গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে, ওট্রেরা ছিলেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম রানী, যুদ্ধ এবং সাহসের দেবতা আরেসের সহধর্মিণী এবং হিপ্পোলিটা এবং পেনথেসিলিয়ার মা। তাকে ইফেসাসে আর্টেমিসের মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীর একজন প্রাচীন গ্রীক লেখক রোডসের অ্যাপোলোনিয়াস লিখেছেন যে আমাজনের তিনটি শহর ডোয়াস সমভূমিতে অবস্থিত। সেথায় তিনি আরও উল্লেখ করেন আরেস, ওট্রেরা এবং অ্যান্টিওপের নির্মিত একটি মন্দিরের কথা, যা মরুজ দ্বীপে অবস্থিত এবং কাকজাতীয় পাখিতে পূর্ণ। [১]
ওট্রেরাকে কখনও কখনও ইফেসাসের আর্টেমিসের মন্দিরের পৌরাণিক প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, আমাজনের সাথে যার ঘনিষ্ঠতম সংযোগ ছিল। তিনিই আমাজন জাতির প্রতিষ্ঠাতা মা এবং প্রথম আমাজন রানী। [২]
যুদ্ধরত আমাজনদের ইফেসাসে আর্টেমিসের মন্দির প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। কথিত আছে, তারা একটি ওক গাছের নীচে একটি মূর্তি স্থাপন করেছিল। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হিপ্পোলিটা, যিনি দেবীর সম্মানে আচার অনুষ্ঠান কার্য সম্পাদন করে এবং অতঃপর সর্ব -সমেত মূর্তিটির চারপাশে তাদের বর্শা এবং বর্ম অঞ্জলি দিয়ে একটি যুদ্ধ নৃত্যে মশগুল হয়ে পড়েন । তাদের কেউ সেই বার্ষিক নৃত্যকে প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখতো না, কেননা এর জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হতো। আর এই নৃত্য প্রত্যাখানের অভিযোগে হিপপোলিটাকেও শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
একটি লিপিবদ্ধ নথি যেথায় ওট্রেরার নাম সারসরি উল্লেখিত না থাকলেও ধারণা করা হয়েছে যে, একবার রানী ওট্রেরার নেতৃত্বে আমাজনরা ট্রয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযানে অংশ নিয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে বীর বেলেরোফোন তাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্বাধীন ছিলো। উক্ত যুদ্ধে রানী ওট্রেরার দল বিজয়ী হয়েছিলো।[৩] [৪][৫][৬]