কমলগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কমলগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২০′২৪″ উত্তর ৯১°৫০′২৪″ পূর্ব / ২৪.৩৪০০০° উত্তর ৯১.৮৪০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | মৌলভীবাজার জেলা |
সংসদীয় আসন | মৌলভীবাজার-৪ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | পদশূন্য[১] |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | পদশূন্য[২] |
আয়তন | |
• মোট | ৪২৬.৭২ বর্গকিমি (১৬৪.৭৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৩] | |
• মোট | ২,৫৯,১৩০ |
• জনঘনত্ব | ৬১০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৮.৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ ৫৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কমলগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। কমলগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি। এখানে রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাম হাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, সিপাহী বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরি গ্রাম, ক্যামেলিয়া চা বাগান, মো. কেরামত আলী জামে মসজিদ ও নয়নাভিরাম চা বাগান। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য কমলগঞ্জ একটি চমৎকার জায়গা।
কমলগঞ্জ উপজেলার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ২৪°২২′০০″ উত্তর ৯১°৫২′০০″ পূর্ব / ২৪.৩৬৬৭° উত্তর ৯১.৮৬৬৭° পূর্ব। এই উপজেলার উত্তরে রাজনগর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে কুলাউড়া উপজেলা ও ভারতের আসাম, পশ্চিমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা।
কমলগঞ্জ থানা ১৯২২ সালে গঠিত হয় এবং উপজেলার মর্যাদা পায় ১৯৮৩ সালে। কমলগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় ২০০০ সালে।
ভানুবিল কৃষকপ্রজা আন্দোলন কমলগঞ্জের সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলা ১৩০৭ সনে সংঘটিত এই ঘটনায় মণিপুরী কৃষকরা ব্রিটিশ ও তাদের পোষ্য জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৯৪৭ সালের পূর্ব অবধি ভানুগাছ সিলেট ও কমলপুরের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসাবে কাজ করতো। আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার মূল রাস্তাটি ছিলো এই ভানুগাছ পরগনার বুক চিড়ে। যুগ যুগ ধরে এলাকা পূর্ব ভারতের খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিতি ছিল, এলাকায় উৎপাদিত চায়ের কদর ছিলো মহারানী ভিক্টোরিয়ারও রন্ধন শালা পর্যন্ত।
৪৭-এ দেশ ভাগের সময় তৎকালীন দক্ষিণ সিলেট মহকুমা পূর্ববঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হলে স্বাভাবিক নিয়মেই সেই সময়ের ভানুগাছ পরগনা তথা কমলগঞ্জ থানা পূর্ববঙ্গের একটি সীমান্ত এলাকায় পরিণত হয়। আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার মূল রাস্তাটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই সময়ের শিল্প শহর ভানুগাছ অতি দ্রুত একটি অবহেলিত ও অনুন্নত এলাকা হয়ে উঠে। ৪৭ উত্তর সময়ে এই এলাকাটি নিষ্প্রভ হয়ে গেলে জন মানসে তীব্র একটা অসন্তোষ দানা বাধে আর এই সময়ে উক্ত এলাকার মানুষের অধিকার আদায় ও এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন আলহাজ্ব মো. কেরামত আলী।
কমলগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কমলগঞ্জ থানার আওতাধীন।[৪]
বাংলাদেশের ১৯৯১ সনের লোক আদমশুমারী অনুসারে কমলগঞ্জ উপজেলার জনসংখ্যা হলো ১৯১,৬৭২ জন।[৫] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। জনসংখ্যার ৬২.৯২% মুসলিম, ৩৬.০৯% হিন্দু, ০.০৪% বৌদ্ধ, ০.৮৮% খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ০.০৭%।
কমলগঞ্জ উপজেলায় সিলেটি ছাড়াও নানান জাতি ও আদিবাসী জনগোষ্টী বাস করেন। যেমন বাঙালি, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, মণিপুরি বা মৈতৈ, মণিপুরি মুসলমান বা পাঙাল, ত্রিপুরা, চা শ্রমিক, শব্দকর, খাসিয়া, হালাম ইত্যাদি।
কমলগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার হার ৪৮.৬%।
মূলত কৃৃৃৃষিনির্ভর। চা শিল্প এখানের অর্থনীতির এক বিশাল চালিকা শক্তি।
রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। সড়ক ও রেল দুই ভাবেই কমলগঞ্জ-এ পৌঁছানো যায়।
কমলগঞ্জ পোস্টকোড: ৩২২০
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |