ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ | ||
জন্ম স্থান | কাশান, ইরান | ||
উচ্চতা | ১.৭৬ মি (৫ ফু ৯ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড়, ডিফেন্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | সেপাহান | ||
জার্সি নম্বর | ২৮ | ||
জাতীয় দল | |||
ইরান |
এহসান হাজসাফি (ফার্সি: احسان حاجصفی; জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০) একজন ইরানী পেশাদার ফুটবলার, যিনি ইরান প্রো লিগে 'সেপাহান' এবং ইরান জাতীয় ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি একাধারে বাম পার্শ্বীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড়, লেফট ব্যাক, রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং উইঙ্গার পজিশনে খেলেন। ২০০৯ সালে গোল ডট কমের জরিপে সেরা এশিয়ান উদীয়মান ফুটবলার নির্বাচিত হন। এহসান হাজসাফি ২০০৯ সালে ইরানের হয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ, ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলেন।
এহসান হাজসাফি ২০০০ সালে 'যব আহান' ক্লাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৬ সালে 'যব আহান' ছেড়ে 'সেপাহান' ক্লাবে যোগ দেন। ২০০৭ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে সেপাহানের হয়ে ২ টি ম্যাচ খেলেন। সেপাহান সেই আসরে ২য় স্থান লাভ করে।
এহসান একজন বাম পার্শ্বীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৭-০৮ মৌসুমে সেপাহানের হয়ে খেলেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে তিনি ৬ টি লিগ গোল করেন। ২০০৯-১০ মৌসুমে তিনি সেপাহানে লেফট ব্যাক হিসেবে খেলেন এবং দলকে লিগ শিরোপা জেতান। ফলে সেপাহান তার সাথে আরও ২ বছরের চুক্তি করে।
২০১১ সালের জুনে ৬ মাসের চুক্তিতে হাজসাফি ট্রাক্টর সাযিতে লোনে যোগ দেয়। ট্র্যাক্টর সেই মৌসুমে লিগে ২য় স্থান অধিকার করে। ট্র্যাক্টরের সাথে চুক্তির পর ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সেপাহানে ফিরে যান।
২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট হাজসাফি ২ বছরের চুক্তিতে জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফুটে যোগ দেয়। ১৩ সেপ্টেম্বর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয়। হাজসাফি ফ্রাঙ্কফুটে থাকাকালে সেট-পিসে নিজেকে দক্ষ করে তুলেন। হাজসাফি ২ মার্চ ২০১৬ সালে ফ্রাঙ্কফটের হয়ে নিজের ১ম গোল দেন। ঐ ম্যাচে তার দল ডুইসবার্গের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র করে। ১৩ মার্চ ২০১৬ সালে হাজসাফি ৫০ ইয়ার্ড দুর থেকে ফ্রেইবার্গের বিপক্ষে গোল দেন।
পরে ফ্রাঙ্কফুট লিগে অবনমন হয়ে যায় এবং ঘোষণা দেন হাজসাফি যেকোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারে।
হাজসাফি ২০০৬ সালে এএফসি যুব চ্যাম্পিয়েন্সিপে ইরান অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তিতে তিনি অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলেন।
২৫ মার্চ ২০০৮ সালে হাজসাফি ইরানের হয়ে ১ম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। অভিষেক ম্যাচে তিনি ২ টি এসিস্ট করেন। ফলে আজাদি স্টেডিয়ামে ইরান জাম্বিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়লাভ করে। ২ জুন, তিনি ইরানের হয়ে ফিফা বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে বিদেশের মাটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেন। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে ইরানকে গুরুত্তপুর্ন ম্যাচটি জেতান।
হাজসাফি ২০০৮ সালে পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়েনশিপে কাতারের বিপক্ষে গোল দেন। যা ইরানের হয়ে তার ১ম গোল। ঐ ম্যাচে তার দেশ ৬-১ গোলে বিশাল জয় পায়। ২০১১ সালে হাজসাফি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেন। ঐ আসরে ইরান রাউন্ড অফ সিক্সটিনে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বাদ পরে ইরান। মার্চ ২০১৪ সালে ১ম বারের মত ইরানের ৫৭ তম অধিনায়ক হিসেবে কুয়েতের বিপক্ষে দেশকে নেতৃত্ব দেন।
২০১৪ সালের ১ জুন তিনি ফিফা বিশ্বকাপের জন্য দলে ডাক পান। তিনি পুরো ৯০ মিনিট নাইজেরিয়ার বিপক্ষে খেলেন, যা ০-০ গোলে ড্র হয়। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি ৮৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন, পরে ম্যাচের শেষ মুহুর্তে মেসি গোল দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে ম্যাচ জেতান। বসনিয়ার বিপক্ষে তিনি ৬৩ মিনিট খেলেন। এরপর গ্রুপ পর্বেই বাদ পরে যায় ইরান।
৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য তিনি ইরান জাতীয় দলে ডাক পান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে হাজসাফির দেয়া ১ টি গোল মিলিয়ে বাহরাইনকে ২-০ গোলে হারায় ইরান।