কল্পনা | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | কল্পনা প্রিয়দর্শিনী ১৩ই অক্টোবর ১৯৬৫[১] |
মৃত্যু | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ | (বয়স ৫০)
পেশা | চলচ্চিত্র, রাজনীতিবিদ অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭৭-২০১৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | অনিল কুমার (১৯৯৮ - ২০১২) (বিবাহবিচ্ছিন্ন) |
সন্তান | ১ |
পরিবার | কলারঞ্জিনী (বোন) উর্বশী (বোন) কমল রায় (ভাই) প্রিন্স (ভাই) সুরনাদ কুঞ্জন পিল্লাই (পিতামহ) |
কল্পনা প্রিয়দর্শিনী (১৩ই অক্টোবর ১৯৬৫– ২৫শে জানুয়ারি ২০১৬), এক নাম কল্পনা -ই বেশি পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র, মূলত মালয়ালম এবং তামিল চলচ্চিত্রে বেশি অভিনয় করেছেন। কল্পনা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন ভাষায় ৩০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।[২]
১৯৭০ এর দশকের শেষদিকে শিশু শিল্পী হিসাবে কল্পনা তাঁর কাজের জগৎ শুরু করেছিলেন। যদিও তিনি প্রধান অভিনেত্রী হওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে চলচ্চিত্র জগতে এসেছিলেন, তিনি হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করে শ্রোতাদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। ৬০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থানিচল্লা জ্ঞান (২০১২) ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[৩]
কল্পনা শিশু শিল্পী হিসাবে বিদুরুন্না মত্তুকাল ছবি দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু করেছিলেন।[১] ১৯৮০ সালে জি. অরিবিন্দন পরিচালিত পক্কুভেইল ছবিতে মূলধারার অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশের পরে, তিনি বেশ কয়েকটিছবিতে অভিনয় করে প্রশংসামূলক সমালোচনা পেয়েছিলেন এবং কৌতুক অভিনেতার চরিত্রে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল। তামিল ছবিতে তাঁর আত্মপ্রকাশ ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সফল চলচ্চিত্র চিন্না ভীড়ু ছবির মধ্য দিয়ে, তাঁর বিপরীতে ছিলেন কে. ভাগ্যরাজ। তাঁর অন্যান্য স্মরণীয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে সাথী লীলাবতী (১৯৯৫) এবং কালিভেড়ু (১৯৯৬)।[৪] তিনি ঊষা উথুপের সাথে একটি সংগীত অ্যালবামে অভিনয় করেছিলেন। [৫] তিনি তাঁর স্মৃতিচারণ প্রকাশ করেছিলেন, যার নাম জ্ঞান কল্পনা ।[৬] কে. এস. চিত্রাকে নিয়ে কুদুম্বকোদাথি ছবিতে কল্পনা একটি গান গেয়েছিলেন, এই ছবিতে তিনি একটি তেলুগু ভাষী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মঞ্চের অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি অনিবার্য ছিল। তিনি "জনসেবা শিশু ভবন" এর সভাপতি এবং "স্ট্রিট বার্ডস" এর সহকারী সভাপতি ও "কুদুমশ্রী" এর শক্তিশালী প্রচারক ছিলেন।
কল্পনা নাট্য শিল্পী চাভারা ভি.পি. নাইয়ার ও বিজয়লক্ষ্মীর কন্যা। অভিনেত্রী কলারঞ্জিনী এবং উর্বশী তাঁর বোন। তিনি ১৯৯৮ সালে মালয়ালম চলচ্চিত্র পরিচালক অনিল কুমার কে বিবাহ করেছিলেন কিন্তু ২০১২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁদের একটি কন্যা, শ্রীময়ী অনিল।[৭]
উপিরি ছবির চিত্রায়নের জন্য কল্পনা হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২৫শে জানুয়ারী, তাঁকে হোটেলের ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পরিষেবা প্রদানকারী ছেলেটি বেশ কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দিয়েও তাঁর সাড়া পায়নি। সে জোর করে দরজাটি খুলে তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। চলচ্চিত্র ইউনিটের সদস্যরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছিলেন যে হৃদযন্ত্রের গতি রুদ্ধ হওয়ার তিনি কারণে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২৬শে জানুয়ারি তাঁর মরদেহ তাঁর জন্মস্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সেই দিনেই তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন হয়েছিল।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)