ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওয়েন ডিলন পার্নেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্ট এলিজাবেথ, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩০ জুলাই ১৯৮৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | পিজিয়ন, পার্নি[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩০৭) | ১৪ জানুয়ারি ২০১০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৪) | ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৭২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৩৯) | ১৩ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১২ মার্চ ২০১৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬-২০০৭ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮- | ওয়ারিয়র্স (জার্সি নং ৩৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | কেন্ট (জার্সি নং ৩৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০-২০১৪ | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১৩ | পুনে ওয়ারিয়র্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: Cricinfo, ১৩ মার্চ ২০১৪ |
ওয়েন ডিলন পার্নেল (জন্ম: ৩০ জুলাই, ১৯৮৯) হলেন একজন প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলায় অন্যতম সদস্য হিসেবে রয়েছেন। দলে বামহাতে ব্যাটিং করলেও মূলতঃ তিনি বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। পার্নেল ২০০৭ সালে পোর্ট এলিজাবেথের গ্রে হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। তারপর ২০০৯ সালে নেলসন ম্যান্ডেল মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ওয়ারিয়র্স ও কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের হয়ে নিয়মিত ক্রিকেট খেলেন। আর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে ও পরবর্তীকালে পুনে ওয়ারিয়র্স দলের হয়ে খেলেন তিনি। ২০১৪ সালের আইপিএল নিলামে তিনি পুনরায় ১ মিলিয়ন রূপির বিনিময়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে খেলেন ওয়েন পার্নেল। এরপর ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনোনীত হন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় ওয়েন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। গড়ে ৮.৩৮ রান দিয়ে ১৮ উইকেট লাভ করেছিলেন পার্নেল। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেটসহ ৫৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পরের বছর ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই ও টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক ঘটে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট তার অভিষেক ঘটে।[২][৩]
২০১১ সালে পার্নেল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ঘোষণা দেন। ধর্ম পরিবর্তনের পর তিনি নতুন নাম হিসেবে ওয়ালিদ নামটিকে বেছে নিয়েছিলেন বলেও ঘোষণা দেন। যদিও সে সময় তার এই ঘোষণাকে নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার হাশিম আমলা এবং বোলার ইমরান তাহির তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে প্রভাবিত করেছেন।[৪] তবে সেসময় এই ধারণাটিকে উড়িয়ে দিয়ে ওয়েন পার্নেল বলেছিলেন, যদিও আমি আমার নাম ওয়ালিদ ঠিক করেছি, তবে আমি চাই সকলে আমাকে আমার পূর্বের নামেই ডাকুক। ইসলাম ধর্ম আমি নিজে গবেষণায় গ্রহণ করেছি। আমি আমার দলের সকল কিছুতে সব সময় এগিয়ে থাকবো। আমার মূল লক্ষ্য থাকবে দলের জন্য সেরাটা দিয়ে খেলা। যেহেতু রোজার সময় চলে আসছে, আমি চাই সকলেই আমার এই সিদ্ধান্তটিকে ইতিবাচকভাবে নিক বা গ্রহণ করুক। আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার এবং আমার জীবনের এ রকম সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতা ও সৎ সাহস আমার আছে। এই সিদ্ধান্তে দলের কোন সদস্য কিংবা আমাকে কেউ উদ্বুদ্ধ করেননি। আমি নিজেই আমার জন্য ভালোটা বেছে নিয়েছি।
২০১৬ সালে পার্নেল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ইসলামের বিধিনিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করেন। তার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, বিদেশ সফরে তিনি এলকোহল ও মাদকদ্রব্য এড়িয়ে চলেন।