ওসমান বেদেমির | |
---|---|
দিয়ারবাকির মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ২০০৪ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | ফেরিদুন সেলিক |
উত্তরসূরী | গুলতান কিশানক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দিয়ারবাকির, তুরস্ক | ১ জানুয়ারি ১৯৭১
ওসমান বেদেমির (দিয়ারবাকিরে ১৯৭১ সালে জন্ম) হলেন তুর্কী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি কুর্দি বংশোদ্ভূত। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তার নিজ শহর দিয়ারবাকিরের মেয়র ছিলেন। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত পিস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি পার্টির (বিডিপি) এবং ২০১৪ সাল থেকে এইচডিপির সদস্য ছিলেন।
ওসমান বেদেমির ডিকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি স্বাধীন মানবাধিকার সমিতির দিয়ারবাকির শাখার সভাপতি হন। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি একজন বোর্ড সদস্য ছিলেন এবং পাশাপাশি সমিতির সহ-সভাপতি হন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রথম আইনজীবীদের একজন হয়েছিলেন যিনি স্বেচ্ছায় আব্দুল্লাহ ওজালানকে রক্ষা করেছিলেন।[১] ২০০১ সালে তিনি তুরস্কের হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন।[২] ২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে, তিনি ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির (ডিইএইচএপি) প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু দলটি ১০% নির্বাচনী দোরগোড়ায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছিল। ২০০৩ সালে, ওসমান বেদেমির যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাস অতিবাহিত করেন, তার ইংরেজি ভাষা উন্নত করার জন্য। ২০০৪ সালে, তিনি দিয়ারবাকিরের মেয়র নির্বাচিত হন। দিয়ারবাকিরের মেয়র হিসেবে তিনি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ইউনাইটেড সিটিজের সদস্য হয়েছিলেন, যার জন্য তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি রাজধানী ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি ইউরোপীয় সংসদে তুরস্কে কুর্দিদের যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন সে বিষয়ে বক্তৃতাও করেছিলেন।[৩]
একজন মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে ওসমান বেদেমির বিভিন্ন স্তরে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ২০০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে তার মানবাধিকার কার্যক্রমের জন্য তার বিরুদ্ধে ২০০ টি আদালতে মামলা ছিল।[৪] দৈনিক রাদিকাল ১১ জুলাই ২০০৬ সালে রিপোর্ট করেছে, পূর্ববর্তী দুই বছরে তার বিরুদ্ধে মোট ১২৯টি তদন্ত করা হয়েছিল।[৫]
ওসমান বেদেমির অসংখ্য হুমকি পেয়েছেন। ২০০১ সালের জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার পক্ষ থেকে একটি জরুরি নিরাপত্তা পরিস্থিতি জারি করে।[৬] আর্মেনিয় এক সাংবাদিককে হত্যার পর, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ওসমান বেদেমির ছিলেন সেই কয়েক জনের একজন যারা কিনা মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিছিল।[৭]
ওসমান বেদেমিরের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে:
১লা মার্চ ২০২১-এ, ক্যাসেশন কোর্টের রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর বেকির শাহিন সাংবিধানিক আদালতের সামনে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মধ্যে ছিল ওসমান বেদেমির এবং ৬৮৬ জন অন্যান্য এইচডিপি রাজনীতিবিদদের জন্য পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা। যার কারণ হিসেবে বলা হয়, একসঙ্গে রাজনীতিতে জড়িত থাকার জন্য এইচডিপি বন্ধের কারণটি যা কিনা পিকেকে'র সাথে কথিত সাংগঠনিক সংযোগের জন্য।[১৫][১৬]
২০০৫ সালের মে মাসে তিনি তুরস্কের হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান রেহান ইয়ালান্দাকে বিয়ে করেন। ২০০৬ সালের ২৩শে এপ্রিলে তাদের পুত্র মির্জানিয়ার জন্ম হয়।[১৭]