ওনান (হিব্রু: אוֹנָן, আধুনিক: Onan, টিবেরীয়: ʼÔnān) হচ্ছে জেনেসিস গ্রন্থের ৩৮ নং পৃষ্ঠার পুরাতন নিয়মের একয়ি চরিত্র (ওল্ড টেস্টামেন্ট)[১] এবং ইয়েহুদা এর পুত্র। ওনানের বড় ভাই এর এর মত ওনানেরও ঈশ্বর কর্তৃক প্রাণনাশ হয়। ওনান তার ভার্তৃবধুর গর্ভে তার সন্তানের জন্ম দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন, একে ঈশ্বর অশুভ আচরণ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন।[২]
ওনানের ভাই এর এর মৃত্যুর পর, তার পিতা, ইয়েহুদা ওনানকে তার ভ্রাতৃবধূকে বিবাহ করতে বলেন। ভার্তৃবধু তামারের সাথে সহবাসের মাধ্যমে যেন বংশধারা বজায় থাকে এটাই ছিল জুডাহ এর পরিকল্পনা। ধর্মীয় অধ্যক্ষ তিকভা ফ্রাইমার-কিনস্কি এই বিবাহকে উল্লেখ করে বলেন: তামারের যে কোনো পুত্রই এর এর ঔরসজাত বলে গণ্য হবে। যাই হোক যদি এর সন্তানহীন থাকতেন এবং তামারের কন্যা সন্তান জন্ম হত, তবে ওনান হতেন সবচেয়ে দীর্ঘসময় বেচে থাকা পুরুষ।[৩]
যখন ওনান তামারের সাথে সঙ্গম করেন, তিনি তার বীর্য তামারের যোনীতে না ফেলে[৪] মাটিতে ফেলেন। তার এই কর্মের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল যাতে তামারের কোনো সন্তান না হয়, কারণ সন্তান হলেই তা এর এর বংশধর হিসেবে বিবেচিত হবে।[৫] বাইবেলে এর পরের উক্তিটি ছিল, ওনান অশুভ কার্য সম্পাদন করেছেন এবং এর ফলে ঈশ্বর তাকে বধ করেন।[৬]
ওনানের এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ওনানের কার্য ঐশ্বরিক অসন্তুষ্টির সৃষ্টি করেছিল, তবে ওনানের ঘটনা এটা পরিষ্কার নয় যে ওনানের কাজ কেন আপত্তিকর ছিল: তিনি তার ভাতৃবধূকে বীর্য প্রদানপূর্বক তার ভাই এর নাম বহাল রাখেন নি সেজন্য, তিনি তার বীর্য যোনিতে প্রবেশ না করিয়ে নষ্ট করেছেন সেজন্য, নাকি তিনি লেভিরেট বাধ্যবাধকতার (ভ্রাতার মৃত্যুর পর ভ্রাতৃবধূকে বিবাহ করা) প্রসঙ্গের বাইরে থেকে বিবেচনা করলে তিনি তার ভ্রাতৃবধূর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন সেজন্য ?
তালমুদে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, এই ঘটনা থেকেই মৃত্যুদণ্ডের ধারণার সূত্রপাত হয়েছে। যাই হোক, বিধব ভ্রাতৃবধূর সাথে যৌনতার ক্ষেত্রে নিয়ম অনুসারে যৌনমিলনের ফলেই হোক বা অন্য কারণেই হোক, বীর্যপাত হলে আচারগত পরিষ্কারণ করলেই চলে, এবং ব্যক্তি পরের দিন শুরু হবার আগ পর্যন্ত অপবিত্র থাকেন।
প্রাথমিক খ্রিস্টীয় লেখকগণ বীর্য নষ্ট করা ও অপ্রজননগত উদ্দেশ্যে যৌনকার্যের ক্ষেত্রে জোর দেন। এই ব্যাখ্যাটি কতিপয় প্রাথমিক খ্রিস্টীয় পক্ষ সমর্থনকারীগণ যেমন জেরোম বলেন:
কিন্তু আমি অবাক হই যে কেন ধর্মবিদ্বেষী জোভিনিয়ানাস উদাহরণ হিসেবে ইয়েহুদা ও তামারকে আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন, যদিনা কোন গণিকা দৈবাৎ তাকে সন্তুষ্টি প্রদান করে থাকে; আর তিনি ওনানের প্রসঙ্গ আনছে যে কিনা তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভ্রাতৃবধূকে নিজের বীর্য না দিয়ে কেবল সঙ্গম করে নিজের ভাই এর অপমান করেছে। তিনি কী করে ভাবতে পারলেন যে, প্রজনন ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে যৌনাচারকে আমরা অনুমোদন করব?[৭]
আলেক্সান্দ্রিয়ার ক্লিমেন্ট সরাসরী ওনানকে উল্লেখ না করে এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন:
