পূর্ণ নাম | এস্তাদিও সান্তিয়াগো বের্নাবেউ |
---|---|
প্রাক্তন নাম | New Chamartín (১৯৪৭–১৯৫৫) |
অবস্থান | মাদ্রিদ, স্পেন |
স্থানাঙ্ক | ৪০°২৭′১১″ উত্তর ৩°৪১′১৮″ পশ্চিম / ৪০.৪৫৩০৬° উত্তর ৩.৬৮৮৩৫° পশ্চিম |
মালিক | রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব |
পরিচালক | রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব |
নির্বাহী কর্মকর্তা | ২৪৫[১] |
ধারণক্ষমতা | ৮১,০৪৪[৩] |
আয়তন | ১০৫ মি × ৬৮ মি (৩৪৪ ফু × ২২৩ ফু)[১] |
উপরিভাগ | Mixto Hybrid Grass Technology |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ২৭ অক্টোবর ১৯৪৪ |
নির্মিত | ১৯৪৪–১৯৪৭ (৩ বছর) |
চালু | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৪৭ |
পুনঃসংস্কার | ১৯৮২, ২০০১ |
সম্প্রসারণ | ১৯৫৩, ১৯৯২, ১৯৯৪, ২০১১[১] |
নির্মাণ ব্যয় | ২৮৮,৩৪২,৬৫৩ পেসেতা (€1,732,943) |
স্থপতি | মানুয়েল মুনিয়োস মনাস্তেরিও লুইস আলেমানি সোলার আন্তোনিও লামেলা (পরিবর্ধন)[২] |
প্রকল্প ব্যবস্থাপক | সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ইয়েস্তে |
ভাড়াটে | |
রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব (১৯৪৭–বর্তমান) স্পেন জাতীয় ফুটবল দল (১৯৪৭–বর্তমান) | |
ওয়েবসাইট | |
www |
এস্তাদিও সান্তিয়াগো বের্নাবেউ রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের নিজেস্ব মাঠ বা হোম ভেন্যু। ফুটবল বিশ্বে এটি একটি অত্যন্ত পরিচিত মাঠ। আয়োতনে এই মাঠ ইউরপের বৃহত্তম মাঠগুলোর মধ্যে আন্যতম। বর্তমানে এই মাঠে একসাথে প্রায় নব্বই হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারে; যদিও শুরুর দিকে এটি দর্শক ধারণ করতো প্রায় দেড় লক্ষ।
পুরানো রামিন আমিনের সংলগ্ন জমি কেনার জন্য ১৯২৪ সালের ২২ শে জুন, বাংকো মার্কেন্তিল এ ইন্দুস্ত্রিয়াল ব্যাংক সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ইয়েস্তে এবং রাফায়েল সালগাদোকে ঋণ প্রদান করে। ১৯৪৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্থপতি মানুয়েল মুনিয়োস মোনাস্টেরিও এবং লুইস আলেমানি সোলেরকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং নতুন স্টেডিয়ামের কাঠামো দেয়। ১৯৪৪ সালের ২৭ অক্টোবর, স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
ন্যুয়েভো এস্তাদিও চামার্তিনের উদ্বোধন করা হয় ১৪ ডিসেম্বর ১৯৪৭ তারিখে পর্তুগিজ ক্লাব ওএস বেলেনেন্সেস ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার একটি ম্যাচ দ্বারা,যেখানে লস ব্লাঙ্কোসরা ৩-১ গোলে জয়ী হয়।[৪] স্টেডিয়ামের প্রথম গোলদাতা সাবিনো বারিনাগা। প্রাথমিক অবস্থায় দর্শকধারণ ক্ষমতা ছিলো ৭৫,১৪৫।
প্রথম বড় সংস্কার ঘটে ১৯৫৫ সালে। সেই বছরের ১৯ জুন স্টেডিয়ামটি ১২৫,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার জন্য বড় করা হয়। সুতরাং, এই স্টেডিয়ামটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইউরোপীয় কাপের সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের বৃহত্তম স্টেডিয়ামে পরিণত হয়।
১৯৫৫ সালের ৪ জানুয়ারীর এক সাধারণ পরিষদের পর, ক্লাবের সভাপতি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সম্মানে বর্তমান নামটি গ্রহণ করা হয়।
১৯৫৭ সালের মে মাসে, রিয়াল মাদ্রিদ ব্রাজিলের স্পোর্ট রেসিফের বিপক্ষে একটি খেলায় বৈদ্যুতিক স্টেডিয়ামের আলো ব্যবহার করেছিল।
স্পেনে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের আগে আর কোনো বড় পরিবর্তন ঘটেনি।
তৎকালীন ইউরোপীয় নেশনস কাপ-এর দ্বিতীয় সংস্করণ যা বর্তমানে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-নামে পরিচিত তার অন্যতম আয়োজক মাঠ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। এই মাঠে ফাইনাল ও একটি সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৭৯,১১৯ জন দর্শকের উপস্থিতিতে সেই ফাইনাল ম্যাচ এখনো অব্দি কোনো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে হওয়া সর্বোচ্ছ দর্শকের উপস্থিতি।
পাওলো রসি , কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে-দের সাফল্যগাথা ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক মাঠ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। এই মাঠে ফাইনাল ও দ্বিতীয় গ্রুপ স্টেজের গ্রুপ বি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপে পশ্চিম জার্মানি , ইংল্যান্ড ও স্বাগতিক স্পেন অংশ নেয়। সে বছর থেকে বিশ্বকাপ অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হয়।