কোম্পিয়া [১] বা কমপিয়াং নামে পরিচিত এই খাবারটি একটি রুটিজাতীয় খাবার যার উদ্ভব প্রধানত চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের রাজধানী শহর ফুঝো এবং ফুকিং অঞ্চল।[২] এটি ফুজিয়ান প্রদেশের বিশেষ জনপ্রিয় খাবার। এই খাবারটির জনপ্রিয়তা রিউকিউস, তাইওয়ান এবং ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ এবং মালয়েশিয়ার শহর সিতিয়াওয়ান, সিবু,[১] আয়ের তাওয়ার, সারিকেই, বিনতাঙ্গর এবং অন্যান্য স্থানে প্রসারিত হয়েছে। এইসকল অঞ্চলে প্রভাবশালী চীনা সম্প্রদায় ফুঝো (বিকল্পভাবে "ফুচো") এবং ফুকিং বংশের (যাকে কখনও কখনও "ফুচো ব্যাগেল " নামে ডাকা হয়) প্রতিপত্তি ছিল।
কমপিয়াং খাবারের নামকরণ করা হয়েছিল তার উদ্ভাবক কিউ জিগুয়াং -এর নামে। ১৫৬৩ সালে যখন কিউ জিগুয়াং তার সৈন্যদের ফুজিয়ানে নিয়ে যান, তখন জাপানী জলদস্যুরা তাদের জাহাজ গুপ্তভাবে আক্রমন করতে থাকে। কিউ জিগুয়াং লক্ষ্য করেছিলেন যে জাপানী জলদস্যুরা সর্বদা তার সৈন্যদের অবস্থান আগে থেকেই উপলব্ধি করতে পারত। কারন সৈন্যরা তাদের খাবার তৈরি করার সময় উনান থেকে যে ধোঁয়া বের হত তা অনেক দূর থেকে দেখা যেত। তাই কিউ জিগুয়াং মাঝখানে ছিদ্রযুক্ত এক ধরণের রুটি উদ্ভাবন করেছিলেন যাতে তারা সহজে রান্না করার ঝঞ্ঝাট ছাড়া জাহাজে প্রতিদিনের খাদ্য সরবরাহ করতে পারেন। পরে, জলদস্যু আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কিউ জিগুয়াং-এর বিজয়কে স্মরণ করার জন্য, রুটির নামকরণ করা হয় গুয়াং-বং (বা "গুয়াং কেক")।
কমপিয়াং হল লার্ড (ফ্যাট জাতীয় উপাদান), পেঁয়াজ, লবণ এবং ময়দা দিয়ে তৈরি করা একটি রুটি। ময়দার একটি বল তৈরী করে তার মধ্যে অন্যান্য পছন্দসই উপাদান দিয়ে ভরাট করা হয়। তারপর একটি ঘূর্ণায়মান পিনের সাহায্যে এটিকে চ্যাপ্টা আকার দেওয়া হয়। তারপরে এটি ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ ওভেনের মধ্যে এটি বেক করতে বা ভাপাতে দেওয়া হয় এবং প্রায় পনের মিনিট ধরে একে বেক করা হয়। এই রুটি ভরাট করতে প্রায়ই মাংস ব্যবহৃত হয়।
কোনো কোনো রন্ধন প্রনালীতে এই রুটির ভেতরে কোন পুর না ভরেই এর উপর তিলের বীজ ছড়িয়ে একে বেক করা হয়। কম্পিয়াং -এর এই প্রকারটি কংকুয়েস্ট অফ দ্যা ইস্ট নামে পরিচিত। এই বিশেষ প্রকারটি প্রস্তুত করতে ময়দায় লবণের পরিবর্তে চিনির নির্দিষ্ট অনুপাত ব্যবহার করা হয়।