ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওয়েন পেনেল ব্র্যাডবার্ন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়াইকাতো, নিউজিল্যান্ড | ২৪ নভেম্বর ১৯৩৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ হ্যামিল্টন, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৬৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১০০) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ মার্চ ১৯৬৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ জুলাই ২০১৯ |
ওয়েন পেনেল ব্র্যাডবার্ন (ইংরেজি: Wynne Bradburn; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৩৮ - মৃত্যু: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮) ওয়াইকাতোর টেমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারিতে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ওয়েন ব্র্যাডবার্ন।
১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েন ব্র্যাডবার্নের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। কিন্তু, ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন ঘটিয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হবার পর থেকেই সফল হতে থাকেন। বিস্ময়করভাবে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের জন্যে মনোনীত হন। তবে, প্রকৃতপক্ষে ঐ মৌসুমে তার খেলার মান তেমন ভালো ছিল না। তাসত্ত্বেও, প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর শতরানের কাছাকাছি পর্যায়ে ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ওয়েন ব্র্যাডবার্ন। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে শততম টেস্ট ক্যাপধারী হন।
বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় তিনি ৩২ ও ১৪ রান তুলেন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ব্র্যাডবার্ন ও বিডব্লিউ সিনক্লেয়ারের মধ্যকার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সংগৃহীত ৫১ রান উভয় দলের মধ্যে তৎকালীন রেকর্ড ছিল। নিচেরসারিতে ডিক, ব্লেয়ার ও ক্যামরনের দৃঢ়তায় ঐ খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। এরপর, ১৩ মার্চ, ১৯৬৪ তারিখে অকল্যান্ডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। প্রথম টেস্টে ৩২ এবং দ্বিতীয় টেস্টে ২ ও ১৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্যে সদস্য তালিকা প্রকাশ করা হলে তাকে ঊহ্য রাখা হয়। পরবর্তী গ্রীষ্মকালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যক্তিগত একমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেন।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে ৭০ বছর বয়সে হ্যামিল্টনে ওয়েন ব্র্যাডবার্নের দেহাবসান ঘটে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে ৪৮ বছর বয়সী স্বীয় অর্ধাঙ্গিনীর শবানুষ্ঠানের পর থেকে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। তার পুত্র গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন ঘরোয়া ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং ১৯৯০ থেকে ২০০১ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সাতটি টেস্ট ও এগারোটি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সাত পিতা-পুত্রের টেস্ট ক্রিকেট খেলার অন্যতম হিসেবে দৃষ্টান্ত গড়েন।