কনকচাঁপা | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা |
জন্ম | শান্তিবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯
ধরন | আধুনিক গান, চলচ্চিত্রের গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতি |
পেশা | সংগীত শিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৮৪–বর্তমান |
ওয়েবসাইট | kanakchapa |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
কনকচাঁপা (জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, যার গান এখনো কোটি শ্রোতার মুখে মুখে। তিনি রাজনীতির সাথেও যুক্ত রয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
কনকচাঁপা ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯, সালে ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু তার দাদা বাড়ী সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে। তবে কনক চাঁপা বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। তার বাবা আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে কনক চাঁপা তৃতীয়।[১]
চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতি সহ প্রায় সবধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী। বর্তমানে প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ৩৪ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন।এ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম। চলচ্চিত্রের গান নিয়ে তার সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আবার এসেছি ফিরে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনুরের প্রায় প্রতিটি গানেই কনক চাঁপা কণ্ঠ দিয়েছেন।তার গান মানেই তুমুল শ্রোতাপ্রিয়।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত রয়েছে। বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলামও লেখেন তিনি।[২] ২০২০ সালে জীবনী মূলক বইকাটা ঘুড়ি প্রকাশিত হয়েছে। [৩]
কনকচাঁপা বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বশীর আহমেদের ছাত্রী। দীর্ঘদিন তার কাছে উচ্চাঙ্গ, নজরুল সঙ্গীতসহ অন্যান্য ভারতীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন।[৪] তবে আজ এই পর্যায়ে আসার জন্য তিনি সব সময় তার পিতা আজিজুল হক মোর্শেদ ও স্বামী মইনুল ইসলাম খান—এ দুজনের অবদানকেই অগ্রগণ্য করেন।
এছাড়া আরো অসংখ্য জনপ্রিয় গান বা অমর সৃষ্টির শিল্পী তিনি।
নারী শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের পরে তিনিই একাধিক তিনবার জাতীয় চলচ্চিত পুরস্কার লাভ করেন
এছাড়া আরো অসংখ্য সম্মান ও পুরস্কারে ভুষিত হন।
|তারিখ=
(সাহায্য)