জেনারেল সুনীথ ফ্র্যান্সিস রদরিগেয পিভিএসএম, ভিএসএম | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৩ মুম্বাই |
আনুগত্য | ভারত |
সেবা/ | ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৫২-১৯৯৩ |
পদমর্যাদা | জেনারেল |
সার্ভিস নম্বর | আইসি-৬১১৯ |
ইউনিট | গোলন্দাজ রেজিমেন্ট |
নেতৃত্বসমূহ | পশ্চিম সেনা কমান্ড কেন্দ্রীয় সেনা কমান্ড সামরিক প্রশিক্ষণ মহাপরিচালক |
পুরস্কার | পরম বিশিষ্ট সেবা পদক বিশিষ্ট সেবা পদক |
সুনীথ ফ্র্যান্সিস রদরিগেয ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন যিনি ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ মেয়াদে দেশটির সেনাপ্রধান ছিলেন।[১][২]
১৯৪৯ সালে সুনীথ ভারতীয় সামরিক একাডেমীর যুগ্ম সার্ভিসেস উইং এ যোগ দেন এবং ১৯৫২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখ গোলন্দাজ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন।[৩] বেশ কয়েকটি গোলন্দাজ ইউনিটের অধিনায়কত্ব করার পর রদরিগেয ১৯৬৪ সালে গোলন্দাজ রেজিমেন্টের এয়ার অব্জারভেশন পোস্টে বৈমানিক হবার জন্য আবেদন করেন এবং বৈমানিক হবার জন্য অনুমতি পেয়ে যান। তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর অধীনে বৈমানিক হবার প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মোট ৬৫ ঘণ্টা হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করেন। ১৯৭১ সালে তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটন থেকে সেনা স্টাফ কোর্স শেষ করে ৩৩তম কোরে তিনি জেনারেল স্টাফ অফিসার - ২ (জিএসও - ২) হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি একটি ডিভিশনের জিএসও - ১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি একটি মাউন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডার হন এবং ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ব্রিগেডটির কমান্ডার হিসেবে বহাল থাকেন। এরপর তিনি রয়েল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিজ - যুক্তরাজ্যতে পড়তে যান এবং দেশে এসে ১৯৭৯ সালে তামিলনাড়ুর স্টাফ কলেজে চীফ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮১ সালের নভেম্বর মাসে একটি মাউন্টেন ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত জিওসি হন ভারপ্রাপ্ত মেজর-জেনারেল হিসেবে। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রকৃত মেজর-জেনারেল হয়ে একটি কোরের চীফ অব স্টাফ বা প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা হন, ১৯৮৫ সালে বদলী হন সেনাসদরে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে।
১৯৮৬ সালে একটি কোরের কমান্ডার হন রদরিগেয লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদবীতে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিনি উপসেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেনাসদরে। আবার এই এপ্রিলেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের আর্মি কমান্ডার হিসেবে তিনি ঐ বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ছিলেন। ১৯৯০ সালে সেনাপ্রধান হবার আগে তিনি ১৯৮৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে পশ্চিম সেনা কমান্ডের প্রধান ছিলেন।