![]() রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছে ওইনাম বেমবেম দেবী | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওইনাম বেমবেম দেবী | ||
জন্ম | ৪ এপ্রিল ১৯৮০ | ||
জন্ম স্থান | ইমফল, মণিপুর, ভারত | ||
উচ্চতা | ৫ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৫৭ মিটার)[১] | ||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ইস্টার্ন স্পোর্টিং ইউনিয়ন | ||
জার্সি নম্বর | ৬ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৪-২০১৫ | নিউ রেডিয়েন্ট | ৩ | (৬) |
২০১৬-২০১৮ | ইস্টার্ন স্পোর্টিং ইউনিয়ন | ৯ | (৩) |
মোট | ১২ | (৯) | |
জাতীয় দল‡ | |||
১৯৯৫-২০১৬ | ভারত জাতীয় মহিলা ফুটবল দল | ৮৫ | (৩২) |
পরিচালিত দল | |||
২০১৭ | ইস্টার্ন স্পোর্টিং ইউনিয়ন | ||
২০১৮- | ভারত জাতীয় মহিলা ফুটবল দল (অনূর্ধ্ব-১৭) (সহকারী কোচ) | ||
২০১৯- | মণিপুর পুলিশ ক্লাব | ||
অর্জন ও সম্মাননা | |||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ৩০শে অক্টোবর ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ওইনাম বেমবেম দেবী (জন্ম ৪ঠা এপ্রিল, ১৯৮০) মনিপুরের ইম্ফলে জন্মগ্রহণকারী এক ভারতীয় ফুটবলার। ২০১৭ সালে, তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক দ্বারা অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন[২] । তিনি "ভারতীয় ফুটবলের দুর্গা" ডাকনাম পেয়েছিলেন এবং বর্তমানে ভারতে মহিলাদের ফুটবল সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত[৩]।
২০২০ সালে ভারতের অসামরিক চতুর্থ সর্বোচ্চ পুরস্কার 'পদ্মশ্রী পুরস্কারে' ভূষিত হন তিনি[৪][৫]।
বেমবেম দেবী ১৯৮৮ সালে ইম্ফলের ইউনাইটেড পাইওনিয়ার্স ক্লাবে প্রশিক্ষণ শুরু করার সাথে সাথে একজন ফুটবলকে পেশা হিসাবে নিয়ে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন[১] ।১৯৯১ সালে তিনি সাব-জুনিয়র ফুটবল টুর্নামেন্টে মণিপুর অনূর্ধ্ব -১৩ ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। টুর্নামেন্টে তাঁর খেলা লক্ষ্য করে ইয়া সিংজামেই লাইশ্যাংথেম লেকাই ক্লাব এবং তার দু'বছর পরে সোশ্যাল ইউনিয়ন ন্যাসেন্ট (এসইউএন) ক্লাব তাঁকে ফুটবলার হিসেবে স্বাক্ষর করায়[৬]।
জাতীয় পর্যায়ে, বেমবেম দেবী ১৯৯৩ সাল থেকে মণিপুর রাজ্য ফুটবল দলের একজন নিয়মিত সদস্য। তিনি হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত ৩২ তম জাতীয় গেমস থেকে তাঁর রাজ্য দলের অধিনায়ক নিযুক্ত ছিলেন এবং ৩২তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি তাঁর রাজ্যকে বিজয়ী করে ছিলেন[৬] ।
২০১৪-র ৯ই জুন, মালদ্বীপ ফুটবল ক্লাব নিউ রেডিয়েন্ট, বেমবেম দেবী এবং অন্য এক ভারতীয় ফুটবলার লাকো ফুটি তাদের দলের হয়ে স্বাক্ষর করছেন- এই মর্মে ঘোষণা দেয়। ১১ই জুন মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিসের বিপক্ষে তাদের ম্যাচে বেমবেম দেবী প্রথমার্ধের শেষ দিকে বিকল্প হিসাবে প্রথম নেমেছিলেন। তাঁর গতি এবং দক্ষতার কাছে বিরোধীদল বারবার পরাস্ত হচ্ছিল। এরপর বেমবেম তাঁর দলকে ৪-০ ব্যবধানে জিততে সহায়তা করেছিলেন[৬]।
মাত্র ৩ ম্যাচে ৬টি গোল করে প্রতিযোগিতার শীর্ষ গোলদাতা হিসাবে শেষ করেছিলেন বেমবেম দেবী। এছাড়া আরও ৪টি গোলে তিনি সহায়তাও করেছিলেন এবং তাঁর দুর্দান্ত কর্মক্ষমতার জন্য তিনি প্রতিযোগিতার 'প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট' পুরস্কার পেয়েছিলেন[৬]।
১৫ বছর বয়সে, বেমবেম এশিয়ান মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে গুয়ামের বিপক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
তাঁর খেলোয়াড় জীবনের মোড় ঘুরে যায় ১৯৯৬ সালের এশিয়ান গেমসে। সেখানে ভারতীয মহিলা জাতীয় দল জাপান এবং প্রতিবেশী নেপালের সাথে একই গ্রুপে ছিল। তারা জাপানের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় কিন্তু নেপালের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জিতে জাপানের সাথে গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায়। দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উত্তর কোরিয়ার জাতীয় দলগুলির পাশাপাশি একটি শক্ত গ্রুপে পড়ে এবং তারা তাদের সমস্ত ম্যাচ হেরে যায়। তবে এই টুর্নামেন্ট থেকেই বেমবেম দেবী জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন[৬]।
তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ২০১০ সালে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একাদশ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে এবং শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০১২ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দলকে বিজয়ী করেন [৬]।
বছর অনুযায়ী উপস্থিতি এবং গোল | ||
---|---|---|
বছর | ম্যাচ | গোল |
১৯৯৫-২০০৭ | ||
২০১০ | ১০ | ৪ |
২০১১ | ৬ | ১ |
২০১২ | ৫ | ৫ |
২০১৩ | ৩ | ০ |
২০১৪ | ২ | ২ |
২০১৫ | ২ | ০ |
২০১৬ | ৫ | ০ |
মোট | ৩৩ | ১২ |