ওশ Ош | |
---|---|
কিরগিজস্তানের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪০°৩১′৪৮″ উত্তর ৭২°৪৮′০″ পূর্ব / ৪০.৫৩০০০° উত্তর ৭২.৮০০০০° পূর্ব | |
্দেশ | Kyrgyzstan |
অঞ্চল | Osh Region |
সরকার | |
• Mayor | Aitmamat Kadyrbaev |
আয়তন[১] | |
• মোট | ১৮২.৫ বর্গকিমি (৭০.৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯৬৩ মিটার (৩,১৫৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৭)[২] | |
• মোট | ২,৮১,৯০০ |
সময় অঞ্চল | KGT (ইউটিসি+6) |
ওয়েবসাইট | http://oshcity.kg |
ওশ (কিরগিজ: Ош, রুশ: Ош, উজবেক: O'sh) উজবেকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, দক্ষিণে ফরগনা উপত্যকায় অবস্থিত এবং প্রায়ই "দক্ষিণের রাজধানী" হিসেবে পরিচিয় দেওয়া হয়। এটি দেশের সর্ববৃহৎ শহর (৩০০০ বছরেরো বেশি পুরাতন বলে ধারণা করা হয়) এবং ১৯৯ সাল থেকে ওশ অঞ্চলের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। করেছে। ২০১২ সালের হিসেবে নগরীর জাতিগতভাবে মিশ্র ২৫৫,৮০০ জনসংখ্যা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিরগিজ, উজবেক, রুশ, তাজিক এবং অন্যান্য ছোট নৃগোষ্ঠী।
ওশ মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম জনবসতি যা বড় বাজার হিসেবে কাজ করে বিশেষ করে সিল্ক রোডের পাশের বাজার যা এখন বিখ্যাত সিল্ক রোড বাজার নামে পরিচিত এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করেছে। সোভিয়েত যুগের সময় প্রতিষ্ঠিত শহরটির শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পতিত হয় এবং সম্প্রতি এটি পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। উজবেকিস্তানের সীমান্তের সাহচর্য, যা ঐতিহাসিকভাবে সংযুক্ত অঞ্চল ও বসতিগুলির মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সমন্বয় করেছে, ওশের পূর্ববর্তী প্রান্তিক অঞ্চলের বেশিরভাগ ওশকে বঞ্চিত করে এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুতর বাধা প্রদান করেছে। ওশ বিমানবন্দর ওশকে সংযুক্ত করেছে। প্রতিদিনের বিমান চলাচল কিরগিজস্তানের দক্ষিণ অংশকে বিশকেক এবং কিছু আন্তর্জাতিক গন্তব্য প্রধানত রাশিয়ার সংগে সংযুক্ত করেছে। ওশে দুটি রেলওয়ে স্টেশন আছে এবং প্রতিবেশী উজবেকিস্তানে আদিজানের সাথে একটি রেলওয়ে সংযোগ আছে, কিন্তু কোন যাত্রী পরিবহন হয়না, শুধুমাত্র মালবাহী বগি পরিবহন করা হয়। সড়কপথে সর্বাধিক পরিবহন হয়। বিশকেকের পর্বতমালার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
শহরটির বেশ কয়েকটি স্তম্ভ আছে, যার মধ্যে রয়েছে এক কিরগিজের "রাণী" কুমারজান দাতকা এবং লেনিনের কয়েকটি অবশিষ্ট মূর্তির একটি। একটি রাশিয়ান অর্থোডক্স গির্জা যা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পুনরায় খোলা, দেশের বৃহত্তম মসজিদ (বাজারের পাশে অবস্থিত) এবং ১৬ শতকের রাবাত আব্দুল খান মসজিদ এখানে দেখতে পাওয়া যায়। কিরগিজস্তানের একমাত্র বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান সুলায়মান পর্বত যেখান থেকে ওশ ও এর পরিপার্শ্বের চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়। এই পাহাড়টি কিছু গবেষক এবং ঐতিহাসিকদের দ্বা্রা "স্টোন টাওয়ার" নামে পরিচিত এবং প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। যার সম্পর্কে ক্লডিয়াস টলেমি তাঁর বিখ্যাত কাজ ভূগোল (টলেমি)তে লিখেছিলেন। এটি প্রাচীন সিল্ক রোডের মধ্যবিন্দু চিহ্নিত করে, ইউরোপ ও এশিয়া্র মধ্যকার ক্যারাভান চলার উচ্চভূমির বাণিজ্যপথ[৩]। জাতীয় ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর কমপ্লেক্স সুলায়মান পাহাড়ে খোদাই করে তৈরী করা হয়েছে, এটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহ ধারণকারী, ভূতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক আবিষ্কার এবং স্থানীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে।
এখানার প্রথম পশ্চিমা ধঁচের সুপারমার্কেট নারদনিজ ২০০৭ সালের মার্চ মাসে খোলা হয়েছে।.[৪]