কম্বোডীয় জনতা পার্টি | |
---|---|
সভাপতি | হুন সেন |
সহঃ সভাপতি | সে চাম সার খেং |
প্রতিষ্ঠা | ২৮ জুন, ১৯৫১ |
সদর দপ্তর | নম পেন, কম্বোডিয়া |
রাজনৈতিক অবস্থান | আদর্শবিহীন[১][২][৩] |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Blue, White |
জাতীয় পরিষদ | ৬৮ / ১২৩
|
সিনেট | ৪৬ / ৬১
|
ওয়েবসাইট | |
http://www.cpp.org.kh/ |
কম্বোডীয় জনতা পার্টি (খ্মের: គណបក្សប្រជាជនកម្ពុជា, Kanakpak Pracheachon Kâmpuchéa) কম্বোডিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। পূর্বে এ দলের নাম ছিল কম্পুচিয় জনতা বৈপ্লবিক পার্টি (কেপিআরপি)। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ মেয়াদকালে গণপ্রজাতন্ত্রী কম্পুচিয়াসহ কম্বোডিয়া রাষ্ট্রের প্রথম দুই বছর একমাত্র বৈধ দল ছিল। কম্বোডিয়া রাষ্ট্রের ক্রান্তিকালীন সময়ে এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। এ সময় মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মতাদর্শ স্থগিতসহ একদলীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। ১৯৭৯ থেকে কম্বোডিয়া সরকারের আমল থেকে এ দলটি দেশ শাসন করছে ও বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী শাসক দলের মর্যাদা পাচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেন দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৭৯ থেকে ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮১ তারিখ পর্যন্ত দলের মহাসচিব ছিলেন পেন সোভান।[৪] মূলতঃ মার্কসবাদ-লেনিনবাদী দল হিসেবে কেপিআরপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, ১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগে হেং সামরিনের নেতৃত্বে দলের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।[৫] কিন্তু, ১৯৯০-এর দশকে সাম্যবাদের ধ্যান-ধারণা থেকে বিচ্যুত হয় ও দলের পুণঃনামকরণ করা হয় কম্বোডীয় জনতা পার্টি।[৬] ২০১৩ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে দল সামান্য ব্যবধানে জয় পায়। কিন্তু, সিনেটে দলটি ব্যাপকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
২৮ জুন, ১৯৫১ তারিখে ফরাসী ঔপনিবেশিক আমলে কম্পুচিয় জনতা বৈপ্লবিক পার্টি (কেপিআরপি) নামে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৬০ সালে দলের নাম পরিবর্তন করে ডব্লিউপিকে ও ১৯৬৬ সালে সিপিকে নামে পরিবর্তিত হয়। মে, ১৯৮১ সালে প্রথম দলীয় কংগ্রেস আহ্বান করা হয়। ধারণা করা হয় যে, ১৯৭৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।[৭]
১৯৭৯ সালের শুরুর দিকে একদল ভিন্নমতাবলম্বী সিপিকে সদস্য কংগ্রেস আহ্বান করে। তারা ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত কেপিআরপি দলের প্রকৃত উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবী করে ও কংগ্রেসকে তৃতীয় দলীয় কংগ্রেসরূপে আখ্যা দেয়। ২৮ জুন, ১৯৫১ তারিখকে দলের প্রতিষ্ঠার তারিখ হিসেবে আখ্যায়িত করে। পেন সোভান ও রোহ সামাইকে কংগ্রেস থেকে মনোনীত করে জাতীয় কমিটিতে নেতৃত্বে দেয়। ১৯৭৯ সালে জেলা পর্যায়সহ জাতীয়ভাবে মহিলাদের দলীয় শাখা গঠন করা হয়।[৮]
পেন সোভানের রাজনৈতিক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৬-২৯ মে, ১৯৮১ তারিখে চতুর্থ দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি পল পটের নেতৃত্বাধীন সিপিকে থেকে কেপিআরপিকে নিরাপদ দূরত্বে রাখেন। দল ও দেশের জন্য সিপিকে-কে বিশ্বাসঘাতকরূপে আখ্যায়িত করে।
কেপিআরপি’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক কংগ্রস উন্মুক্তভাবে পরিচালিত হবার সিদ্ধান্ত নেয়। খেমার রুজদের সাথে চলমান গেরিলা যুদ্ধ স্বত্ত্বেও দলটির ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
৪ ডিসেম্বর, ১৯৮১ তারিখে পেন সোভানের পরিবর্তে হেং সামরিন দলীয় প্রধান হলেও ভিয়েতনামপন্থী নীতির পরিবর্তন ঘটেনি। পলিটব্যুরোতে হেং সামরিন ও চি সিম যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।
১৯৯১ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি ও পুণঃমিলনকালীন সময়ে দলের নাম পরিবর্তিত করে বর্তমান নামে নামাঙ্কিত করা হয়।
গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত করার ফলে দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে হুন সেন প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৮ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ১২৩ আসনের মধ্যে দলটি ৬৪ আসন দখল করে। এরপর ২০০৩ সালে ৭৩ ও ২০০৮ সালে ৫৮% ভোট নিয়ে ৯০ আসন পায়। ২০০৬ সালের সিনেট নির্বাচনেও দলটি জয় পেয়েছিল।
বর্তমানে স্থায়ী কমিটি হিসেবে পরিচিত সাবেক কমিউনিস্ট নাম পলিটব্যুরোতে দলটির ৩৪ সদস্য সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।[৯]
নাম | শুরু | শেষ |
---|---|---|
পেন সোভান | ৫ জানুয়ারি, ১৯৭৯ | ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮১ |
হেং সামরিন | ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮১ | ১৭ অক্টোবর, ১৯৯১ |
চি সিম | ১৭ অক্টোবর, ১৯৯১ | ৮ জুন, ২০১৫ |
হুন সেন | ২০ জুন, ২০১৫ | বর্তমান |