কাতার |
ওমান |
---|
ওমান-কাতার সম্পর্ক, ওমান ও কাতার এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ওমান এবং কাতার, উভয় দেশই গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এর সদস্য। কাতারের রাজধানী দোহাতে, ওমানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে ওমানের রাজধানী মাস্কাট এ কাতারের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।
ওমানে নিযুক্ত কাতারের বর্তমান রাষ্ট্রদূত হলেন আলি বিন ফাহাস আল হাজরী (২০১৭ সালে)।[১] আবার, কাতারে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত হলেন নাজিব নিন ইয়াহিয়া আল-বালুশি (২০১৭ সালে)[২]
১৯৭১ সালে কাতার যুক্তরাজ্য এর নিকট হতে স্বাধীনতা লাভ করে। এর ১ বছরে হওয়ার পূর্বেই ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে ওমানের সুলতান, কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ, রাষ্ট্রীয় সফরে কাতার সফরে যান। কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ, এর দুই বছর আগে ওমানের সুলতান হন।[৩]
২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, কাতারের আমির, হামাদ বিন খলিফা আল-থানি তিন দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে ওমান যান। [৪]
২০১০ সালের ২২ এপ্রিল, আমির হামাদ বিন খলিফা আল-থানি, দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওমানে যান। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে যৌথ পদক্ষেপের একটি অংশ হিসেবে তিনি ওমান সফরে যান।[৫]
২০১৭ কাতারের কূটনৈতিক সংকট এর সময়কালে যখন পারস্য উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তখন কাতারের পণ্য পরিবহনের জন্য, ওমান ছিল প্রধান পরিবহন পথ। এই সংকটের সময় যেসব পণ্যের গন্তব্য ছিল কাতার সেগুলো ওমানের সালাহ বন্দর এবং সোহার বন্দর দিয়ে পরিবহন করা হত।[৬] এছাড়াও, সেই মাসেই কাতারের হামাদ বন্দর এবং ওমানের এই দুটি বন্দরের মাঝে সরাসরি নৌপথ তৈরি করা হয়।[৭] সৌদি আকাশসীমায় কাতার এয়ারওয়েজ কে নিষিদ্ধ করা হলে, ওমান তখন কাতারকে সাহায্য করে।[৮] এই দন্দের মধ্যে ওমান কখনই যুক্ত হয় নি, তবে বিকল্প পরিবহনপথ হিসেবে, কাতারকে নিজেদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে, দেশটি কাতারকে প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধ মোকাবিলা করার সুযোগ দিয়েছে। [৮]
২০১৪ সালে ওমান এবং কাতারের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮১৪ মিলিয়ন (৮১.৪ কোটি) মার্কিন ডলার[৯]
২০১৭ সালের জুন কাতারে কূটনৈতিক সংকট শুরু হয়। এইসময় কাতারের অর্থনীতিতে এক সংকটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাসের তুললায়, কাতার ও ওমানের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২,০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালের এই সময় পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১০]
১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ওমানী নাগরিক কাতারে বসবাস করছেন।[৩]