ហិណ្ឌូកម្ពុជា។ | |
---|---|
![]() সিয়েম রিপ প্রদেশের থোম্মানং মন্দির | |
ভাষা | |
পবিত্র সংস্কৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ খমের, হিন্দি, পাঞ্জাবি, চাম এবং তামিল | |
ধর্ম | |
হিন্দুধর্ম |
দেশ অনুযায়ী হিন্দুধর্ম |
---|
![]() ![]() |
পূর্ণাঙ্গ তালিকা |
হিন্দুধর্ম কম্বোডিয়ার একটি সংখ্যালঘু ধর্ম, যা প্রায় ১,০০০ ব্যক্তি অনুসরণ করে। এমনকি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিতে একটি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু হওয়ায় এটি খেমার সাম্রাজ্যের অধীনে বিশিষ্ট ধর্মের সাথে কম্বোডিয়ার বিশাল সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে অত্যন্ত প্রভাবিত করে। আজ কম্বোডিয়ার অধিকাংশ হিন্দু কম্বোডিয়ায় ভারতীয় ।
আনু. ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে কম্বোডিয়ায় হিন্দুধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা গেছে।[১] কথিত আছে যে হিন্দু সংস্কৃতি কম্বোডিয়াকে প্রভাবিত করেছে ।[২] এখানে 'কম্বুজদেশ' ভূমির উল্লেখ সহ ধর্মীয় ঐতিহ্য ও রীতিনীতির জন্য পুরোহিতের উপস্থিতি ছিল।[৩] চেনলা রাজ্যে হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ।
খেমার সাম্রাজ্য গঠনের পর, নবম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠাতা দ্বিতীয় জয়বর্মণ কে 'দেবরাজা' উপাধি দেন এবং হিন্দু রীতি অনুযায়ী নিজেকে 'চক্রবর্তী' হিসেবে ঘোষণা করেন। খেমার স্থাপত্যে অনেক হিন্দু মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে হিন্দুধর্ম শীর্ষে ছিল এবং সংস্কৃত পবিত্র ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হত ।[৪] সে সময় খেমার সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্ম ছিল হিন্দুধর্ম। ১৪ শতক পর্যন্ত রাজপরিবারের থেরবাদ বৌদ্ধধর্মে রূপান্তরিত হওয়ার পর এবং ধীরে ধীরে দেশে হিন্দু জনসংখ্যার পতন ঘটায় যা শৈবধর্ম থেকে বৌদ্ধধর্ম দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। [৫]
কম্বোডিয়ায় হিন্দু সংস্কৃতি এখনো দৃশ্যমান। এখানে প্রতিবছর দীপাবলি এবং হোলির মতো হিন্দু উৎসবগুলো উদযাপন করা হয়।