কশেরুকা | |
---|---|
বিস্তারিত | |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | ভার্টিব্রাটাস |
টিএ৯৮ | A02.2.01.001 |
টিএ২ | 1011 |
এফএমএ | FMA:9914 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
কশেরুকা মানবদেহের মেরুদণ্ডের অংশ বিশেষ। প্রকৃতপক্ষে [মেরুদণ্ড] অনেকগুলো কশেরুকার উপর্যুপরি বিন্যাস। কশেরুকা অস্থি এবং হায়ালিন তরুণাস্থির সমন্বয়ে গঠিত জটিল কাঠামো যা প্রজাতিভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। একে অনিয়ত অস্থি এর তালিকায় রাখা হয়।মানবদেহের মেরুদণ্ডে সর্বমোট ৩৩ টি কশেরুকা থাকে কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্কদের দেহে কশেরুকার সংখ্যা 26 টি। কশেরুকার মধ্যস্থিত ছিদ্র দিয়ে মস্তিষ্ক থেকে স্নায়ু শরীরে প্রবেশ করে।
কশেরুকার বৃহত্তর অংশটিকে দেহ বলে এবং এর কেন্দ্রের অংশকে সেন্ট্রাম বলে। দেহের উপর-নিচ পৃষ্ঠে আন্তঃকশেরুকা চাকতি লেগে থাকে। কশেরুকার পিছনের অংশ আর্চ গঠন করে,যেখানে দুটি পেডিকল, দুটি ল্যামিনা এবং কিছু প্রসেস আছে। পেডিকলের আকৃতির কারণে কশেরুকিয় খাঁজের সৃষ্টি হয় যা আন্তঃকশেরুকা ফুটো গঠন করে,যার মধ্য দিয়ে সুষুম্না স্নায়ু প্রবেশ করে এবং বের হয়।কশেরুকার যে বড় ছিদ্র আছে,তাকে কশেরুকিয় ছিদ্র বলে। সকল কশেরুকার ছিদ্র সম্মিলিতভাবে ভার্টিব্রাল ক্যানেল নির্মাণ করে। এর ভেতর দিয়ে সুষুম্না কাণ্ড অতিক্রম করে।
একাধিক কশেরুকা একত্রিত হয়ে মেরুদণ্ড গঠন করে এবং একে স্থিতিস্থাপকতা প্রদান করে।
অবস্থান | সংখ্যা | চিত্র |
---|---|---|
গ্রীবাদেশীয় | ৭ | |
বক্ষদেশীয় | ১২ | |
কটিদেশীয় | ৫ | |
শ্রোণীদেশীয় | ১ (৫টি একীভূত) | |
পুচ্ছদেশীয় | ১ (৪টি একীভূত) |
জীবদেহকে ভারসাম্য প্রদান। শরীর বাঁকানো এবং চলনে সাহায্য করা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]