মানুষের বংশবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার জন্য ঐশ্বরিক সৃষ্ট এই বীর্যের কোনো ভাবেই অপচয় হওয়া উচিত নয়।[৮] সন্তান উৎপাদন না করে রতিঃক্রিয়া প্রকৃতিরই বিরুদ্ধাচরণ করা।[৯]
পোপ সম্পর্কিত এনসাইক্লিকাল ক্যাস্টাই কনুবিল (১৯৩০) অনুসারে বাইবেলের এই ঘটনা দ্বারা প্রকাশ পায় যে কোনো জন্ম নিয়ন্ত্রক সঙ্গম ধর্মে নিষিদ্ধ এবং গীর্জা গুলোর এটাই শিক্ষা দেওয়া উচিত।
He writes his Thoughts on the Sin of Onan (1767), which was reproduced as A Word to Whom it May Concern on 1779, as an attempt to censor a work by স্যামুয়েল অগাস্ট টিসো . In that writing, Wesley warns about "the dangers of self pollution", the bad physical and mental effects of masturbation,[১০][১১] writes many such cases along with the treatment recommendations.[১২]
ওনানের কৃতকর্মকে পাপজনক বলে ব্যখ্যা করে জন কেলভিন তার কমেন্টারি অন জেনেসিস গ্রন্থে লেখেন, "নারী-পুরুষের যৌন সঙ্গমের সময় বীর্য বাহিরে পরা একটি অনেক বড় অনুচিৎ কাজ ও ইচ্ছাকৃতভাবে নারীর যোনিতে বীর্যপ্রবেশ না করানো তারচেয়ে দ্বিগুন অনুচিৎ কাজ।"[৭][১৩] ব্রায়ান সি এর মতে পদ্ধতিবাদ এর জনক জন উইসলি "বিশ্বাস করতেন, নিষ্ফল কোনো যৌনক্রিয়ায় বীর্যের সামান্য অপচয় আত্মাকে ধ্বংস করে দেয়, সেটা স্বমেহন বা সঙ্গমের সময় বীর্যের অন্য কোথাও পতিত হওয়াই হোক, আর ওনান যা করেছে সেটা করাই হোক।"[১৪] তিনি তার থটস অন দ্য সিন অফ ওনান (১৭৬৭) গ্রন্থে (যাকে পুনরায় এ ওয়ার্ড টু হুম ইট মে কনসার্ন (১৭৭৯) নামে পুনঃপ্রকাশ করা হয়) স্যামুয়েল-অগাস্ট টিসো এর একটি কাজের সমালোচনা করেন।[১১] এই লেখাগুলোতে উইসলি "আত্মদূষণের ব্যাপারে সতর্ক" করে দেন পাশাপাশি হস্তমৈথুনের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করেন[১০][১৫] এবং চিকিৎসার সুপারিশ সহ এরকম অনেক ঘটনার উল্লেখ করেন।[১২]
কিছু বাইবেলীয় সমালোচক, যারা এই অংশটি প্রসঙ্গগতভাবে পাঠ করেছেন, তাদের মতে, ওনান এর বর্ণনা একটি উৎপত্তিগত পুরাণ যা ইয়েহুদা এর গোত্র এর নিয়মাবলির পরিবর্তনসমূহের ব্যাখ্যা দেয়, ওনান এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই গোত্রের নিঃশেষের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।[১৬][১৭] এর এবং ওনানকে তাই এই গোত্রের প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হয়, যেখানে ওনান সম্ভবত একটি ইডোমাইট গোত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে যার নাম ওনাম ।[১৭] এই গোত্রের কথা জেনেসিসে ইডোমাইট বংশলতিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।[১৮]
কারো কারো মতে ঈশ্বর ওনানের যৌন ক্রিয়ার জন্য ক্রোধান্বিত হন নি, বরং ঈশ্বর ক্রোধান্বিত হয়েছেন কারণ সে তার ভ্রার্তৃবধুর গর্ভসঞ্চার না করে অবাধ্যতা করেছে।[১৯] খুব গভীরভাবে ওনানকে উদ্দেশ্য করে কথিত হওয়া ভাষার উপর গবেষণা করে কিছু গবেষক বলেছেন, ওনান একইসাথে তার বিকৃত যৌনক্রিয়ার (মাটিতে বীর্যপাত) জন্য যেমন ঈশ্বরের ক্রোধের শিকার হয়েছেন একইসাথে তার বড়ভাইয়ের বংশরক্ষা না করার দরুণও ঈশ্বর দ্বারা কুপিত হয়েছেন [২০] এটা বলা হয়, মানবজাতিকে টিকিয়ে রাখতে পরিকল্পিত এই মুল্যবান তরল যারা ওনানের মত নষ্ট করবে তারা তাদের "অপরাধী হাত দ্বারা সামাজিক বন্ধন ভেঙে ফেলে "।[২১]:৮৯
