অবসরপ্রাপ্ত সম্মানীয়া দ্য ডোয়েজার ল্যাডি ব্যাডেন-পাওয়েল | |
---|---|
![]() ওলেভ ব্যাডেন-পাওয়েল, চীফ গাইড | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৫ জুন ১৯৭৭ ব্রামলে, সারে, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮৮)
পেশা | গাইডিং ও স্কাউটিং |
দাম্পত্য সঙ্গী | রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল, ১ম ব্যারন ব্যাডেন-পাওয়েল (১৯১২-১৯৪১) |
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
ওলেভ সেন্ট ক্লেয়ার ব্যাডেন-পাওয়েল, ব্যারোনেস ব্যাডেন-পাওয়েল, জিবিই (ইংরেজি: Olave St Clair Baden-Powell, Baroness Baden-Powell; জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৯ - মৃত্যু: ২৫ জুন, ১৯৭৭) স্কাউটিং এবং গার্ল গাইডসের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েলের সহধর্মিনী এবং সহযোগী হিসেবে স্কাউট আন্দোলনে ৩৫ বছরেরও অধিককাল সম্পৃক্ত ছিলেন। ইংল্যান্ডের চেষ্টারফিল্ডে 'ওলেভ সেন্ট ক্লেয়ার' নামে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি 'ওলেভ, লেডি ব্যাডেন-পাওয়েল'; 'দ্য ডোয়েজার ল্যাডি ব্যাডেন-পাওয়েল' নামেও পরিচিতি লাভ করেন।
চিত্রকর হ্যারল্ড সোয়ামেজের ৩য় এবং সর্বকনিষ্ঠ কন্যা ছিলেন। তিনি বাবা-মা এবং অনেক গভার্নেসের তত্ত্বাবধানে বাড়ীতে পড়াশোনা করেন। জীবনের প্রথম ২৩ বছরের মধ্যে সতেরটি বাড়ীতে বসবাস করেছেন। ওলেভ বহিরাঙ্গনের ক্রীড়া হিসেবে টেনিস, সুইমিং, ফুটবল, স্কেটিং এবং ক্যানোইংয়ের প্রতি আসক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভায়োলিন বাজাতে ভালবাসতেন।[১]
জানুয়ারি, ১৯১২ সালে ওলেভ ২য় বোয়ের যুদ্ধ বিজয়ী এবং স্কাউটের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েলের সাথে মিলিত হন। পাওয়েল তখন নিউইয়র্ক থেকে স্কাউটের বিশ্ব সফরে বের হয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওলেভ এবং ৫৫ বছর বয়সী রবার্ট একই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণমাধ্যমের কারণে বাগদান পর্ব সমাপণ করেন। কঠোর গোপনীয়তায় তারা ৩০ অক্টোবর, ১৯১২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[২] ইংল্যান্ডের স্কাউট এবং গাইডেরা প্রত্যেকই এক পেনি করে চাঁদা সংগ্রহ করে ব্যাডেন-পাওয়েল দম্পতির জন্যে বিয়ের উপহারস্বরূপ একটি গাড়ী দেয়।
১৯১৮ সালে ওলেভ ব্রিটেনের চীফ গাইডরূপে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে একই বছর তিনি স্বর্ণমণ্ডিত সিলভার ফিস পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৩০ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড চীফ গাইড হিসেবে নির্বাচিত হন। গাইড এবং গার্ল স্কাউট আন্দোলনের বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণ করে উত্তরণ ঘটান। আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বুরীতে অংশগ্রহণসহ বিশ্বের ১১১টি দেশ পরিদর্শন করেন।