ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮২ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৫) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ এপ্রিল ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬৬) | ২২ নভেম্বর ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬/৯৭–২০১৫ | মুম্বই | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮–২০০৯ | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (জার্সি নং ১০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫- | বিদর্ভ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১ ডিসেম্বর ২০১৬ |
ওয়াসিম জাফর (ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব করেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংও করতেন তিনি। রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অমল মজুমদারের সর্বোচ্চ রানকে পাশ কাটিয়ে অদ্যাবধি শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন।[১]
; জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮) মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় ক্রিকেটার।বিদ্যালয় জীবনে বর্ণাঢ্যময় ক্রিকেট জীবন অতিবাহিত করেন তিনি। ১৫ বছর বয়সেই অপরাজিত ৪০০ রান তোলেন। এরপরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় ত্রি-শতক হাঁকান। তার অপরাজিত ৩১৪ রান প্রথমবারের মতো মুম্বইকে সিরিজে এগিয়ে রাখতে প্রভূতঃ সহায়তা করে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো নিজ মাঠের বাইরে কোন ব্যাটসম্যানের করা ত্রি-শতক ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে সুলক্ষ্মণ কুলকার্নি’র সাথে ৪৫৯ রান তোলেন যা মুম্বই প্রথমবারের মতো চারশত রান অতিক্রমণ করে।[২][৩]
মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের ব্যাটিংভঙ্গীমার সাথে তার ব্যাটিংয়ের খানিকটা মিল রয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ তারিখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষ অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু অভিজ্ঞ শন পোলক ও অ্যালান ডোনাল্ডের তোপের মুখে তাকে পড়তে হয়। চার ইনিংসে তিনি মাত্র ৪৬ রান তোলেন। কিছুকাল দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। মে, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। ব্রিজটাউনে ৫১ ও অ্যান্টিগুয়ায় ৮৬ তোলেন। পরবর্তী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে যান। লর্ডসে অর্ধ-শতক করলেও অন্যান্য ইনিংসে তেমন সফল ছিলেন না। ফলশ্রুতিতে দুই টেস্ট পর দল থেকে বাদ পড়েন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাপক সফলতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে ২০০৫-০৬ মৌসুমে পাকিস্তান সফরের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ঐ সিরিজের কোন টেস্টেই তাকে নেয়া হয়নি। ভারতে অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্ট সিরিজে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। নাগপুরে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক ১০০ রান তোলেন।
জুন, ২০০৬ সালে অ্যান্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দ্বি-শতক তোলেন।[৪] দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০০ মিনিটেরও অধিক সময় ক্রিজে অবস্থান করে তার এই ২১২ রান ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যৌথভাবে দ্বিতীয় সংগ্রহ ছিল।[৫]
জুলাই, ২০০৬ সালে ভারতের প্রথম পছন্দের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও জুটির সদস্য বীরেন্দ্র শেওয়াগসহ তিনি বিসিসিআইয়ের সাথে গ তালিকাভূক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। নভেম্বর, ২০০৬ সালে জাফরের ওডিআই অভিষেক হয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার এই অভিষেকটি সুখকর ছিল না। ওডিআই দল থেকে বাদ পড়লেও টেস্ট আঙ্গিনায় সরব ছিলেন তিনি। নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় শতক করেন। তার পরবর্তী সিরিজ ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে উদ্বোধনী টেস্টে জোড়া শূন্য পান। কিন্তু পরের টেস্টে ১৩৮ রান তুলে রিটায়ার্ড হার্ট হন।[৬] ২০০৭ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মনোমুগ্ধকর ২০২ রান তোলেন।[৭]