করিন গ্রিফিথ | |
---|---|
Corinne Griffith | |
![]() করিন গ্রিফিথ | |
জন্ম | ওয়াকো, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ২১ নভেম্বর ১৮৯৪
মৃত্যু | ১৩ জুলাই ১৯৭৯ সান্তা মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৪)
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯১৬-১৯৩২; ১৯৬২ |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ২, দত্তক |
স্বাক্ষর | |
![]() |
করিন গ্রিফিথ (বিবাহপূর্ব: গ্রিফিন; ২১ নভেম্বর ১৮৯৪ - ১৩ জুলাই ১৯৭৯) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক, লেখিকা ও ব্যবসায়ী। 'দি অর্কিড লেডি অব দ্য স্ক্রিন' হিসেবে খ্যাত[৩] গ্রিফিথকে নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য করা হয়। সৌন্দর্যের পাশাপাশি গ্রিফিথ ফ্র্যাংক লয়েডে দ্য ডিভাইন লেডি (১৯২৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সমাদৃত হন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
টেক্সাসে জন্মগ্রহণকারী গ্রিফিথ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা জয়ের পর চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯১৬ সালে তিনি ভিটাগ্রাফ স্টুডিওজের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং এই স্টুডিওর অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯২০ সালে তিনি ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্সের সাথে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন এবং এই স্টুডিওর বড় তারকা হয়ে ওঠেন। ১৯২০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও কাজ শুরু করেন এবং ১৯২৫ সালের ডিক্লাসে ও ক্লাসিফাইড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন ও দুটি চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।
গ্রিফিথ ১৮৯৪ সালের ২১শে নভেম্বর[ক] টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ওয়াকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[খ] তার জন্মনাম করিন গ্রিফিন। তার পিতা জন লুইস "জ্যাক" গ্রিফিন ছিলেন টেক্সাস ও প্যাসিফিক রেলওয়ের রেল কন্ডাকটর,[১২] এবং মাতা আম্বোলিন ঘিও।[১৩] গ্রিফিথের মাতামহ আন্তোনিও ঘিও ছিলেন একজন ইতালিয় অভিবাসী, যিনি টেক্সাসের সফল ব্যবসায়ী ছিলেন,[১৪] এবং তিনি টেক্সারকানার তিনবারের নগরপাল ছিলেন।[১৫] তার মাতামহী মারিয়া আন্থেসও অভিবাসী ছিলেন, তার পৈতৃক নিবাস ছিল জার্মানির ডার্মস্টাটে।[১৬] গ্রিফিথের পিতামাতা ১৮৮৭ সালে বিয়ে করেন। তাদের বিবাহ স্থানীয় উচ্চবিত্ত সমাজের বেশ আলোচিত ছিল।[১৫] গ্রিফিথের জন্মের সময় তার মায়ের বয়স ছিল ২০-এর কিছু বেশি এবং তার পিতার বয়স ৪০-এর কাছাকাছি।[১৭]
গ্রিফিথের চলচ্চিত্রের আগমন নিয়ে মতভেদ রয়েছে।[১৮] একটি সূত্রে বলা হয়, তার পিতার মৃত্যুর পর গ্রিফিথ টেক্সাস ত্যাগ করেন এবং তার মাতা ও বোন অগাস্টার সাথে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান।[১৯] অপর একটি সূত্র দাবী করে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা জয়ের পর ভিটাগ্রাফ স্টুডিওজের পরিচালক রলিন এস. স্টারজিওন তাকে অভিনয় পেশা বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন, স্টারজিওন সেই সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন।[২০][২১]
১৯১৬ সালে তিনি ভিটাগ্রাফ স্টুডিওজের সাথে সাপ্তাহিক ১৫ ডলার পারিশ্রমিকের চুক্তি করেন,[১৯] এবং করিন গ্রিফিথ মঞ্চনাম গ্রহণ করেন।[২২] তার বড় পর্দায় অভিষেক হয় আর্ল উইলিয়ামসের বিপরীতে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র লা পালোমা দিয়ে। এরপর তিনি এই স্টুডিওর প্রধান অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পূর্ব পর্যন্ত একাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[১৯] ১৯২০ সালের ২২শে এপ্রিল তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ওশানসাইডে ওয়েবস্টার ক্যাম্পবেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[২৩]
১৯২৩ সালে ওয়েবস্টারের সাথে গ্রিফিথের বিবাহবিচ্ছেদ ঘট। গ্রিফিথ দাবী করেন ওয়েবস্টার মদ্যপ ও গালিগালাজ করতেন।[২৪] একই বছর তিনি ভিটাগ্রাফ স্টুডিওর ত্যাগ করেন এবং ফার্স্ট ন্যাশনালের সাথে আরও লাভজনক সাপ্তাহিক $১০,০০০ পারিশ্রমিকের চুক্তি করেন।[১৯] সেখানে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় তারকা হয়ে ওঠেন।[২৫] এই স্টুডিওর জন্য তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ফ্র্যাংক লয়েডের ব্ল্যাক অক্সেন (১৯২৩)। নাট্যধর্মী এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন রহস্যময় অস্ট্রিয় কাউন্টেস চরিত্রে অভিনয় করেন। কনওয়ে টিয়ার্ল ও ক্লারা বো'র সাথে অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফল হয়।[২৬]
১৯২৮ সালে তিনি ইউনাইটেড আর্টিস্ট্সের দ্য গার্ডেন অব ইডেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।[২৭] চলচ্চিত্রটির ব্যর্থতার ফলে হতাশ হয়ে গ্রিফিথ ফার্স্ট ন্যাশনালে ফিরে আসেন এবং ফ্র্যাংক লয়েডের দ্য ডিভাইন লেডি (১৯২৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি সঙ্গীত সহযোগে সবাক চলচ্চিত্র হলেও এতে কোন শ্রুতিযোগ্য সংলাপ ছিল না।[২৭] গ্রিফিথ এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সমাদৃত হন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২৭][২৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; wfpp
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; wp
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; death
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; stand
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি