এস্তেলা বার্নেস দ্য কারলত্তো | |
---|---|
![]() প্যারিসে প্লাজা দ্য মেয়ো গার্ডেনে মা ও দাদীমা সমাবেশে কারলত্তো | |
জন্ম | |
পেশা | গ্র্যান্ডমাদার্স অব দ্য প্লাজা দ্য মেয়ো'র সভাপতি |
দাম্পত্য সঙ্গী | গুইদো কারলত্তো (মৃত্যু: ২০০১) |
এনরিকুয়েতা এস্তেলা বার্নেস দ্য কারলত্তো (স্পেনীয়: Estela Barnes de Carlotto; জন্ম: ২২ অক্টোবর, ১৯৩০) বুয়েন্স আয়ার্সে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট আর্জেন্টেনীয় প্রমিলা মানবাধিকার কর্মী। মানবাধিকার সংগঠন গ্র্যান্ডমাদার অব দ্য প্লাজা দ্য মেয়ো'র প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন এস্তেলা বার্নেস দ্য কারলত্তো।
ইংরেজ বংশোদ্ভূত পরিবারের সন্তান এনরিকুয়েতার জন্ম বুয়েন্স আয়ার্সে হলেও ১৯৪০ সাল থেকে লা প্লাতায় বসবাস করতে শুরু করেন। ১৯৫০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হন তিনি। ব্রান্ডসেনে পড়াশোনা করানোর পর লা প্লাতায় চলে যান। এরপর বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পান। রঙের দোকানের মালিক গুইদো কারলত্তোর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে চার সন্তান ছিল।
সামরিক জান্তা কর্তৃক পরিচালিত নোংরা যুদ্ধে সন্ত্রাসী ও শান্তিপ্রিয় উভয়ের বিপক্ষে পরিচালিত হয়েছিল। সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬ সালে তার জামাতার কন্যা মারিয়া ক্লদিয়া ফ্যালকনকে হত্যা করে। তার কন্যা লরা এস্তেলা কারলত্তো লা প্লাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্রী ছিলেন। পেরোনিস্ট ইউনিভার্সিটি যুব আন্দোলনের সাথে সক্রিয় লরাকে তার অপর সন্তান ক্লদিয়া ও মিগুয়েল গুইদো সমর্থন জোগাতেন।[১] জাপের সাথে মন্তোনেরোস গেরিলা সংগঠনের জোড়ালো সম্পর্কের প্রেক্ষিতে নিজ জীবন রক্ষার্থে বাড়ী ত্যাগ করেন। ১ আগস্ট, ১৯৭৭ তারিখে তার সঙ্গী কার্লোসের সাথে অবস্থান করেন। ৫ আগস্ট তারিখে গুইদো কারলত্তো অপহৃত হন ও ২৫ আগস্ট তাকে মুক্তি দেয়া হয়। বিভিন্নভাবে নির্যাতনের পর ৪০ মিলিয়ন পেসো মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা হয়েছিল।[২] ২১ অক্টোবর, ২০০১ তারিখে লা প্লাতায় তার স্বামীর দেহাবসান ঘটে।[৩]