগ দেন।[৪]
শুরুতেই রঙ্গনাথন দেখতে পান যে, পদটি অসহ্যপূর্ণ ছিল। কয়েক সপ্তাহ পর তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার শিক্ষকতার পেশা ফিরে যাবার জন্যে অনুরোধ জানান। এরপর কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে লন্ডন ভ্রমণে যান ও গ্রন্থাগার বিষয়ে সমসাময়িক পাশ্চাত্য অনুশীলন অধ্যয়ন করেন। শর্ত ছিল, যদি তিনি ফিরে আসেন ও পুনরায় গ্রন্থাগারিক হিসেবে কর্মজীবন পালন করতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন তাহলে তিনি পুনরায় গণিতের অধ্যাপকের পদ ফিরে দেয়া হবে।
১৯৫৭ সালে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে অসামান্য অবদান রাখায় রঙ্গনাথনকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে ভারত সরকার।
|তারিখ=
(সাহায্য)