ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওয়াডিংটন এমওয়েঙ্গা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২০ জুন, ১৯৮৪ হারারে, জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ওয়াড্ডি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৭৪) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৩) | ২৪ নভেম্বর ২০০২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ মে ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ জুলাই ২০২০ |
ওয়াডিংটন এমওয়েঙ্গা (ইংরেজি: Waddington Mwayenga; জন্ম: ২০ জুন, ১৯৮৪) হারারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ীয় কোচ ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড ও ম্যাশোনাল্যান্ড এ-দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘ওয়াড্ডি’ ডাকনামে পরিচিত ওয়াডিংটন এমওয়েঙ্গা।
প্রতিশ্রুতিশীল ডানহাতি পেস বোলার হিসেবে কিশোর বয়সে নিজেকে পরিচিতি করে তুলেছিলেন ওয়াডিংটন এমওয়েঙ্গা। কিন্তু, পরবর্তীতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারেননি তিনি। তার পিতা হারারেভিত্তিক সেন্ট জোন্স কলেজের মাঠ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। এ সময়ে তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অ্যালানসহ তিনি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের পিতা বিল ফ্লাওয়ারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাদের প্রতিভা বিকাশে তিনি উভয়কেই ভাইনোনা হাই স্কুল ও পরবর্তীতে সেন্ট জোন্সে ক্রিকেট বৃত্তির ব্যবস্থায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন।
বয়সভিত্তিক দলে জিম্বাবুয়ের পক্ষে খেলেন ও ২০০২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেন। কেনিয়ার বিপক্ষে ৫/২১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ২০০৬ সালে ওরচেস্টারশায়ারের দ্বিতীয় একাদশে খেলেন।
২০০১-০২ মৌসুম থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ওয়াডিংটন এমওয়েঙ্গা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। গ্রীষ্মকালে র্যাডক্লিফ-অন-ট্রেন্টের নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। এরপর, শীতকালে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ওয়াডিংটন এমওয়েঙ্গা। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে হারারেতে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ২৪ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ মে, ২০০৪ তারিখে হারারেতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
শক্তিধর পাকিস্তান দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে তেমন সুবিধে করতে পারেননি ও তিন বছর বাদে ২০০৫-০৬ মৌসুমে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। তবে, অভিষেক টেস্টেও তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তিনি বলকে তেমন ঘুরাতে পারতেন না। তবে, বলে নিখুঁততা ও নিশানা বজায় রেখে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন।