ওহম বা ও'ম (চিহ্ন: Ω, গ্রীক অক্ষর ওমেগা) হল রোধের SI বা আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একক। বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ জর্জ সায়মন ও'মের নামানুসারে এই এককের নামকরণ করা হয়েছে।
কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের [[বিভব পার্থক্য|বিভব পার্থক্যের]মান ১ ভোল্ট হলে তার মধ্য দিয়ে যদি ১ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ চলে তবে সেই পরিবাহকের রোধকে ওহম (Ω) বলে[১][২]।
গাণিতিক ভাবে -
এখানে,
বাস্তবক্ষেত্রে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্সের জগতে শুধু ওহমই নয়, ওহমের বেশকিছু গুনিতকও ব্যবহৃত হয়। যেমন মিলিওহম, কিলোওহম, মেগাওহম, গিগাওহম ইত্যাদি। [৩]।
★ রোধের মান যদি এক হাজার ওহমের সমান বা অতিক্রম করে তাহলে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ততো কিলো ওহমের রোধ বলা হয়। যেমনঃ
★ রোধের মান যদি এক হাজার কিলো ওহম এর সমান বা অতিক্রম করে তবে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ততো মেগা ওহমের রোধ বলা হয়। যেমনঃ
১০০০÷১০০০ = ১ মেগা ওহম (১০০০ কিলো ওহম)
৯৫০০÷১০০০ = ৯.৫ মেগা ওহম।
★ রোধের মান যদি এক হাজার মেগা ওহমের সমান বা অতিক্রম করে তবে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ততো গিগা ওহমের রোধ বলা হয়। যেমনঃ
১০০০০০০÷১০০০ = ১০০০ ১০০০÷১০০০ = ১ গিগা ওহম (১০০০ মেগা ওহম)
৫৪৬০০০০÷১০০০ = ৫৪৬০ ৫৪৬০÷১০০০ = ৫.৪৬ গিগা ওহম।
তড়িৎ পরিবাহিতার এবং এডমিট্যান্সের এস আই একক হচ্ছে সিমেন্স (চিহ্ন: S)। এই সিমেন্সকে মো বলেও ডাকা হয়। মো হচ্ছে আসলে ইংরেজিতে ওহমকে বিপরীতক্রমে লিখে পাওয়া শব্দ (ohm → mho)। এর এককও ওহমের এককের বিপরীত - ℧।
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)