কন্সটান্টিন রদজাবেস্কি | |
---|---|
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কন্সটান্টিন ভ্লাদিমিরভিক রদজাবেস্কি ১১ এপ্রিল ১৯০৭ ব্লাগোভেসচেন্সক, রুশ সম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৩০ আগস্ট ১৯৪৬ মস্কো,রুশ এসএফএসআর, সোভিয়েত ইউনিয়ন | (বয়স ৩৯)
রাজনৈতিক দল | রুশ ফ্যাসিস্ট পার্টি |
জীবিকা | আইনজীবী |
ধর্ম | রুশ অর্থোডক্স |
স্বাক্ষর |
কন্সটান্টিন ভ্লাদিমিরভিক রদজাবেস্কি (রুশ: Константи́н Влади́мирович Родзае́вский; ১১ আগস্ট ১৯০৭- ৩০ আগস্ট ১৯৪৬) ছিলেন রুশ ফ্যাসিস্ট দলের নেতা, যেটি মাঞ্চুরিয়াতে থাকাকালীন পরিচালনা করেন। তিনি রুশ পত্রিকা “নাশ পুত” এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
কন্সটান্টিন রদজাবেস্কি ১৯০৭ সালের ১১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ব্লাগোভেসচেন্সকতে (চীনের আমুর নদীর কাছে) একটি সাইবেরিয়ান মধ্যবিত্ত পরিবারে, তিনি পালিয়ে মাঞ্চুরিয়া এর জন্য সোবিয়েত ইউনিয়নে যান ১৯২৫ সালে। হারবিনে, রদজাবেস্কি একটি আইন শিক্ষায়তনে ঢুকেন এবং রুশ ফ্যাসিস্ট ওর্গানাইজেশন এ যোগদান করেন। ১৯৩১ সালের ২৬শে মে, তিনি নতুন তৈরিকৃত রুশ ফ্যাসিস্ট পার্টি এর সেক্রেটারি জেনারল হন।১৯৩৪ সালে দলটি আনাস্টাসি ভন্সায়টাস্কাই এর রুশ ফ্যাসিস্ট ওর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত হয় এবং রদজাবেস্কি দলটির নেতা হন। তিনি নিজের আদর্শ হিসাবে বেনিতো মুসোলিনিকে কল্পনা করেন এবং তার স্বস্তিকা চিহ্ন আন্দোলনের প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করেন। রদজাবেস্কি ব্যক্তিগতভাবে দেহরক্ষী সংগ্রহ করেন, এবং সাবেক রুশ সম্রাজ্য এর প্রতীক ব্যবহার করেন রুশ জাতীয়তাবাদী প্রতীকের সাথে। ইতালীয় কালো শার্টের মত রুশ ফ্যাসিস্টরাও কালো পোশাক পরত কালো ক্রসবেল্ট এর সাথে। তারা সশস্ত্র ছিল যার অস্ত্রগুলো আসত জাপানের ইম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মি থেকে। তারা একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন খুলে ‘হোয়াইট ইমিগ্রিস’ নামে যার কেন্দ্রীয় দপ্তর ছিল হারবিনে, মস্কোতে, এবং সেটি বিশ্বের ছাব্বিশটি দেশের সাথে সংযুক্ত ছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন ছিল নিউ ইয়র্ক শহরে।
রদজাবেস্কির প্রায় বার হাজার অনুসারী ছিলে মাঞ্চুকুতে। জাপান সম্রাজ্যের ২৬০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকিতে রদজাবেস্কি কিছু সংখ্যক নির্দিষ্ট লোকের সাথে তিনি সম্রাট হিরোহিতো এর প্রতি সম্মান জানান রাজ্যটি সরকারী উদযাপনে। ফ্যাসিবাদিরা নিয়ন লাইটের তৈরি একটি বড় স্বস্তিকা চিহ্ন স্থাপিত করে তাদের মাঞ্জুহউলি(মাঞ্চুলি) শাখাতে, সোভিয়েত বর্ডারের চেয়ে কমপক্ষে ৩কি.মি. দূরে। এটা সারা দিন এবং রাত রাখা হত সোবিয়েত সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য। রদজাবেস্কি অপেক্ষা করেছেন এই দিনের যখন তিনি রুশ বর্ডারে চিহ্ন রেখে যাচ্ছেন, তিনি সোবিয়েত বিরোধী বাহিনীর নেতৃত্ব দিবেন জেনারেল কিস্তিলিন এবং জাপানের সৈন্যবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে, রাশিয়ার মানুষদের সোভিয়েতের শাসন থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য। আসানু ডিটাচমেন্ট এর প্রশিক্ষণ, সর্বজাতীয় রুশ বিশেষ বাহিনী, সোবিয়েত এর বিরুদ্ধে সংগঠিত অন্তর্গাত আক্রমণ তাদের প্রধান সামরিক কাজ ছিল, যদি জাপানের সাইবেরিয়া এবং রাশিয়ার পূর্ব দিকের আক্রমণ ব্যর্থ হয়। জাপান মাঞ্চুরিয়া বাইরের দিকে হোয়াইট রুশ স্টেইট তৈরিতে বেশি আগ্রহী ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রদজাবেস্কি চেষ্টা করেছেন সরাসরি বলসিবিজম এর সাথে সংগ্রাম করতে, কিন্তু জাপান কর্তৃপক্ষ তাদের আরএফপি ক্রিয়াকলাপ কমিয়ে দিয়েছিল সোবিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গাত আক্রমণে। ক্রমান্বয়ে রদজাবেস্কি অসংখ্য ইহুদী বিরোধী লেখা প্রকাশ করেন দলীয় পত্রিকা “নাশ পুত”(আমাদের পথ) এবং দা ন্যাশন এ। তিনি জুডাস এন্ড[১] এবং বই ‘২০ শতকে ইহুদিদের প্রশ্ন’[২] এর লেখক। যুদ্ধ শেষে তিনি ফাঁসি এড়াতে তিনি সোবিয়েত কর্তৃপক্ষের নিকট আত্নসমর্পন করেন। তিনি রাশিয়ায় ফিরেন যেখানে তাকে প্রতিশ্রুত করা হয়েছিল মুক্ত করার এবং সোবিয়েতের একটি পত্রিকার চাকরির, কিন্তু তাকে দলের অন্যান্য সদস্যদের সাথে গ্রেফতার করা হয় এবং গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে লুবাইয়াঙ্কা কারগারে হত্যা করা হয়। ২০০১ সালে রদজাবেস্কির একটি বই ‘যাবেসচানি রুশকগো ফ্যাসিস্টা” (একজন রুশ ফ্যাসিবাদের শেষ ইচ্ছা) রাশিয়াতে প্রকাশ করা হয়।
এই নিবন্ধটির অতিরিক্ত অথবা আরো বৈশিষ্ট্যসূচক বিষয়শ্রেণী প্রয়োজন। (ডিসেম্বর ২০২৪) |