ওপিসথোসোমা হলো কিছু আর্থ্রোপোড প্রাণীর দেহের পশ্চাৎ অংশ যা কিনা প্রোসমার (সেফালোথোরাক্স) পিছনে অবস্থিত।[১]
এটা কেলিসেরাটা (অ্যারাকনিড, লিমুলাস প্রমুখ) উপপর্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷ যদিও বহুক্ষেত্রেই এটি উদরের মত (এবং অনেক ক্ষেত্রে বলাও হয়)। ওপিসথোসোমায় শ্বসন অঙ্গ ( বুক লাং বা বুক গিল) এবং হৃদপিণ্ড দেখা যায়।
ওপিসথোসোমায় খন্ডকায়ন ও অ্যাপেন্ডেজের সংখ্যা বিভিন্ন হতে পারে৷ কাঁকড়াবিছেদের ওপিসথোসোমায় ১৩টি খণ্ডকায়ন থাকলেও প্রথমটি শুধুমাত্র ভ্রূনজ বিকাশের সময় দেখতে পাওয়া যায়। অন্যান্য অ্যারাকনিডদের আরও কম থাকে; ওপিলিওনের খন্ডনের সংখ্যা ১০টি।[২] বেশিরভাগ প্রজাতিতেই ওপিসথোসোমীয় অ্যাপেন্ডেজ গুলি লোপ পায় বা বহু মাত্রায় বিলুপ্ত হয়। লিমুলাস যদিও এর ব্যতিক্রম কারণ তাদের কাছে "ওপারকিউলা" বা "ব্রাঞ্চিওফোর" নামক কতগুলি বৃক্ষ সদৃশ ওপিসথোসোমীয় প্রতঙ্গ বর্তমান, যা বুক গিলের ধারক এবং গমন ও গ্যাসের আদান প্রদানে সহায়তা করে।
বেশিরভাগ কেলিকেরাটদের মধ্যে ওপিসথোসোমীয় প্রতঙ্গ বহুলাংশে বিলুপ্ত বা বিবর্তিত হয়ে বিশেষ ধরনের প্রতঙ্গে পরিণত হয়। যেমন- মাকড়সাদের স্পিনার্যাট এবং কাঁকড়াবিছেদের পেকটেন ৷ চাবুক বিছে ও চাবুক মাকড়সার মত প্রাণীদের বুক লাং ধারণকারী প্রথম দুটি "স্টারনুম"কে বিবর্তিত ওপিসথোসোমীয় প্রতঙ্গ বলে মনে করা হয়। পূর্ণাঙ্গ মাকড়সাদের ওপিসথোসোমায় কোনো খন্ডকায়ন দেখা যায় না। তবে ভ্রুণ দশায় তাদের ১৩ টি খন্ডকায়ন দেখা যায়, যাদের শেষাংশে থাকা খন্ডকায়ন গুলিকে "প্রিসেগমেন্টাল জোন" বলে।[৩]