কদ্রু | |
---|---|
নাগমাতা | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা | প্রজাপতি দক্ষ এবং পাঞ্চজনী |
সহোদর | অদিতি, দনু, দিতি, কালিকা, কপিলা, সুরসা, বিশ্বা ইত্যাদি। |
সঙ্গী | মহর্ষি কশ্যপ |
সন্তান | হাজার ডিম্ব থেকে জন্ম নেয়া নাগ পুত্র: শেষনাগ, বাসুকী প্রভৃতি কন্যা: মনসা, ইড়াবতী |
কদ্রূ (সংস্কৃত: कद्रू) হলেন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত প্রজাপতি দক্ষের কন্যা এবং মহর্ষি কশ্যপের স্ত্রী।[১] কশ্যপের পিতা মরীচি হলেন ব্রহ্মার মানসপুত্র। কদ্রূ হলেন সর্প বা নাগদের মাতা।
মহর্ষি কশ্যপ, কদ্রূ ও তার বোন বিনতার সেবায় তুষ্ট হয়ে তাদেরকে বর দিতে চান। কদ্রূ তখন সহস্র বীর নাগপুত্রের বর চান। আর বিনতা সহস্র নাগপুত্রের চেয়েও শক্তিশালী দুইটি পুত্র প্রার্থনা করেন। কদ্রু এক সহস্র নাগ শিশুর জন্ম দেন। আর তার বোন, (তিনিও কশ্যপের স্ত্রী ছিলেন) অরুণ ও গড়ুর নামে দুই পুত্রের জন্ম দেন।
পাঁচ হাজার বছর পর ডিম থেকে সহস্র পুত্রের জন্ম হয়।[২] এই সহস্র পুত্রের মধ্যে বাসুকী, শেষনাগ ও তক্ষক এই তিন নাগ অধিক পরিচিত।[৩] পৃথিবীর সকল শাপ এই সহস্র নাগেরই বংশধর। কদ্রুর সহস্র পুত্রের জন্ম হবার পরও নিজের পুত্রদের জন্ম না হওয়ায় বিনতা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন এবং একটি ডিম ভেঙে ফেলেন। সেখান থেকে অর্ধ দেহ নিয়ে এক পুত্রের জন্ম হয়। তার নাম হয় অরুণ। বিকলাঙ্গ শরীর নিয়ে জন্মাবার জন্য অরুণ তার মাতাকে অভিশাপ দেন যে, তিনি কদ্রুর দাসী হবেন। তার দ্বিতীয় পুত্র, গড়ুর জন্মাবার পর সেই দাসত্বের অবসান হবে।[৪] তার এই পুত্র ছিলেন অরুণ, সে ছিল সূর্য দেবের সারথী।[২] এরপর পাঁচ হাজার বছর পর শক্তিশালী গড়ুরের জন্ম হয়।[৫]