ইয়েহুদা ওনানকে কী করতে হবে তা বলার মাধ্যমে ওনানের গল্প সামাজিক এবং সে পরিস্থিতিকে বর্ণনা করে। ওনানের গল্পের একটি সরল ব্যাখা হলো ঈশ্বর দ্বারা সে কুপিত হয়েছে কারণ সে নির্দেশিকা সঠিক ভাবে অনুসরণ করে নি। পণ্ডিতগণ ওনান ও তামারের ঘটনার ব্যাখ্যার আনুষঙ্গিক উদ্দেশ্য নিয়ে মতামত দিয়েছেন, যেখানে ওনান এর এই ঘটনাটি বিধবা ভ্রাতৃবধূ বিবাহের নিয়মের সম্পর্কে বলে, বা এই আচারের উৎপত্তিগত পুরাণ সম্পর্কে বলে।[১৬] এখানে ওনান এর ভূমিকা হচ্ছে এই নিয়মটি লঙ্ঘণ করে মৃত ভাই এর স্ত্রীর সাথে যৌনক্রিয়া করতে রাজি হওয়া কিন্তু তাকে গর্ভবতী না বানানো। এমারটন বলেন এই ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় নি, যদিও ধ্রুপদী র্যাবাইমূহল লেখকগণ বলেন এই ঘটনাটি বিধবা ভ্রাতৃবধূ বিবাহের সূচনাকে ব্যাখ্যা করে।[২২]
জন এম.রিডল বলেন "এপিপহানিয়াস (৪র্থ শতক) ওনানের অপরাধকে সঙ্গম প্রত্যাখান হিসেবে দেখেছেন "।[২৩] জন টি. নুনান জুনিয়র বলেন, "সেইন্ট এপিফেনিয়াস এই লেখার একটি সরল ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন এবং তিনি একে জন্মনিরোধক এর নিন্দা হিসেবে একে তুলে ধরেন। এবং তিনি এই কাজটি প্রতি-গুঢ়তত্ত্ববাদী তর্কশাস্ত্রের অংশ হিসেবে করেন।[২৪]
কিছু আধুনিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই গল্প হস্তমৈথুনকে ব্যাখ্যা করে না; বরং সঙ্গম প্রত্যাখানকে করে।[২][২৫][২৬] কিছু বাইবেল বিশেষজ্ঞ এটাও বলেছেন, বাইবেলে পরিষ্কার করে এটা কোথাও বলা নেই, হস্তমৈথুন পাপ কাজ।[২৭][২৮] পিটার লুইস এলেনের মতে যদিও ওনানের গল্পের প্রথম ঝলকে ধর্মতাত্ত্বিকরা এটা বুঝতে পেরেছেন হস্তমৈথুন এবং সঙ্গম প্রত্যাখানে সাধারণ সাদৃশ্য আছে এবং পায়ু মৈথুন ও অন্যান্য যৌন ক্রিয়াগুলো যার ফলে সন্তান উৎপাদনে কোনো সুযোগ নেই, এজাতীয় সকল যৌন ক্রিয়া ধর্মীয় দৃষ্টিতে অপরাধমুলক কাজ।[২১]:৮১–৮২
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Numbers
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিThis interpretation, although popular today, is sharply challenged by other sholars. Closely analyzing the language used to describe Onan's offense, they point out that God punished him both because of what Onan chose to do — to waste his seed on the ground was a perverse sexual act — and because he did this for a base purpose or end, namely, to deprive his dead brother of progeny.
Although Onan gives his name to "onanism," usually a synonym for masturbation, Onan was not masturbating but practicing coitus interruptus.
He practiced coitus interruptus whenever he made love to Tamar.
Social change in attitudes toward masturbation has occurred at the professional level only since 1960 and at the popular level since 1970. [133] ... onanism and masturbation erroneously became synonymous... [134] ... there is no legislation in the Bible pertaining to masturbation. [135][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
The Bible presents no clear theological ethic on masturbation, leaving many young unmarried Christians with confusion and guilt around their sexuality.