ডাকনাম | আল-আহমর | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | ব্রাংকো ইভানকোভিচ | ||
অধিনায়ক | আহমেদ মুবারক | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | আহমেদ মুবারক (১৭৯)[১] | ||
শীর্ষ গোলদাতা | হানি আল-দাবিত (৪৩) | ||
মাঠ | সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্স | ||
ফিফা কোড | OMA | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৭৪ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[২] | ||
সর্বোচ্চ | ৫০ (আগস্ট–অক্টোবর ২০০৪) | ||
সর্বনিম্ন | ১২৯ (অক্টোবর ২০১৬) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৬৭ ৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৩] | ||
সর্বোচ্চ | ৪৯ (এপ্রিল ২০০৫) | ||
সর্বনিম্ন | ১৭৪ (মার্চ ১৯৮৪) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
লিবিয়া ১৪–১ মাস্কট ও ওমান (কায়রো, মিশর; ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
ওমান ১৪–০ ভুটান (মাস্কট, ওমান; ২৮ মার্চ ২০১৭) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
লিবিয়া ২১–১ মাস্কট ও ওমান (ইরাক, ৬ এপ্রিল ১৯৬৬) | |||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৪ (২০০৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | ১৬ দলের পর্ব (২০১৯) | ||
ডাব্লিউইএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ৪ (২০০৮-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | তৃতীয় স্থান (২০১২) |
ওমান জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: منتخب عُمان لكرة القدم) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ওমানের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ওমানের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৭৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৮০ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৪] ১৯৬৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর তারিখে, ওমান প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে মাস্কট ও ওমান হিসেবে ওমান লিবিয়ার কাছে ১৪–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
৩৪,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আল-আহমর নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ওমানের আল খুদে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ব্রাংকো ইভানকোভিচ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আল-মরখিয়াহের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আহমেদ মুবারক আল-মাহাইজরি।
ওমান এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে ওমান এপর্যন্ত ৪ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৪ এএফসি এশিয়ান কাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছানো, যেখানে তারা ইরানের কাছে ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। এছাড়াও, ওমান ২০১২ ডাব্লিউইএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে; যেখানে তারা বাহরাইনকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
আলি আল হাবসি, হাসান মুজাফর আল-গিলানি, ফওজি বশির, হানি আল-দাবিত এবং আহমেদ মুবারকের মতো খেলোয়াড়গণ ওমানের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
২১ শতকের শুরুতে ওমানের জ্যেষ্ঠ দল সাধারণত যে সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল তারা সেখানে সর্বশেষ স্থানটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। এটি ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে শেখ সাইফ বিন হাশিল আল-মাস্কিরের ওএফএ চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে ওমানের পক্ষে এশিয়ান ফুটবল স্টেডিয়ামে অত্যন্ত সফল হতে শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে ওমান ১৯৯৬ এবং ২০০০ সালে এশিয়ার অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ১৯৯৫ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছায়। ওমান বর্তমানে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের খেলোয়াড়দের খেলতে পাঠিয়ে থাকে। সাবেক ওমানি অধিনায়ক হানি আল-ধাবিতকে আরএসএসএফ ২০০১ সালে ২২টি গোল করার মাধ্যমে বিশ্ব শীর্ষ গোলদাতা হিসেবে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন;[৫] আজ পর্যন্ত বিশ্ব শীর্ষ স্কোরার পুরস্কার জিতেছে এমন একজন খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বাধিক গোল করা খেলোয়াড় এবং তৃতীয় আরব এবং একমাত্র ওমানি হিসেবে তিনি এই পুরস্কার জয়লাভ করেছেন।[৬]
জ্যেষ্ঠ দল ফিফা বিশ্বকাপের জন্য কখনোই যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, তবে ২০০৪, ২০০৭ এবং সম্প্রতি ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের জন্য তারা যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তারা আরবীয় গালফ কাপে সর্বমোট তিনবার ফাইনালে উঠেছে এবং একটি স্বাগতিক হিসেবে তাদের তৃতীয় প্রচেষ্টায় তারা এটি জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
নতুন সহস্রাব্দের পূর্বে, ওমান সাধারণত আরবীয় গালফ কাপে লড়াই করে এবং সেখানে তারা সাধারণত ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম স্থানে তাদের প্রতিযোগিতা শেষ করে, এমনকি যখন এই প্রতিযোগিতাটি ওমানে অনুষ্ঠিত হয় তখনো তাদের একই অবস্থা বজায় থাকে। এটি ১৯৯৮ সালে যখন জাতীয় দলের কর্মক্ষমতা উন্নতি হতে শুরু করে এবং ২০০৩ ও ২০০৪ সালে আমাদ আল-হোশনি, আলী আল-হাবসি, সুলতান আল-তাওকি, বদর আল-মায়ামানী এবং খলিফা আইলেলের মত নতুন প্রতিভা দলে সংযুক্ত হতে থাকে তখন তারা সফলতার দেখা পায়।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ওমান তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৫০তম) অর্জন করে এবং ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১২৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ওমানের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪৯তম (যা তারা ২০০৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৭৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
|
|
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ||
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৩৪ | ||||||||||||||||
১৯৩৮ | ||||||||||||||||
১৯৫০ | ||||||||||||||||
১৯৫৪ | ||||||||||||||||
১৯৫৮ | ||||||||||||||||
১৯৬২ | ||||||||||||||||
১৯৬৬ | ||||||||||||||||
১৯৭০ | ||||||||||||||||
১৯৭৪ | ||||||||||||||||
১৯৭৮ | ||||||||||||||||
১৯৮২ | ||||||||||||||||
১৯৮৬ | প্রত্যাহার | প্রত্যাহার | ||||||||||||||
১৯৯০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৬ | ০ | ২ | ৪ | ২ | ১১ | |||||||||
১৯৯৪ | ৬ | ২ | ২ | ২ | ১০ | ৫ | ||||||||||
১৯৯৮ | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ১৪ | ২ | ||||||||||
২০০২ | ১৪ | ৬ | ৪ | ৪ | ৪০ | ১৯ | ||||||||||
২০০৬ | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ১৪ | ৩ | ||||||||||
২০১০ | ৮ | ৪ | ২ | ২ | ৯ | ৭ | ||||||||||
২০১৪ | ১৬ | ৬ | ৫ | ৫ | ১২ | ১০ | ||||||||||
২০১৮ | ৮ | ৪ | ২ | ২ | ১১ | ৭ | ||||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | ||||||||||||||
মোট | ০/৮ | ৭০ | ২৯ | ১৯ | ২২ | ১১৫ | ৭০ |