ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জাতীয়তা | ভারতীয় | |||||||||||||||||
জন্ম | বারহামপুর, ওড়িশা, ভারত | ২৪ এপ্রিল ১৯৮৮|||||||||||||||||
ক্রীড়া | ||||||||||||||||||
দেশ | ভারত | |||||||||||||||||
ক্রীড়া | ভারোত্তোলন | |||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
কতুলু রবি কুমার (ইংরেজি: Katulu Ravi Kumar), (জন্ম ২৮ এপ্রিল ১৯৮৮) একজন ভারতীয় ভারোত্তোলক। ২০১o কমনওয়েলথ গেমসে ৭৭ কেজি ওজনের শ্রেণীতে স্বর্ণ পদক জিতেছেন [১] এবং ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে, ৭৭ কেজি ওজনের শ্রেণীতে রৌপ্য পদক লাভ করেন।
কে. রবি কুমার উড়িষ্যার ব্রহ্মপুরের অধিবাসী। তিনি ভীর হুমায়ুন ক্লাবে ভারোত্তোলনের প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তিনি মূলত একজন বডিবিল্ডার ছিলেন এবং ৭ বছর ধরে শরীরচর্চা করতেন, পরে তিনি ভারোত্তোলনের প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তার প্রশিক্ষক নারায়ণ সাহু এর পরামর্শ পরে তিনি ভারোত্তোলন প্রতি তার মনোযোগ পরিবর্তন করেন, যা শেষ পর্যন্ত তাকে একটি অসামান্য ভারোত্তোলক হতে সাহায্য করেছে। ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের মাত্র তিন বছর আগে তিনি ভারোত্তোলন শুরু করেছিলেন এবং মোট ৩২১ কেজি (৭০৮ পাউণ্ড) ওজন উত্তোলন করে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তিনি অনেক রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ভারত সরকার তাকে অর্জুন পুরস্কারের দ্বারা সন্মানিত করছে। এর আগে ছয় জন ওড়িয়া এই সম্মান পেয়েছেন।[২]
২০০৭ সালে জর্ডানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান জুনিয়র ওয়েটফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রবি কুমার একটি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[২]
২০০৯ সালে মালয়েশিয়ার পেনাং এ অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে রবি কুমার ৩ টি স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন।[২]
২০১০ সালে, নিউ দিল্লি অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে রবি কুমার ৩ টি স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন। তিনি ৬৯ কেজির ওজনের শ্রেণীতে মোট ৩২১ কেজি (স্নেচে ১৪৭ কেজি এবং ক্লিন ও জার্কে ১৭৫ কেজি উত্তোলন করেন।
২০১১ সালে, টঙ্গলিং, চীনে অনুষ্ঠিত সিনিয়র ওয়েট লিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে রবি কুমার ৩ টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।[২]
২০১২ সালে, লন্ডন, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের হয়ে রবি কুমার পুরুষদের ভারোত্তোলনে লাইটওয়েট ওজনের শ্রেণীতে অংশ নেন এবং ১৫ তম স্থান পান।[৩]
২০১8 সালে, গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে রবি কুমার ৭৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে রৌপ্য জিতেছিলেন। তিনি মোট ৩১৭ কেজি (স্নেচে ১৪২ কেজি এবং ক্লিন ও জার্কে ১৭৫ কেজি) উত্তোলন করেন।[৪] প্রথম হন ভারতীয় ভারোত্তোলক সতিশ সিভলিংগম, যিনি একটি নতুন গেমস রেকর্ড স্থাপন করেন। [৫]
২০১৬ সালে, রবি কুমারকে উড়িষ্যা সরকার রাজ্যের পুলিশ বাহিনীতে ডিএসপি পদে নিয়োগ করেছে। একটি সরকারী বিবৃতি অনুযায়ী, তিনি প্রথম ক্রীড়াবিদ যাকে শীর্ষ পদে নিয়োগ করেছে উড়িষ্যা সরকার। তার নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন।[৬] ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় দলে নির্বাচিত না হওয়াতে তিনি ইতিমধ্যেই ২০১৮ এশিয়ান গেমস ও বিশ্ব ওয়েট লিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপস এর জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন।[৭]