ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জাতীয়তা | দক্ষিণ আফ্রিকান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৫ জুলাই ১৯৯২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওজন | ৭০ কেজি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ট্র্যাক ও ফিল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিভাগ | স্প্রিন্টিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাফল্য ও খেতাব | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত সেরা |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
ওয়েড ফন নাইকার্ক (/[অসমর্থিত ইনপুট: 'ZA'][অসমর্থিত ইনপুট: 'pron']ˈweɪd
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে পুরুষদের ৪০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়ে স্বর্ণপদক লাভসহ বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হন। এ রেকর্ড গড়তে তিনি সময় নেন ৪৩.০৩ সেকেন্ড।[২] এরফলে স্পেনের সেভিলেতে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে মাইকেল জনসনের গড়া ৪৩.১৮ সময়ের সৃষ্ট বিশ্বরেকর্ড ম্লান হয়ে যায়।
কেপটাউনে জন্মগ্রহণ করেন ফন নাইকার্ক।[৩] বেলভিল প্রাইমারিতে[৪] অধ্যয়ন শেষে গ্রে কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ফ্রি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[৫] ২০১০ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপে অ্যাথলেটিক্স বিষয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক ঘটে তার। ঐ প্রতিযোগিতার ২০০ মিটার বিষয়ে ৪র্থ হন ও নিজস্ব সেরা সময় ২১.০২ নেন। এছাড়াও গাইডন ট্রটারের সাথে ৪×১০০ মিটার রিলে হিটে জাতীয় দলের পক্ষে অংশ নেন।[৬] বড়দের আসরে তার প্রথম সফলতা আসে আঠারো বছর বয়সে। ২০১১ সালের দক্ষিণ আফ্রিকান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপে ২০০ মিটারে শিরোপা জয় করেন ও নিজস্ব সেরা ২০.৫৭ সেকেন্ড সময় গড়েন।[৭] ঐ একই বিষয়ে ২০১১ সালের আফ্রিকান জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিলেও চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। ২০১২ সালে ধীরলয়ে শুরু করলেও ৪০০ মিটারে নিজের প্রতিভা দেখাতে শুরু করেন। ৪৬.৪৩ সেকেন্ডে নিজস্ব সেরা সময় নেন।[৮]
২০১৩ মৌসুমে ফন নাইকার্ক ৪০০ মিটারের উদীয়মান দৌড়বিদ হিসেবে আবির্ভূত হন। ২০১৩ সালের দক্ষিণ আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নশীপে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় শিরোপা লাভ করেন। তিনি ৪৬ সেকেন্ডের কম সময় নিয়েছিলেন।[৯] ইউরোপ সফরের পূর্বে আইএএএফ মিটিং ডে ডাকার জয় করেন। গোল্ডেন স্পাইক অস্ত্রাভায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তিনি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কিরাণী জেমসের পিছনে অবস্থান করে দ্বিতীয় হলেও নিজস্ব সেরা সময় ৪৫.০৯ নেন।[১০] ২০১৩ সালের গ্রীষ্মকালীন ইউনিভার্সিয়াডের ৪০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিলেও দ্রুততম পর্যায়ে বাদ পড়ে চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন।[১১] পডিয়ামে পৌঁছে ৪×৪০০ মিটার রিলেতে অংশ নেন ও দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে ব্রোঞ্জপদকের সন্ধান পান। ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের ৪০০ মিটার বিষয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। কিন্তু হিটে অতীতের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি।[৬] ২০১৫ সালের আইএএএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে ৪৩.৪৮ সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জয় করেন নাইকার্ক।[১২]
১২ মার্চ, ২০১৬ তারিখে বিশ্বের ১০৭তম ক্রীড়াবিদ হিসেবে ১০০ মিটার দৌড়ে ১০ সেকেন্ডের বাঁধা ভেঙ্গে ফেলেন। এ কৃতিত্বের ফলে ১০ সেকেন্ডে ১০০ মিটার, ২০ সেকেন্ডে ২০০ মিটার এবং ৪৪ সেকেন্ডে ৪০০ মিটার দৌড়ের বাধা অতিক্রমকারী প্রথম ব্যক্তিতে পরিণত হন তিনি।[১৩] ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পতাকা বাহকের মর্যাদা লাভ করেন।[১৪]
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক লাভ করেন ও ১৯৯৯ সালে মাইকেল জনসনের গড়া বিশ্বরেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন ৪৩.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে।[১৫] এছাড়াও, ১৯২৪ সালে স্কটল্যান্ডের এরিক লিডেলের পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আট নম্বর লেনে অবস্থান করা স্বত্ত্বেও অলিম্পিকের ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদকধারী তিনি।[১৬]
গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ৪০০ মিটারে রৌপ্যপদক পেয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালের গ্রীষ্মকালীন ইউনিভার্সিয়াডে ৪×৪০০ মিটার রিলেতে পেয়েছেন ব্রোঞ্জপদক। ২০১৩ ও ২০১৫ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। তন্মধ্যে, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জয় করেন।
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মাইকেল জনসন |
পুরুষদের ৪০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ডধারী ১৪ আগস্ট, ২০১৬-বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |
পূর্বসূরী আইজাক মাকোয়ালা |
পুরুষদের ৪০০ মিটারে আফ্রিকান রেকর্ডধারী ২৬ আগস্ট, ২০১৫ -বর্তমান | |
অলিম্পিক গেমস | ||
পূর্বসূরী কাস্টার সেমেনিয়া |
দক্ষিণ আফ্রিকার পতাকা বাহক রিও দি জেনেরিও ২০১৬ |
উত্তরসূরী নির্ধারিত হয়নি |