ওয়াঝমা ফ্রঘ | |
---|---|
জাতীয়তা | আফগান |
পরিচিতির কারণ | আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার ২০০৯ বিজয়ী |
ওয়াঝমা ফ্রঘ হলেন একজন নারী অধিকার কর্মী।[১][২] তিনি ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে তিনি তার বাড়িওয়ালার সন্তানদের পড়াতেন, যাতে বাড়িওয়ালা তাদের বাড়িভাড়া হ্রাস করে এবং তিনি ও তার বোন স্কুলে যেতে পারে।[৩] তিনি সতের বছর বয়সে পাকিস্তানে আফগান শরণার্থী শিবিরের দুরবস্থা এবং সেখানে নারী নির্যাতনের কাহিনী একটি পাকিস্তানি পত্রিকায় প্রকাশ করেন, যখন তিনি একটি পাকিস্তানি সংবাদপত্রে ইন্টার্নি করতেছিলেন।[৩] ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি পেশোয়ার থেকে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ফিরে আসেন।[৪] ২০০২ সালে তিনি আফগানিস্তানের নুরিস্তানের নারীদের অবস্থা বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের কাজ শেষ করেন।[৪] তিনি দেশটির কান্দাহার, গজনি, হেরাত ও পারোয়ান প্রদেশে নারী উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সমর্থক ছিলেন।[৪]
তিনি আফগান অর্গানাইজেশন রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা।[২] ২০১৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেয়ে ন্যাটোকে বারংবার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এক মিলিশিয়া কমান্ডার সম্পর্কে অবহিত করতে চেয়েছিলেন।[৫] ঐ মিলিশিয়া কমান্ডার প্রতিনিয়ত তাকে ও তার বোনকে হুমকি দিচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্সটিটিউট অব ইনক্লুসিভ সিকিউরিটি তাকে ছয় থেকে বারো মাসের জন্য ভিজিটিং ফেলো হিসেবে কাজ করার আমন্ত্রণ জানালেও তার ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।[৫]
তিনি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় আফগানিস্তান নিয়ে লিখেছেন। তিনি দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন।[৬]
তিনি নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদের সমর্থক, যেটি আফগানিস্তান ২০০৩ সালে অনুমোদন করেছিল।[৭][৮]
ওয়াঝমা ফ্রঘ ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।[১]