কবীরধাম জেলা | |
---|---|
ছত্তিশগড়ের জেলা | |
ছত্তিশগড় রাজ্যের মধ্যে কবীরধাম জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ছত্তিশগড় |
বিভাগ | দুর্গ |
সদর দপ্তর | কাওয়ার্ধা |
তালুক | 1 কাওয়ার্ধা
2 পান্ডারিয়া 3 বোদালা 4 লোহারা 5 রেঙ্গাখার |
আয়তন | |
• মোট | ৪,৪৪৭ বর্গকিমি (১,৭১৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৮,২২,৫২৬ |
• জনঘনত্ব | ১৮০/বর্গকিমি (৪৮০/বর্গমাইল) |
জনমিতি | |
• সাক্ষরতা | ৬১.৯৫% |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+05:30) |
ভারতের জাতীয় সড়ক | জাতীয় সড়ক ৩০ |
ওয়েবসাইট | kawardha |
মধ্য ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের ২৮টি প্রশাসনিক জেলাগুলির মধ্যে একটি হ'ল কাবীরধাম জেলা । জেলাটি আগে কাওর্ধা জেলা হিসাবে পরিচিত ছিল। জেলাটি ২১.৩২' থেকে ২২.২৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮০.৪৮' থেকে ৮১.৪৮'পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। জেলার আয়তন ৪,৪৪৭.৫ কিমি২ (১,৭১৭.২ মা২) । কাওয়ার্ধা শহরটি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর। এই জেলাটি ভোরামদেও মন্দিরের জন্য পরিচিত (মন্দিরটিকে "ছত্তিসগড়ের খাজুরাহো" বলা হয়ে থাকে); মন্দিরটি জেলা সদর, কাওর্ধা থেকে ১৮ কিমি দূরে অবস্থিত।
জেলার উত্তরে রয়েছে মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ডিন্ডোরি জেলা ,পূর্বদিকে মুঙ্গেলি এবং বেমেতারা জেলা, দক্ষিণে রাজনন্দগাঁও জেলা, এবং পশ্চিমে মধ্য প্রদেশের বালাঘাট এবং মান্দালা জেলা। উত্তর ও পশ্চিম অংশগুলি সাতপুরার মৈকাল পর্বতমালা দ্বারা বেষ্টিত।
বর্তমান জেলা শাসক হলেন শ্রী অবনীশ সারণ। [১]
১৯৯৮ সালের ২রা জুলাই, মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার রাজনন্দগাঁও জেলার কাওর্ধার পূর্ববর্তী তহসিল এবং বিলাসপুর জেলার পান্ডারিয়ার পূর্ববর্তী তহসিলকে সমন্বিত করে একটি নতুন জেলা কাওর্ধা গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। [২] কাওয়ার্ধা শহরটি এই নতুন জেলার সদর দফতর হিসাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নতুন জেলাটি ১৯৯৮ সালের ৬ই জুলাই অস্তিত্ব লাভ করে। পরে জেলাটি ছত্তিশগড় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে এবং জেলাটি এখন কবীরধাম জেলা হিসাবে পরিচিত।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে কবীরধাম জেলার জনসংখ্যা ৮২২,৫২৬ জন [৩] যা কমোরোস রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমান [৪] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ডাকোটা রাজ্যের জনসংখ্যার সমান। [৫] জনসংখ্যার বিচারে জেলাটি ভারতের জেলাগুলির মধ্যে ৪৭৯তম স্থান অধিকার করে। জেলাটির বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৯৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৫১০ জন/বর্গমাইল) । ২০০১ থেকে ২০১১ এর দশকে এর জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ৪০.৬৬%। কবীরধামের প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ৯৯৭ জন মহিলা,, যা জাতীয় অনুপাতের তুলনায় উন্নত এবং সাক্ষরতার হার ৬১.৯৯%। জনসংখ্যার যথাক্রমে ১৪.৫6% তফসিলি জাতি এবং ২০.৩১% তফসিলি উপজাতি মানুষ ।
ভারতের ২০১১ সালের জনগণনার সময়ে, জেলার জনসংখ্যার ৯৬.১৩% ছত্তিশগড়ি এবং ২.৩২% হিন্দি তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে নিবন্ধন করেছিলেন। [৬]
ক্থ্য ভাষার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আগারিয়া ভাষা, যা একটি এস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা (এই ভাষায় মাত্র ৭২,০০০ জন কথা বলেন); এটি মূলত মৈকাল পর্বত সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। [৭]
জেলাটি চারটি তহসিল- কবীরধাম, বোদলা, সাহসপুর লোহারা এবং পান্ডারিয়াতে বিভক্ত। প্রতিটি তহসিল একই নামের একটি একক ব্লক। [৮] এই জেলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র হলেন কাওয়ার্ধা ও পান্ডারিয়া।
Comoros 794,683 July 2011 est.
South Dakota 814,180